বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০১৯

মাঝপথেই আইআইটি ছাড়ছেন তফসিলি পড়ুয়ারা

প্রযুক্তিবিদ্যার অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিগুলিতে (আইআইটি) গত দু’বছরে ড্রপআউটের (প্রতিষ্ঠানছুট) সংখ্যা ২৪৬১। তার মধ্যে ৪৭.৬ শতাংশ তফসিলি জাতি, জনজাতি এবং অন্যান্য পিছিয়ে পড়া শ্রেণির (ওবিসি) পড়ুয়া। গত সপ্তাহে এই তথ্য প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ড্রপআউটের শীর্ষে আইআইটি দিল্লি, দ্বিতীয় স্থানে আইআইটি খড়্গপুর, তৃতীয় আইআইটি বম্বে।

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক বলেন, ‘‘সম্ভবত প্রতিষ্ঠান বদল, ব্যক্তিগত ও স্বাস্থ্যের সমস্যা, বিদেশে পড়তে যাওয়া ড্রপআউটের কারণ। স্নাতকস্তরে মাঝপথে প্রতিষ্ঠান ছাড়ার অন্যতম কারণ, ভুল বিষয় নির্বাচন ও খারাপ ফল।’’ তফসিলি জাতি-জনজাতি, ওবিসি পড়ুয়াদের মাঝপথে প্রতিষ্ঠান-ত্যাগ নিয়ে সদুত্তর দেয়নি মন্ত্রক।

মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত দু’বছরে ৩৭১ জন তফসিলি জাতি, ১৯৯ জন তফসিলি জনজাতি এবং ৬০১ জন ওবিসি পড়ুয়া মাঝপথে আইআইটি ছেড়েছেন। এত পড়ুয়া মাঝপথে চলে যাচ্ছেন কেন? আইআইটি খড়্গপুরের রেজিষ্ট্রার ভৃগুনাথ সিংহ বলছেন, “মূলত গবেষক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়ারা এখানে আসার আগে চাকরির চেষ্টা করেন। পরে চাকরি পেয়ে চলে যান বলে এই সমস্যা।’’ ড্রপআউটের মধ্যে তফসিলি জাতি-জনজাতি, ওবিসি পড়ুয়ার সংখ্যা এত কেন? এ ক্ষেত্রেও চাকরি পেয়ে চলে যাওয়ার যুক্তি দিয়েছেন তিনি।

এ নিয়ে অবশ্য অনেকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, বহু সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তফসিলি জাতি-জনজাতি, ওবিসি পড়ুয়াদের জাতপাতের বৈষম্যের শিকার হতে হয়। যেমন হয়েছিল রোহিত ভেমুলা এবং পায়েল তদভির ক্ষেত্রে। যদিও আইআইটি খড়্গপুরের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষক-পড়ুয়া বিশ্বরূপ মণ্ডল বলছেন, “আমি তফসিলি জাতিভুক্ত। এই সমস্যার পিছনে জাতিগত কারণ খুঁজে পাচ্ছি না। তবে গবেষক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের মধ্যে সকলের আর্থিক সঙ্গতি সমান না হওয়ায় কিছু ক্ষেত্রে চাকরির তাগিদ থাকে।”


  • আইআইটি খড়্গপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের শিক্ষক, বর্তমানে এনআইটি দুর্গাপুরের অধিকর্তা অনুপম বসু বলেন, ‘‘আইআইটিগুলিতে এমটেক, পিএইচডির পড়ুয়ারা অনেকেই পড়াশোনা করতে করতে চাকরি পেয়ে চলে যান। সব আইআইটিতে বি টেকের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সিজিপিএ (কিউমিলেটিভ গ্রেড পয়েন্ট অ্যাভারেজ) রাখতে হয়। সেটা হয়তো অনেকে পারেন না। এ ছাড়া আরও কারণ থাকতে পারে। ’’ মন্ত্রকের তথ্য বলছে, আইআইএমগুলিতেও গত দু’বছরে ৯৯ জন পড়াশোনার মাঝপথে প্রতিষ্ঠান ছেড়েছেন। তাঁদের মধ্যে তফসিলি জাতির ১৪ জন, জনজাতির ২১ জন ও ওবিসি পড়ুয়া ২৭ জন।

#CPIMDigital: ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবক চাইছে সিপিআইএম, কীভাবে যোগাযোগ করবেন জানুন এখানে

এবার পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আরও কাছে পৌঁছে যেতে ডিজিটাল মাধ্যমকে আরও বেশি সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাতে চাইছে সিপি‌আই(এম)৷

#কলকাতা: এবার পশ্চিমবঙ্গের জনগণের আরও কাছে পৌঁছে যেতে ডিজিটাল মাধ্যমকে আরও বেশি সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাতে চাইছে সিপি‌আই(এম)৷ রাজ্যের উন্নয়নের স্বার্থে সিপি‌আই(এম) পার্টির সঙ্গে হাতেহাত মিলিয়ে কাজ করার জন্য একেবারে নতুন ভাবনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে এ রাজ্যের সিপি‌আই(এম) ৷ সিপিআইএমের ডিজিটাল মাধ্যমের সঙ্গে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবকদের আহ্বান জানাচ্ছে সিপি‌আই(এম) ৷

সোশ্যাল মিডিয়ার জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে ৷ মুঠোফোনের মধ্যে দিয়ে যেকোনও সোশ্যাল ইস্যু সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর ভর করে শহর থেকে রাজ্য, রাজ্য থেকে দেশ, গোটা বিশ্বে ঝড়ের মতো ছড়িয়ে পড়ছে এক নিমেষে ৷ সোশ্যাল মিডিয়া আসার পর যেভাবে দ্রুত গতিতে যুগ, সমাজ বদলেছে, তার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে এবার বদলাতে চাইছে এই রাজনৈতিক দল ৷ বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনা বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই কর্মসূচী তথা স্বেচ্ছাসেবকের আহ্বান জানিয়েছে সিপি‌আই(এম)-এর ডিজিটাল টিম ৷

তা কীভাবে হবেন এর সদস্য ? নীচে দেওয়া রইল নিয়ম কানুন---

""আপনি কি সিপি‌আই(এম)-র সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহী ?

যে সমস্ত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ১) সমীক্ষা, ২) তথ্য সন্নিবিষ্ট ও বিশ্লেষণ, ৩) কোনো বার্তা বা ভাবনার পরিকল্পনা করে তার সুসমন্বিত প্রচারের লক্ষ্যে একটি টিম তৈরি করার অভিজ্ঞতা এবং ক্ষমতা ও দক্ষতা আছে, তাঁদের এই কাজে স্বাগত জানাচ্ছি।

আমাদের লক্ষ্য, বাংলার সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, আঞ্চলিক ভাষাগত এবং জাতিগত বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য অনুকূল একটি পরিবেশ তৈরি করা। শান্তি ও ঐক্য রক্ষা, ব্যক্তিগত মর্যাদা, আত্মসম্মান, নিরাপত্তা-সুরক্ষা, জীবন ও জীবিকাকে সুরক্ষিত রাখা।

জনসাধারণের মধ্যে বাম, গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল ভাবনার প্রসার ঘটানো।

এই লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় যে কোনো বিষয় বিবেচনায় নেওয়া যেতে পারে। চ্যালেঞ্জ অপরিসীম হলেও আমাদের সামর্থ্য সীমিত।
আপনি যদি ব্যক্তিগতভাবে এই লক্ষ্যে সিপিআই(এম)-র ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবক হতে চান, তবে অনুগ্রহ করে Sign Up -এ ক্লিক করে ফর্ম পূরণ করুন।

অথবা
https://forms.gle/xpFoUUbVkadFaTpf9

এই লিঙ্কে ক্লিক করেও ফর্ম পূরণ করতে পারেন।
আর আপনারা যদি সমষ্টিগতভাবে সিপিআই(এম)-র সঙ্গে ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করতে আগ্রহী হন তবে এখানে আপনাদের প্রস্তাব

ইমেল করুন: cpimdigital@gmail.com

আরও বিশদে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইট দেখুন: http://www.cpimwb.org.in/page/cpim-digital """

(input From CPIM West Bengal Facebook Page)

মিলছে না সিম, ব্যাংকঋণ, বাধ্য হয়ে নাম বদলাচ্ছেন রাহুল গান্ধী!

হাইলাইটস

  • রাহুল গান্ধীকে কে না চেনে? গান্ধী পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম। কিন্তু শুধু তিনিই নন। দেশে আরও এক রাহুল গান্ধী আছেন।
  • আর তিনি এখন বেজায় বিপাকে। সৌজন্যে নাম বিভ্রাট।
  • এই নামের কারণেই মোবাইলের সিম থেকে শুরু করে ঋণ, কিছুই পাচ্ছেন না। রাহুল গান্ধী ২।

রাহুল গান্ধীকে কে না চেনে? গান্ধী পরিবারের বর্তমান প্রজন্ম। কিন্তু শুধু তিনিই নন। দেশে আরও এক রাহুল গান্ধী আছেন। আর তিনি এখন বেজায় বিপাকে। সৌজন্যে নাম বিভ্রাট। এই নামের কারণেই মোবাইলের সিম থেকে শুরু করে ঋণ, কিছুই পাচ্ছেন না। রাহুল গান্ধী ২।
ব্যাংকে ব্যাংকে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ তাঁকে ঋণ দিচ্ছেন না। রাহুল গান্ধীর জন্য সিম কার্ডও দিচ্ছে না সারভিস প্রোভাইডাররা। বাধ্য হয়ে ভাইয়ের নামে সিম কার্ড নিতে হয়েছে তাঁকে। দুঃখের এই কাহিনি মধ্যপ্রদেশের ইনদোরের বাসিন্দা রাহুল গান্ধীর। জিনিস কেনার পর তাঁর নাম শুনে কেউ তাঁকে বিলও দিতে চান না।
বন্ধুরাও তাঁকে নিয়ে মশকরা করেন। অনেকেই বলেন, তিনি ভুয়ো নাম নিয়েছেন। মিথ্যে পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন। একবার ব্যাংকে ফোন করে তিনি যখন বলেন, 'রাহুল গান্ধী বলছি', তখন হেসে ব্যাংককর্মী বলেন, 'রাহুল কবে দিল্লি থেকে মধ্যপ্রদেশে চলে এল?' এই বলে ফোন কেটে দেন তিনি।
বারবার এ ভাবে হেনস্থার শিকার হয়ে বাধ্য হয়ে নাম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই ব্যক্তি। রাহুল গান্ধী ঠিক করেছেন, এ বার থেকে পদবীতে মালব্য ব্যবহার করবেন। তিনি যে সম্প্রদায়ভুক্ত, সেখানে অনেকেই এই পদবী ব্যবহার করেন।

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৯

ভোরে কাঁপল পুরুলিয়া, বড় ভূমিকম্পে কেঁপে উঠতে পারে কলকাতাও! আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের

আগামী দু’মাসের মধ্যে বড়সড় ভূমিকম্প হতে চলেছে কলকাতায়! রবিবার ভোর রাতে পুরুলিয়া এবং তার আগে কখনও বাঁকুড়া, কখনও অসম-অরুণাচলপ্রদেশের ভূমিকম্পে কলকাতার উপর এমনই শঙ্কার মেঘ দেখছেন বিজ্ঞানীরা। মাঝারি মাত্রার বারবার কম্পনে কলকাতার নীচ দিয়ে যাওয়া প্লেট নড়ে গিয়ে এই বড় ভূমিকম্প হতে পারে বলে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা।

রবিবার পুরুলিয়া-সহ ঝাড়খণ্ড লাগোয়া কিছু জায়গায় ভূকম্পন হয়। ভোর আড়াইটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের খবর, এ দিন পুরুলিয়া থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে এই কম্পনের কেন্দ্র ছিল। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৪। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, গত ক’দিন ধরেই ভারতের নানা প্রান্তে এরকমই মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। এ দিনই আবার রাত ১টা নাগাদ জম্মু-কাশ্মীরেও ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩.২। তেমন শনিবার রাতে বাঁকুড়া জেলাতে কম্পন অনুভূত হয়েছে। শনিবার অরুণাচলপ্রদেশের পূর্ব কামেঙ্গ জেলায় ৫.৫ রিখটার স্কেলের তীব্রতা যুক্ত ভূমিকম্প হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে ভূমিকম্প হয় অসমে। যার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৫.৬। প্রতিটার তীব্রতার মাত্রা মাঝারি মাপের হওয়ার এবং খুব অল্প সময়ের জন্য কম্পন হওয়ায় কোনও ক্ষয়ক্ষতির হয়নি।


তবে বারবার এই ভূমিকম্পের ফলে একটা বিষয়ই ভাবাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। তা হল, গত চার দিনে ঘটা ভূমিকম্পের উৎস। দেখা গিয়েছে, প্রতি ক্ষেত্রেই যে অঞ্চলে ভূমিকম্প হয়েছে, ভূত্বক থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে রয়েছে তার এপিসেন্টারগুলো। পুরুলিয়া, বাঁকুয়া, জম্মু-কাশ্মীর, অরুণাচলপ্রদেশ এবং অসম সব জায়গাতেই পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার নীচে পৃথিবীর প্লেটগুলো খুব অল্প সময়ে পর পর কয়েক বার নড়াচড়া করে ফেলেছে। ভূত্বক থেকে অনেকটা নীচে হওয়ায় তার তীব্রতা কম হয়েছে। কিন্তু কলকাতা নিয়ে বিজ্ঞানীদের আশঙ্কার বিষয়টা অন্য জায়গায়।

আরও পড়ুন: কিশোর মন জয়ে চাঁদের হাতছানি, কুইজে সফল হলেই শ্রীহরিকোটার টিকিট, ঘোষণা মোদীর

আইআইটির জিওফিজিক্স বিভাগের অধ্যাপক শঙ্কর নাথ জানাচ্ছেন, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় ভূমিকম্পের এপিসেন্টার থেকে ২০০-২২৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ইয়াসিন প্লেট। ইয়াসিন রেঞ্জ কলকাতার মাত্র ৪ কিলোমিটার নীচ দিয়ে গিয়েছে। ইয়াসিন প্লেটের বিস্তৃতি অনেক বড় হওয়ায় একে ইয়াসিন রেঞ্জ বলা হয়। দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার চওড়া সেই হিঞ্জ জোন কলকাতা থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত বিস্তৃত। যা বেঙ্গল বেসিনের পূর্ব দিকে যমুনা ফল্টে গিয়ে মিশেছে। ওই সংযোগস্থলে ভয়াবহ ভূকম্পে অতীতে দারুণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঢাকা, বরিশাল, পাবনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ-সহ একটি বিশাল এলাকা।


বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, বারবার এই ছোট কম্পনগুলোও ইয়াসিন রেঞ্জে বড় ধাক্কা দিতে পারে। যার ফলে ভারতের বিভিন্ন জায়গা বড় ভূমিকম্পের মুখোমুখি হতে পারে। এমনকি বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, আগামী দু-এক মাসের মধ্যে কলকাতায় বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে।

আরও পড়ুন: বয়স্ক কর্মীদের কি আগাম অবসর! রেল নিয়ে ভাবনা শুরু কেন্দ্রের

আইআইটির তথ্য বলছে, কলকাতায় ভূমিকম্প হলে কার্যত তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়তে পারে পার্ক স্ট্রিট, সল্টলেক, নিউ টাউন, রাজারহাট, দমদম, নাগেরবাজারের মতো জনবহুল এলাকাগুলি। ভয়াবহ ভূকম্পে ধূলিসাৎ হয়ে যেতে পারে সিঁথি, কালিদহ, নোয়াপাড়া, দক্ষিণদাড়ি, গোপালপুর, তেঘরিয়া, বেরাবেরি, দুর্গানগর ও মহিষবাথান-সহ বিশাল একটি এলাকা। ভূমিকম্প কতটা নাড়িয়ে দিতে পারে শহর কলকাতা আর তার আশপাশের এলাকাগুলিকে তা বুঝতে বছর খানেক আগে কেন্দ্রীয় ভূবিজ্ঞান মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে একটি ‘সিসমোলজিক্যাল মাইক্রোজোনেশন ম্যাপ’ বানিয়েছিল খড়্গপুরের আইআইটি। সেই মানচিত্রই ওই ভয়াবহ ছবি উঠে এসেছে।

আরও পড়ুন: বাঘ বাঁচাতে গিয়ে গুজবের শিকার হতে হতে বাঁচলেন বাঙালি দম্পতি

ওই মানচিত্র জানাচ্ছে, ভূগর্ভের জলস্তর অন্য জায়গাগুলির তুলনায় অনেক উপরে থাকায় ও তার খুব সামান্য নীচে পলিমাটি থাকায় তীব্র জলোচ্ছ্বাসে কার্যত ‘সলিলসমাধি’ ঘটতে পারে রাজারহাট, কৃষ্ণপুর, নিকো পার্ক, মহিষবাথান, নিউ টাউন, সল্টলেক, নারকেলডাঙা, শিয়ালদহ স্টেশন, বেলেঘাটা, বাগবাজার, বিবাদি বাগ, পার্ক স্ট্রিট, পার্ক সার্কাস, বালিগঞ্জ, ঢাকুরিয়া ও কসবা-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার। যার জেরে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হতে পারে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। হাসপাতাল, স্কুল, কলেজগুলিকে ধরলে তার পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ৫০ হাজার কোটি টাকা।

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৯

ভরদুপুরে আকাশ থেকে পড়ল ১৫ কেজির রহস্যময় পাথর, চাঞ্চল্য মধুবনীতে

ভরদুপুরে জমিতে ধানের চারা বসাচ্ছিলেন কয়েকজন কৃষক। আচমকা প্রচণ্ড আওয়াজ শুনে ভয় পেয়ে যান সকলে। এরপরই খেয়াল করেন আকাশ থেকে ফুটবলের মতো কিছু একটা জমিতে এসে পড়ল। আর সঙ্গে সঙ্গে ধোঁয়ায় ঢেকে গেল চারিদিক। আতঙ্কে কৃষি জমির মধ্যেই এদিক-ওদিক দৌড়তে শুরু করলেন কৃষকরা। সরে গেলেন ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে। যদিও পরে ধোঁয়া কমতেই কৌতূহলের বশে ফিরে এলেন ঘটনাস্থলে। আর এসে দেখলেন, সেখানে প্রায় চারফুটের একটি বড় গর্ত হয়েছে। আর তাতে পড়ে রয়েছে হালকা বাদামি রঙের অদ্ভুত দেখতে একটি পাথর। গর্ত থেকে সেটিকে বের করতেই চোখ কপালে ওঠে ঘটনাস্থলে উপস্থিত কৃষকদের। কারণ, এই ধরনের পাথর তাঁরা কখনও দেখেননি। প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলেও পরে স্থানীয় প্রশাসনকে খবর দেন ওই কৃষকরা। আর এই পরেই ঘটনাস্থলে এসে পাথরটি উদ্ধার করে পরীক্ষাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বতর্মানে এটি পাটনা জাদুঘরে রাখা হয়েছে। পাথরটিতে লোহা ঠেকিয়ে পরীক্ষা করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধুবনীর ওই এলাকায় গত বুধবার দুপুরে ধানের চারা বসানোর কাজ চলছিল। আচমকা আকাশ থেকে ১৫ কিলোগ্রামের একটি পাথর মাটিতে এসে পড়ে। প্রথমে ভয় পেয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় সবাই। কিছুক্ষণ বাদে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে একটি পাথর পড়ে আছে। আর তার গা দিয়ে হালকা ধোঁয়া বের হচ্ছে। এরপরই কাছে থাকা কাস্তে ও লোহার জিনিস পাথরটিতে ঠেকাতে আটকে যায় সেগুলি। এর মধ্যে চৌম্বকীয় শক্তি আছে দেখে খবর দেওয়া হয় প্রশাসনকে।

এপ্রসঙ্গে মধুবনীর জেলাশাসক শিরসাত কপিল অশোক বলেন, “কৃষকরা জমিতে কাজ করছিলেন। সেসময় আকাশ থেকে প্রচণ্ড শব্দ করে ওই পাথরটি পড়ে। সেটিকে দেখে সাধারণ বলে মনে হচ্ছিল না। তাই ওখানে উপস্থিত লোকজন প্রশাসনকে খবর দেন। পাথরটি দেখে প্রাথমিকভাবে উল্কা বলে অনুমান করা হচ্ছে। এর মধ্যে চৌম্বকীয় শক্তিও রয়েছে। যদিও পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেলে এবিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব হবে।”

বিহারের শ্রীকৃষ্ণ বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা ওই পাথরটি পরীক্ষা করে দেখছেন। তাঁদের মধ্যে মধ্যে কেউ কেউ মনে করছেন, এটি উল্কাপিণ্ড। কারণ এই পাথরের গায়ে যেরকম খাঁজ রয়েছে তা একমাত্র উল্কাপিণ্ডেই দেখা যায় সম্ভব। আকাশ থেকে পৃথিবীতে পড়ার সময় বায়ুস্তরে ঘষা খায় উল্কাপিণ্ডগুলি। এর ফলে এই খাঁজ তৈরি হয়ে থাকে। তবে এবিষয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চিত না হয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না।

আবারও কল্যাণী ইউনিভার্সিটির 2ndSemএর Mathematics প্রশ্ন সিলেবাস বহির্ভূত

আবারও কল্যাণী ইউনিভার্সিটির 2nd সেমিস্টার এর Mathematics Honours এর প্রশ্ন সিলেবাস বহির্ভূত।2nd semester এর কিছু Question 4th semester এবং বহির্ভূত সিলেবাস থেকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছে ছাত্রছাত্রীরা।এর আগে 2nd Year এর 3rd পেপার এর question প্রচন্ড tough ও প্রচুর সিলেবাস বহির্ভূত এসেছিল।
যার ফলে কিছু ছাত্রছাত্রী ইউনিভার্সিটি গিয়ে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে পিটিশন জামা দিয়েছিল।কিন্তু এবারও সেই বহির্ভূত question।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০১৯

শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একসঙ্গে মিছিলে হাঁটলেন বিমান বসু সোমেন মিত্ররা

ভাটপাড়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে মিছিলে হাঁটলেন বিমান বসু সোমেন মিত্ররা। ভাটপাড়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিতে ‘বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট চলো ‘ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই ব্যারাকপুর, ভাটপাড়া এলাকায় ক্রমাগত অশান্তি, দাঙ্গা, বোমা গুলি, ভাঙচুর রোজকারের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

সেই ব্যারাকপুরের ভাটপাড়া এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে কোনোরকম রাজনৈতিক পতাকা ছাড়াই উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন জননেতা সোমেন মিত্র, বিমান বোস, সূর্যকান্ত মিশ্র, অমিতাভ চক্রবর্তী, শুভঙ্কর সরকার,ড  মায়া ঘোষ, কৃষ্ণা দেবনাথ, মহঃ সেলিম, তাপস মজুমদার, সমীর পুততুণ্ডু সহ অন্যান্য প্রগতিশীল নেতৃবৃন্দ এবং অগণিত শান্তিকামী মানুষ।

এ দিনের শান্তিমিছিল এবং মিছিলের পর অনুষ্ঠিত এক সভা থেকে অবিলম্বে ভাটপাড়ায় শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ দাবি করা হয় এবং বারাকপুরের পুলিশ কমিশনারের কাছে এক স্মারকলিপিও প্রদান করা হয়।

দ্রুত ৩৪ নম্বর জাতীয় বাইপাস তৈরির নির্দেশ

মালদায় থমকে থাকা ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাসের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এমনটাই দাবি করেছেন উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। খগেনবাবু জানিয়েছেন, বুধবার রাতে তিনি নীতিন গড়করির সঙ্গে দেখা করে থমকে থাকা বাইপাসের কাজ নিয়ে সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সাংসদের মুখ থেকে সমস্ত কথা শুনে গড়করি সঙ্গে সঙ্গে এনএইচএ-১ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন। তখনই দ্রুত সেই কাজ শেষ করার নির্দেশও দেন তিনি। খগেনবাবু জানান, নীতিন গড়করি তাঁকে জানিয়েছেন, ওই কাজ শেষ করার জন্য প্রযোজনীয় অর্থ মঞ্জুর করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও জাতীয় সড়ক দপ্তর। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাইপাস নির্মাণ নিয়ে একটি মামলা দায়ে করা হয়েছে। সেই মামলা না মিটলে কবে বাইপাস নির্মাণের কাজ শেষ হবে তা কিন্তু বলা যাবে না।

২০১২-১৩ সালে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়। কার্যত দুটি পর্যায়ে ভাগ করা হয় এই কাজটিকে। একটি পর্যায়ে রাখা হয় বারাসত থেকে ফরাক্কা পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের কাজ। অপর পর্যায়ে রাখা হয় মালদা থেকে ডালখোলা পর্যন্ত রাস্তা তৈরির কাজ। সেই সময় মালদা শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি বাইপাস তৈরির সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়। তখন সিদ্ধান্ত নেওযা হয়েছিল, পুরাতন মালদার নারায়ণপুরের কাছ থেকে বাইপাসটি শুরু হয়ে শেষ হয় ইংরেজবাজারের যদুপুরের কাছে। এই কাজের জন্য বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙাও পড়ে। বেশ কিছু পরিবারকে ক্ষতিপূরণও দিতে হয়। বাইপাসের মধ্যে পড়ে যায় মহানন্দা নদীও। নদীর ওপর গড়ে তোলা হয় একটি সেতু। সেই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেলেও অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণের কাজ এখনও শেষ হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে নিজেদের সমস্যার কথা জানিয়ে বারবার সাংসদ, বিধায়ক সহ বণিকমহল সরব হয়েছেন। কিন্ত কাজ শুরু হওয়ার পর প্রায় সাত বছর অতিক্রম হলেও বাইপাস তৈরি সম্পূর্ণ হয়নি। শুধু তাই নয়, মালদা জেলার বিভিন্ন অংশে এখনও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের কাজও অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। কাজ শেষ না হলেও চড়া মূল্যে টোলট্যাক্স চালু করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বণিকমহলে। চলতি বর্ষায় ৩৪নম্বর জাতীয় সড়কে বড়ো বড়ো গর্ত তৈরি হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এই নিয়ে উত্তরবঙ্গ সংবাদে খবরও প্রকাশিত হয়।

অন্যদিকে, বেহাল জাতীয় সড়ক মেরামতি এবং থমকে থাকা বাইপাসের কাজ দ্রুত শুরু করার জন্য গত জুন মাসে নীতিন গড়করির কাছে লিখিত আবেদন করেছিলেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরি। কিন্তু সেই আবেদনের পরেও বাইপাসের কাজ শুরু হয়নি। এরপরেই গতকাল রাতে নীতিন গড়করির সঙ্গে দেখা করে একই দাবি করেন খগেন মুর্মুও। যদিও বাইপাসের কাজ থমকে থাকার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এনএইচএ-১-এর এক কর্তা বলেন, গত আট মাস ধরে দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলাও করা হয়েছে। সেই মামলা শেষ না হওযা পর্যন্ত বলা যাবে না কবে শেষ হবে বাইপাস তৈরির কাজ। তবে নীতিন গড়করির কোনো নির্দেশ এখনও পর্যন্ত মালদায় এসে পৌঁছায়নি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক যেভাবে নির্দেশ দেবে, সেইমতো কাজ করা হবে।

বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই, ২০১৯

আস্থা ভোটে পরাজয়, ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান পদ হারালেন সৌমিক হোসেন

ডোমকল:  স্বজনপোষণ ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলদেরই একাংশ।  আস্থা ভোটে হেরে ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান পদ হারালেন তৃণমূল নেতা সৌমিক হোসেন। বৃহস্পতিবার পুরসভায় তলবি সভা ডেকেছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার চাকি। সভায় চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন ১৫ জন কাউন্সিলর।

বছর দুয়েক আগে তৈরি হয় মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভা। ২১ আসনের পুরসভার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা তৃণমূলেরই। গত ১ জুলাই চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন শাসকদলের ১৩ জন কাউন্সিলর। নিয়ম মেনে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি পাঠানো হয় মহকুমা শাসককেও। পুর আইন অনুযায়ী, মহকুমা শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবের চিঠি জমা পড়ার পর পনেরো দিনের মধ্যে তলবি সভা ডাকতে হয় সংশ্লিষ্ট পুরসভার চেয়ারম্যানকে। কিন্তু, এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তলবি সভা ডাকেননি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেন। শেষপর্যন্ত সাতদিনের নোটিশে বৃহস্পতিবার তলবি সভা ডাকেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপকুমার চাকি। সভায় চেয়ারম্যান হাজির ছিলেন ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে অনাস্থা প্রস্তাব পাস করিয়ে নেন ডোমকল পুরসভার ১৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলর।

কিন্তু ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে কেন অনাস্থা আনলেন তাঁর দলেরই কাউন্সিলর? জানা দিয়েছে, গত দু’বছর ধরে সৌমিক হোসেনের কাজে একেবারেই খুশি ছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলররা। তাঁদের অভিযোগ, বোর্ড গঠনের পর দু’বছর কেটে গেলে কাউন্সিলরদের সঙ্গে সরকারিভাবে বৈঠকে বসার আগ্রহ দেখাননি চেয়ারম্যান। এমনকী, পুরসভায় তিনি নিয়মিত আসেনও না। ফলে পুরসভার কাজে যেমন ব্যাঘাত ঘটছিল, তেমনি পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে পুরসভায় আর্থিক দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগও ছিল। এদিকে আস্থা ভোট নিয়ে  ডোমকল পুরসভার অপসারিত চেয়ারম্যান সৌমিক হোসেনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


নিয়োগের দাবিতে এবার পথে নামছেন কয়েক হাজার পশু-চিকিৎসক

কলকাতা: বন্ধ নিয়োগ৷ দক্ষ পশুচিকিৎসকদের অভাবে ধুঁকছে গ্রামবাংলার অন্তত ২ হাজার ৬৫২টি পশুচিকিৎসা কেন্দ্র৷ আর তাতেই মার খাচ্ছে বাংলার পশুপালন থেকে শুরু করে গ্রামবাংলার অর্থনীতি৷ কর্মীর অভাবে ধুঁকতে থাকা পশুচিকিৎসা কেন্দ্রের হাল ফেরাতে ও প্রশিক্ষিতদের নিয়োগের দাবিতে এবার আন্দোলনে নামছেন পশুচিকিৎসকদের বৃহদাংশ৷  প্রাণী সম্পদ বিকাশ ভবনের সামনে আগামী ২৯ জুলাই ধর্না কর্মসূচির ডাক পশুচিকিৎসকদের৷

পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশের অর্থনীতিতে কৃষিকাজের সঙ্গে পশুপালন বেশ গুরুত্বপূর্ণ৷ কিন্তু এই পশুপালন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রতি মুহূর্তে৷ যার অন্যতম কারণ উপযুক্ত মাত্রই প্রশিক্ষিত লোকের অভাব৷ আর সেই কারণে কোথাও যেন খামতি থাকছে পশুপালনের উদ্যোগ৷ দু’টি গোরু ১০টি হাঁস, খরচ জোগাবে ১২ মাস, সরকার কর্তৃক গৃহীত এই পদক্ষেপ গুলিরও মার খাচ্ছে৷ রাজ‍্যের প্রায় সমস্ত পঞ্চায়েত স্তরে একটি করে পশুদের জন্য স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে৷ যার সংখ্যা ২ হাজার ৬৫২টি৷ এগুলি প্রায় ধুঁকছে দক্ষ কর্মীর অভাবে৷ খাতায় কলমে খোলা থাকলেও বাস্তব বলছে অন্য কথা৷ ফলে, কৃষকে ছুটতে হচ্ছে গ্রাম থেকে দূরে ব্লক প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে৷ কিংবা রাজ‍্য প্রাণী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে৷

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, এই অভাব মেটাতে ১১০০ কর্মী নেবেন৷ কিন্তু, তখনও পর্যন্ত বাংলায় ১ হাজার ১০০ প্রশিক্ষিত কর্মী ছিল না৷ ফলে, ২০১৬ সাল থেকে শুরু হয় প্রশিক্ষণ দেওয়া কাজ৷ বাম আমলে আসন সংখ্যা ছিল ৭০৷ তা বাড়িয়ে করা হয় ৪১০৷ পশ্চিমবঙ্গের তিনটি প্রাণী সম্পদ বিকাশ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়৷ তার পর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গেছে৷ কিন্তু আজ ছবিটা একই৷ বরং প্রতি বছর অবসর নিচ্ছেন অনেক কর্মী৷ কিন্তু নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া আর শুরু হয়নি৷ ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ মহাশয়ের কাছে বহু বার আবেদন করলেও আজও কিছু আশার আলো দেখা যায়নি৷ এই মুহূর্তে প্রশিক্ষিত কর্মী সংখ্যা ১ হাজার ২০০ বেশি৷ শেষ নিয়োগ হয় ২০১২ সালে৷

এবিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সজ্বল মণ্ডল বলেন, ‘‘আমিও এই প্রশিক্ষণ নিয়েছি৷ কিন্তু, আজ পশুচিকিৎসার হাল খুব বেহাল৷ কিছু হাতুড়ে লোক দিয়ে চিকিৎসা করতে একপ্রকার বাধ্য হচ্ছে গ্রামের সাধারণ কৃষক৷ গত বছর FMD (FOOTH AND MOUTH Disease) বা এঁসো বা খুরাই রোগের নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প চালু করা হয়৷ কিন্তু অপ্রশিক্ষিতদের নিয়োগ করায় এই প্রকল্প সাফল্য পায়নি৷ ফলে গোটা পশ্চিমবঙ্গজুড়ে মারা গিয়েছে অসংখ্য গবাদিপশু৷ এই ভেঙে পড়া পরিস্থিতিকে ফিরিয়ে আনতে আর আমাদের নিয়োগের দাবিতে আমরা ২৯ জুলাই, প্রাণী সম্পদ বিকাশ ভবনের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের ডাক দিয়েছি৷ উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ওই খানেই বসে থাকব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি৷’

স্রেফ সন্দেহের বশে দেওয়া যাবে সন্ত্রাসবাদী তকমা, লোকসভায় পাশ নয়া বিল

 বিরোধী বেঞ্চের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও লোকসভায় পাশ হয়ে গেলে ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ)-এর সংশোধনী বিল। এই আইন পাশ হওয়ার ফলে স্রেফ সন্দেহের বশে যে কোনও ব্যক্তিকে সন্ত্রাসবাদী তকমা দেওয়া যাবে। এমনকী তাদের গ্রেপ্তারও করা যাবে। সেই ব্যক্তি যদি কোনও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নাও থাকে তাতেও তাঁকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে গণ্য করা হবে। ইউএপিএ-সংশোধনীর এই ধারাগুলিতেই আপত্তি বিরোধীদের। তাদের দাবি, এই বিল আইনে পরিণত হলেই সরকারের কাছে অদম্য ক্ষমতা চলে আসবে। এর ফলে স্বৈরতন্ত্র চালু হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করছেন অনেকে।


এই বিল নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল বিরোধীদের। বিলটি লোকসভায় পেশ হোক সেটাই চাইছিল না বিরোধী শিবির। কিন্তু, বিরোধীদের আপত্তি হেলায় উড়িয়ে দিয়ে বিলটি পেশ হয় এবং এনডিএ-র ক্ষমতাবলে পাশও হয়ে যায়। সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত না-থাকলেও কাউকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা যাবে এবং সন্দেহের বশে যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে পুলিশ। এছাড়াও বাড়ানো হয়েছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর ক্ষমতাও। এই বিল আইনে পরিণত হলে এনআই যে কোনও রাজ্যের যে কোনও ব্যক্তির বাড়িতে যে কোনও সময় তল্লাশি চালাতে পারবে। এর জন্য সেই রাজ্য সরকারের অনুমতি নিতে হবে না। বিরোধীদের দাবি, এই সংশোধনী যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতে হস্তক্ষেপ।


বিরোধীরা মনে করছে, এই সংশোধনী পাশ হয়ে গেলে যে কোনও বিরোধী কণ্ঠস্বরকেই দেশবিরোধী বলে থামিয়ে দেবে সরকার। সরকারের বিরোধিতা করলেই জুটবে সন্ত্রাসবাদী তকমা। মূলত ‘আর্বান নকশাল’-দের কথা মাথায় রেখেই সরকার বিল পাশ করাতে চাইছে। এর ফলে শহুরে বিরোধী কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে দেওয়া হবে দেশ বিরোধী বলে। তবে, সরকারপক্ষের দাবি, এই আইনের কোনও অপব্যবহার হবে না।

বুধবার, ২৪ জুলাই, ২০১৯

ডোমকল পৌরসভার আগামীকাল আস্তা ভোট,জারি 144ধরা

আগামীকাল(25/7/19) ডোমকল পৌরসভা অফিসের 1 কিলোমিটার মধ্যে #144_ধারা থাকবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এই ধারার কেও অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।
চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা আনা হয়েছিল তার ভোট কালকে হবে।

ডোমকল পৌরসভার আগামীকাল আস্তা ভোট,1 কিলোমিটার পর্যন্ত জারি 144ধরা


আগামীকাল(25/7/19) ডোমকল পৌরসভা অফিসের 1 কিলোমিটার মধ্যে #144_ধারা থাকবে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এই ধারার কেও অমান্য করলে আইনগত বেবস্থ্যা নেওয়া হবে তাদের বিরুদ্ধে।
চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে যে অনাস্থা আনা হয়েছিল তার ভোট কালকে হবে।

মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯

আস্থা ভোটে হার, কর্ণাটকে পতন কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের

 দীর্ঘদিনের নাটকের যবনিকা পতন৷ অবশেষে কর্ণাটক বিধানসভায় পতন ঘটল কংগ্রেস-জেডিএসের জোট সরকারের৷ আস্থা ভোটে প্রয়োজনীয় সমর্থন জোগাড় করতে পারলেন না মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী৷ জয় হল ইয়েদুরাপ্পার নেতৃত্বাধীন বিজেপির৷ সূত্রের খবর, ৯৯টি ভোট পড়েছে কংগ্রেস-জেডিএসের পক্ষে৷ অন্যদিকে বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি ভোট৷


ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হলেন বরিস জনসন

জেরেমি হান্টকে বড়সড় ব্যবধানে হারিয়ে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন ।

লন্ডন: যুক্তরাজ্যের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন । থেরেসা মের পদত্যাগের পর প্রায় ৯২,১৫৩ ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন (Boris Johnson)।

অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে বড়সড় ব্যবধানে হারিয়ে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন ।

একাধারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান অর্থাৎ ব্রেক্সিট (Brexit) ও থেরেসা মের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে জনসনের ভূমিকা ।

জেরেমি হান্টকে বড়সড় ব্যবধানে হারিয়ে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন ।


লন্ডন: যুক্তরাজ্যের নয়া প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন । থেরেসা মের পদত্যাগের পর প্রায় ৯২,১৫৩ ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন (Boris Johnson)।

অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেরেমি হান্টকে বড়সড় ব্যবধানে হারিয়ে ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হয়েছেন বরিস জনসন ।

একাধারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের প্রস্থান অর্থাৎ ব্রেক্সিট (Brexit) ও থেরেসা মের পদত্যাগের পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে জনসনের ভূমিকা ।


রবিবার, ২১ জুলাই, ২০১৯

চাঁদের বুকে আজ পা রাখবে চন্দ্রযান-২, ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে ইসরো

ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আজ চাঁদের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে ভারতের চন্দ্রযান-২৷ গত ১৫ জুলাই উৎক্ষেপনের ৫৬ মিনিট আগে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় চন্দ্রযান-২ অভিযান৷ পরে ত্রুটি কাটিয়ে আজ ফের চাঁদ জয়ের অভিযানে যাচ্ছে ইসরো৷ জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে স্থগিত রাখা হয় চাঁদের অভিযান৷ পরে তা কাটিয়ে ইসরো জানিয়েছে, আজ সোমবার চাঁদের উদ্দেশে রওনা হবে চন্দ্রযান-২৷ আজ দুপুর ২টো ৪৩ মিটিয়ে উৎক্ষেপন হবে চন্দ্রযান-২৷

এই অভিযান সফল হলে চাঁদের মাটিকে স্পর্শ করার কৃতিত্বে আমেরিকা, রাশিয়া ও চির পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে ভারত৷ চাঁদে পৌঁছানোর লড়াইটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে৷ ১৯৫৮ সাল থেকে শুরু লড়াই৷ কে আগে চাঁদে পৌঁছাতে পারবে, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা ছিল আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে৷ ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৷ এরপরে আমেরিকা রাশিয়াকে টক্কর দিতে ১৯৬৯ সালে প্রথম মানুষ পাঠিয়ে দেয় চাঁদে৷ এবার চিনের পর ভারতের পালা৷

আমেরিকা যখন চাঁদে মানুষ পৌঁছে দিয়েও সেখানে জলের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ খুঁজতে ব্যর্থ হল, তখনই ভারতের প্রথম অভিযান চন্দ্রযান-১ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতেই সফলভাবে খুঁজে ফেলল পৃথিবীর উপগ্রহে একসময় জল ছিল৷ পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বের তাবড়ও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সেই তথ্য সঠিক বলে মেনে নিতে হয়েছে৷

ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ সফলভাবে উৎক্ষেপিত হলে ও তার যাত্রাপথে কোনও সমস্যা না হলে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে পা খারার কথা ছিল ভারতের৷ কিন্তু, তা পিছিয়ে যায়৷ আজ থেকে ৬০ বছর আগে ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে পাঠানো প্রথম কোনও যন্ত্র চাঁদের বুকে সফলভাবে নেমেছিল৷ তাই এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতীয় চন্দ্রযান-২ ও সাফল্যের মুখ দেখে কি না, সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব

শনিবার, ২০ জুলাই, ২০১৯

জলঙ্গী থানার ওসি বিপ্লব কর্মকারের বদলি ঘিরে উঠছে প্রশ্ন

সামাজিক সচেতনতা থেকে পথ দূর্ঘটনা রোধে বাড়ি বাড়ি প্রচার,সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার্থে উদ্যোগ থানা এলাকার সমাজ বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণ করে হয়ে উঠেছিলেন জনসেবী পুলিশ অফিসার।পুলিশ জনতার দূরত্ব ঘুঁচিয়ে মানুষের আপনজন হয়ে ওঠা জলঙ্গী থানার অফিসার ইন চার্জ বিপ্লব কর্মকারকে হঠাৎই বদলি করে দেওয়া হল বেলডাঙ্গা থানায়।

এই বদলি ঘিরে উঠছে অনেক প্রশ্ন।বিপ্লব বাবু যে থানা এলাকায় দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেই দক্ষতার সাথে মানুষের আপনার জন হয়ে উঠেছিলেন যা সাধারণত বিরল।এই ধরনের পুলিশ অফিসারকে হঠাৎ পদস্খলন করে সাব ইনস্পেকটর পদে বেলডাঙ্গা থানায় কেন বদলি করা হল এই বিষয়ে হতবাক জলঙ্গীর আমজনতা।

অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়ে।আজ ২১ জুলাই জলঙ্গী থানা থেকে বেলডাঙ্গা থানায় সাব ইনস্পেকটর পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন বিপ্লব বাবু।

পার্টি অফিস খুলে উচ্ছ্বসিত বামকর্মীরা

তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রথমবারের জন্য খুলল গড়বেতায় সিপিএম-এর পার্টি অফিস। একসময় সিপিএম-এর শক্তঘাঁটি ছিল এই এলাকা। এখান থেকেই মন্ত্রী ছিলেন সুশান্ত ঘোষ। আদালতের নির্দেশের কারণে তিনি যেমন এলাকাতেই ঢুকতে পারেন না, ঠিক তেমনই শাসকদলের সন্ত্রাসের ভয়েই পার্টি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। জানিয়েছে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব।

জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সঙ্গে লড়াই হোক কিংবা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই চলে আসত গড়বেতার নাম। কিন্তু আস্তে আস্তে পরিস্থিতি বদলে যায়। এলাকার অন্যসব পার্টি অফিসের মতো গড়বেতার গুয়াইদহের সিপিএম পার্টি অফিসটি বন্ধ ছিল ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই। বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ আঙুল তুলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সিপিএম সম্পাদক তরুণ রায়।

জেলা সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, গোটা রাজ্যের মতো সেখানেও রাজনৈতিক বিভেদের খেলায় নেমেছে তৃণমূল ও বিজেপি। এই বিভেদের খেলা বন্ধ করতে সম্প্রীতির বার্তা নিয়েই তারা এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বাম নেতৃত্ব।

পশ্চিমবঙ্গের নতুন রাজ্যপাল হচ্ছেন জগদীপ ধনকর

নয়াদিল্লি: আগেই গুজরাত ও হিমাচলপ্রদেশের রাজ্যপাল পদে রদবদল ঘটিয়েছে কেন্দ্র৷ এবার পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যরাল পদে পরিবর্তন ঘটালো কেন্দ্র৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির পদে বসতে চলেছেন জগদীপ ধনকর
জগদীপ ধনকর কে? জানা গিয়েছে তিনি সুপ্রিম কোর্টের জনপ্রিয় আইনজীবী হিসাবে পরিচিত তিনি৷ লড়েছেন নির্বাচনে৷ রাজস্থানের ধুলধুলি সংসদ ও বিধায়ক হয়েছেন তিনি৷ ছিলেন বিজেপির অন্দরেও ছিল তাঁর গুরুত্ব৷ সংসদে আইন বিষয়ক বিভাগের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি৷ এবার বাংলার রাজ্যপালের পদ সামলাবেন জগদীপ ধনকর।

শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবন সূত্রে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়, নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল হচ্ছেন আরএন রবি৷ ত্রিপুরার রাজ্যপাল হচ্ছেন রমেশ বায়াস৷ মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল হচ্ছেন লালজি ট্যান্ডন৷ উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল হচ্ছেন আনন্দীবেন পটেল৷ বিহারের রাজ্যপাল হচ্ছেন ফাগু চৌহান৷ হিমাচলের রাজ্যপাল পদ থেকে আচার্য দেবব্রতকে সরিয়ে কলরাজ মিশ্রকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে৷ আচার্য দেবব্রতকে গুজরাতের রাজ্যপাল করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতির সচিবালয় থেকে একথা জানানো হয়েছে৷


চলতি মাসের মধ্যেই ১২ রাজ্যের রাজ্যপালের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে৷ সেই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ উত্তরপ্রদেশ থেকে ত্রিপুরা৷ প্রধানমন্ত্রী দপ্তর এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, ১২টি রাজ্যেই নয়া রাজ্যপাল হিসেবে নতুন মুখ আনা হতে পারে৷

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২৩ জুলাই৷ রাজ্যপাল ওপি কোহলির পদে আচার্য দেবব্রতকে গুজরাতের রাজ্যপাল করা হয়েছে৷ তাঁর পরপরই নাগাল্যান্ডের রাজ্যপাল পি বি আচার্যের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ১৮ জুলাই হয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল রাম নায়েকের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২১ জুলাই৷ আগামী ২৬ জুলাই ত্রিপুরার রাজ্যপাল কাপ্টেন সিং সোলাঙ্কির কার্যকাল শেষ হচ্ছে৷ এক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আনতে পারে কেন্দ্র৷ যদিও সংবিধানের ১৫৫ ও ১৫৬ ধারায় কোনও রাজ্যের রাজ্যপাল নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি৷

শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯

ভয়ঙ্কর: ১৫ কোটি মানুষের নাম ও ব্যক্তিগত ছবি ফেসঅ্যাপের হাতে

সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বুড়ো হওয়ার ধুম। সেলেব হোক কিংবা সাধারণ মানুষ। বুড়ো হচ্ছে সবাই। ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বজুড়ে ফেসঅ্যাপ বেশ নজর কেড়েছে। এরইমধ্যে অনেকেই জেনে কিংবা কেউ কেউ না জেনেও ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করেছেন। শুধু ভারতেই নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই ফেসঅ্যাপের ছোঁয়া লেগেছে।

ইউজাররা নিজেদের বুড়ো হওয়ার ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করছেন। বর্তমান এই যুগে যে কোনও অ্যাপ ব্যবহারই বিপজ্জনক, এমনটাই বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। আর এটা জেনেও নিজের বুড়ো চেহারা দেখার ‘লোভে’ ফেসঅ্যাপে ঢুঁ মেরেছেন অনেকেই।

যে কোনও অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেই ব্যক্তিগত তথ্য চুরি যাওয়ার ভয় থাকে। আর ফেসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও ছিল। শুরু থেকেই অনেক সাইবার বিশেষজ্ঞই তা নিয়ে সতর্ক করেছেন। ফের একবার সতর্ক করলেন তারা। মার্কিন বিজনেস ম্যাগাজিন ফোর্বস তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ভাইরাল হওয়া ফেসঅ্যাপ মানুষকে তাদের মুখভঙ্গি পরিবর্তন এবং বয়স বাড়িয়ে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। বিনিময়ে মানুষ ফেসঅ্যাপকে দিয়েছে তাদের নাম এবং ছবি ব্যবহারের ক্ষমতা। অর্থাৎ ফেসঅ্যাপ এখন চাইলেই যে কোনও কাজে এসব নাম এবং ছবি ব্যবহার করতে পারে।

হিসাব বলছে, গুগল প্লে-স্টোর থেকে এখনও পর্যন্ত ১০ কোটিরও বেশিবার ফেস অ্যাপটি ডাউনলোড হয়েছে। আর ১২১টি দেশে থাকা আইওএস অ্যাপ স্টোরে বর্তমানে শীর্ষে থাকা অ্যাপ হল ফেসঅ্যাপ। এসব হিসাবই বুঝিয়ে দিচ্ছে মানুষ এই অ্যাপের প্রতি কতটা ঝুঁকেছেন। প্রতিটি অ্যাপেরই কিছু ব্যবহারবিধি এবং শর্ত (টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনস) থাকে। বেশিরভাগ অ্যাপের ক্ষেত্রে আমরা সেগুলো না পড়েই অ্যাগ্রি বোতামে দিয়ে দিই। ফেসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও হয়ত অনেকেই না পড়ে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু তারা কি জানেন এই অ্যাপের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনসে কী লেখা আছে?

এটা জানলে এখন হয়তো আপনি হতাশ হয়ে পড়বেন। তাদের সেই নিয়মে পরিস্কার লেখা আছে, ফেসঅ্যাপ এসব তথ্য শর্তহীনভাবে আজীবনের জন্য যে কোনও কাজে ব্যবহার করতে পারবে। এমনকি যে কারও সামনে এগুলো সামনে তুলে আনতে পারবে। যারা ফেসঅ্যাপ এরই মধ্যে ব্যবহার করেছেন তারা এই কথাগুলোতে সম্মতি দিয়েই করেছেন। সময় যত যাবে প্রযুক্তি ততই এগোবে। একসময় হয়তো আপনার ছবি দিয়েই বিভিন্ন সেবা কিংবা অর্থ লেনদেন করা যাবে। আমরা তো স্মার্টফোনে এখনই ফেসলক ব্যবহার করছি। এবার ভাবুন, ফেসঅ্যাপ ব্যবহার করা ঠিক হলো কিনা।

বাংলার জন্য আর্থিক প্যাকেজ, বাংলার জন্যে লোকসভায় লড়াই অধীরের

পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ পেতে এতদিন লড়াই করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই একই লড়াই শুরু করলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা তথা বহরমপুরের সংসদ অধীর চৌধুরী। আইন বলেই রাজ্যকে বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ পাইয়ে দিতে তৎপর হয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের অনুমতি মিললেই এই সংক্রান্ত বিল লোকসভায় আনা হবে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সিতারমন।

বামফ্রন্ট সরকারের আমলে ঋণের বোঝা সামাল দিতে কেন্দ্রের কাছে লাগাতার দরবার করে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র তো বটেই, তৃণমূলের সাংসদরাও প্রথমে ইউপিএ পরে মোদি সরকারের কাছে দরবার করেছেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিআরজিএফ অর্থাৎ ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন গ্রান্ট ফান্ড ব্যতিরেকে তেমন কোনও বিশেষ আর্থিক প্যাকেজ পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়নি বলেই তৃণমূলের অভিযোগ।

রাজনীতিতে দুজনের সাপে-নেউল সম্পর্ক হলেও রাজ্যের স্বার্থে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন অধীর চৌধুরী।

জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় আইন মোতাবেক পশ্চিমবঙ্গ বিশেষ আর্থিক সাহায্য পাবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন দেশের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। রাষ্ট্রপতি অনুমতি দিলেই এই সংক্রান্ত বিল লোকসভায় আনা যাবে। এবং সেই বিল পাশ হয়ে গেলে সরকারের কাছে কোনও দরবার বা আবেদন নিবেদন নয়। আইনের অধিকারেই রাজ্য বিশেষ আর্থিক সাহায্য পাবে।

এ ব্যাপারে অধীর চৌধুরী বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক বিরোধ থাকতেই পারে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে আমাদেরও অধিকার আছে। তাই কোনও সরকারের কথা ভেবে নয়, রাজ্যের বাসিন্দাদের কথা মাথায় রেখেই ভিক্ষে না চেয়ে আইনে বেঁধে বিশেষ আর্থিক সাহায্যের উদ্যোগ নিয়েছি। “

ছাগল চাষে পশ্চিমবঙ্গের সাফল্যকে ‘মডেল’ করতে চায় মোদী সরকার

পশ্চিমবঙ্গের প্রাণিসম্পদ দফতরের কাজ ‘মডেল’ হিসাবে গোটা দেশে তুলে ধরতে চায় মোদী সরকার৷ রাজ্যের সহায়তায় যে পক্রিয়ায় বাংলায় পশুপালন চলছে তা খতিয়ে দেখতে রাজ্যে একটি দল পাঠাচ্ছে কেন্দ্র৷

দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রাণিসম্পদ ও ডেয়ারি সংক্রান্ত নতুন একটি মন্ত্রক চালু করেছেন। সেই মন্ত্রক গোড়াতেই পাখির চোখ করছে বিদেশের বাজারে মাংস রপ্তানিকে। দেশের বাজারে সম্পূর্ণ চাহিদা মিটিয়েই চলবে এই রফতানি৷ কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী মাংস রফতানিতে বিপ্লব ঘটিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলা৷ এরাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আওতায় থাকা ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশন যেভাবে হরেক পশুর মাংস উৎপাদনে কৃষকদের সহায়তা করছে, তা ‘মডেল’ হিসাবেই তুলে ধরা হবে৷

বিদেশের বাজারে পর্ক বা শূকরের মাংসের প্রচুর চাহিদা। অপ্রচলিত মাংসের মধ্যে বেশ ভালো চাহিদা রয়েছে খরগোশেরও। কেন্দ্রীয় সরকার চায়, ওই দুই প্রজাতির মাংসের পাশাপাশি খাসির মাংসও বাইরের দেশে বিক্রি হোক। সেই কাজে গতি আনতেই দরকার রাজ্যে রাজ্যে বেশি পরিমাণ পশুপালন। তার জন্য প্রয়োজন পশুপালনের একটি ‘সফল’ মডেলকে সামনে আনা, যা দেখে অন্য রাজ্যগুলি উৎসাহিত হবে। কীভাবে মাংস বেচে লাভবান হওয়া যায় এবং চাষিদের লাভের মুখ দেখানো যায়, সেই তথ্যই রাজ্যে রাজ্যে জানাবে কেন্দ্র।

হরিণঘাটা মিট’ ব্র্যান্ডের আওতায় মাংস বেচে ইতিমধ্যেই সাড়া ফেলেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশন। কেন্দ্রের মতে, মুনাফা করার চেয়েও সংস্থার বড় দায়িত্ব কৃষকদের লাভের মুখ দেখানো। সেই কাজে কর্পোরেশন সফল।

কেন্দ্রের চাহিদার কথা স্বীকার করেছেন রাজ্য প্রাণি সম্পদ দফতরের এক আধিকারিকের কথায় ‘রাজ্যের খরগোশ চাষকে সবার আগে নজরে আনে কেন্দ্র। গোটা দেশে কোথাও সংগঠিতভাবে খরগোশ চাষ করা হয় না। সরকারপক্ষ থেকেও তেমন উৎসাহ দেওয়া হয় না। অথচ দেশ-বিদেশে বিরাট বাজার পড়ে আছে এই মাংসের। উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া এবং হুগলিতে যেভাবে কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে খরগোশ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা, সেটাই এবার সরেজমিনে দেখে যেতে চান কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কর্তারা। তবে কেন্দ্রের উৎসাহ খরগোশের পাশাপাশি শূকর ও ছাগল নিয়েও। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় কীভাবে তাদের বাড়বাড়ন্ত, তারও তত্ত্বতালাশ করতে চায় কেন্দ্র।’

রাজ্য প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কর্তারা বলছেন, হুগলি ও নদীয়ায় অন্তত ২২ জন কৃষক বৈজ্ঞানিকভাবে ছাগল প্রতিপালন করছেন, যার মাংস সরাসরি কিনে নিচ্ছে ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশন। শূকরের ক্ষেত্রে কৃষকের সংখ্যা ৩০ জনেরও বেশি।ওয়েস্ট বেঙ্গল লাইভ স্টক কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, ‘দিল্লি থেকে আমাদের কাছে জানতে চাওয়া যায়, আমরা কীভাবে কৃষকদের পশুপালনে উৎসাহ দিচ্ছি এবং সরাসরি তাদের থেকে মাংস কিনে নিচ্ছি। প্রাথমিক কথাবার্তা যতটুকু এগিয়েছে, তাতে আমাদের রাজ্যকে অন্য রাজ্যের কাছে মডেল হিসেবে তুলে ধরতে চায় তারা।’


প্রতিপক্ষের সুবিধা করেছে আরএসপি, গোপন চিঠিতে শরিককে কাঠগড়ায় তুলে দায়সারা সিপিএম?

লোকসভা ভোটে ভরাডুবির দায় কার? নিজেদের ঘাড় থেকে দায় ঝেড়ে ফেলে কার্যত আরএসপি-কেই কাঠগড়ায় তুলল সিপিএম। আলিমুদ্দিনের সর্বক্ষণের কর্মীদের উদ্দেশে লেখা দলীয় চিঠিতে লেখা হয়েছে, প্রতিপক্ষদের কাছে নতিস্বীকার করেছে শরিক আরএসপি। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতেই এসব বলা হচ্ছে। ক্ষিতি গোস্বামীর বক্তব্য, এমনটা হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইতে হবে সিপিএমকে। গোটা ঘটনায় আরও একবার প্রশ্নটা উঠল, আগামী দিনে বামফ্রন্ট টিকে থাকবে তো? কারণ, শরিকদের ভোট বলতে আর কিছু নেই বলে মন করছে সিপিএম নেতাদের একাংশ। কংগ্রেসকেই প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করছে ওই অংশের নেতৃত্ব।               

কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে চলতে আলিমুদ্দিনের নেতারা যতটা আগ্রহী, শরিক দলের নেতারা ততটা নন। এনিয়ে বামফ্রন্টের অন্দরে রয়েছে নানান টানাপোড়েন। লোকসভা নির্বাচনেই বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, বসিরহাটের মতো আসন নিয়ে শরিকদের বাধার সম্মুখীন হয়েছে সিপিএম।  অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ইদ মহম্মদকে প্রার্থী করেছিল আরএসপি। সিপিএম যখন কংগ্রেসকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, সেই সময় শরিকের এমন একগুঁয়ে মনোভাব ভালো চোখে দেখেননি সিপিএম নেতারা। 

এবার লোকসভা ভোটে ভরাডুবির পর্যালোচনায় সরাসরি আরএসপির দিকে আঙুল তুলল তারা। সিপিএমের পার্টি চিঠিতে লেখা হয়েছে,'২০১৪ সালে কংগ্রেসের প্রাপ্ত চারটি আসনের মধ্যে, ২টি আসনে বামফ্রন্টের প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। সমঝোতার উদ্যোগ নিষ্ফলা হওয়ায় লাভবান হয় প্রতিপক্ষ'। কিন্তু কোন প্রতিপক্ষ দল লাভবান হয়েছে তা স্পষ্ট উল্লেখ নেই।


সিপিএমের মূল্যায়ন, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট না হওয়ায় ভোটে ভরাডুবি হয়েছে। আর তার দায় এবার মূলত, আরএসপির ওপরই চাপিয়ে দিল তারা। দলের সর্বক্ষণের কর্মীদের কাছে যায় দলীয় চিঠি। সেখানে এই মূল্যায়ন নথিবদ্ধ করে দলীয় কর্মীদের কাছেও আরএসপিকে ভিলেন বানাল আলিমুদ্দিন। যা মোটেই ভালভাবে নিচ্ছে না শরিক দল। আরএসপি নেতা ক্ষিতি গোস্বামীর কথায়,'বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর। ফ্রন্টের বৈঠকে নিশ্চিতভাবে তুলব। এমনটা হয়ে থাকলে ক্ষমা চাইতে হবে সিপিএমকে'। 

বাম সরকারের জমানাতেও শরিকদের ঠোকাঠুকি লেগে থাকত সিপিএমের। কিন্তু এখন শরিকরা কার্যত মাথাব্যাথ্যায় পরিণত হয়েছে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর। শরিক দলগুলির সংগঠন বলে যে আর কিছু অবশিষ্ট নেই, তা বিলক্ষণ অনুধাবন করা গিয়েছে গত লোকসভা ভোটে। অতএব এমন প্রেক্ষাপটে শরিকদের চেয়ে কংগ্রেসের হাত ধরাই অগ্রাধিকার বলে মনে করছেন অনেকেই। ফলে আগামী দিনে ফ্রন্টে ভাঙন ধরলেও বিস্মিত হওয়ার উপাদান থাকবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

বুকে ক্ষত নিয়ে সাঁইথিয়া রেল দুর্ঘটনার ১০ বছর


ঘুমের মাঝে আকস্মিক দুর্ঘটনায় চলে গিয়েছিল কারোর মা বাবা, কারো সন্তান, কারোর বা প্রিয় আপনজন, আবার কেউ সেদিন রাতে হয়েছিলেন সর্বস্বান্ত। ১৯ শে জুলাই, সাঁইথিয়ার রেল দুর্ঘটনা এখনো সবার বুকে ক্ষতের দাগ হয়ে রয়ে আছে, আজ থেকে নয় বছর আগে সাঁইথিয়ার ৪ নং প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা বনাঞ্চল এক্সপ্রেসকে পিছন থেকে ধাক্কা মারে উত্তরবঙ্গ এক্সপ্রেস, রাত তখন ১.৫৫। এতটাই স্বজোড়ের সেই দুর্ঘটনা, যার আওয়াজে আশেপাশের বাড়ির মানুষ ঘুম থেকে উঠে পড়েন। দুর্ঘটনা এতোটাই ভয়াবহ ছিলো যে ট্রেনের বগি রেলব্রীজের উপরে উঠে যায়। স্থানীয় মানুষ জনের প্রচেষ্টায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়, পরবর্তীকালে রেলের উদ্ধারকারী দলেরা আসে, মানুষের মৃত্যুর মিছিলে সংখ্যা দাঁড়ায় শয়ের কাছাকাছি, আহতদের সংখ্যা দুইশোর ধারে পাশে।

তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জ্জী ঘটনাস্থলে আসেন। শুরু হয় তদন্ত। তবে রিল এর তরফ থেকে এই দুর্ঘটনার ৬৬ জনের মৃত্যু এবং ১৬৫ জনের আহতের কথা ঘোষণা করা হয়। দুর্ঘটনার পর সকাল থেকে জেলা জুড়ে অঘোষিত বন্ধের চেহারা নেয়। একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স ছুটে আসতে থাকে, সাঁইথিয়া থেকে সিউড়ি সিউড়ি থেকে অন্যান্য জায়গায়। সিউড়ি সদর হাসপাতালে তখন যেন মৃত্যু মিছিল বইছে। তবে সেদিন সারা দেশ দেখেছিল বীরভূম বাসীদের বাড়িয়ে দেওয়া সহযোগিতার হাত। প্রশাসনকে একা ফেলে দিয়ে নয়, সমগ্র জেলা বাসি কোন না কোনভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অসহায় দুর্ঘটনাগ্রস্তদের পাশে।
সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর থেকে এই দিনটি সাঁইথিয়ার মানুষ কালা দিবস হিসেবেই পালন করে থাকে। সাঁইথিয়া পথ প্রদর্শক নাগরিক মঞ্চের পক্ষ থেকে এই দিনটি পালন করা হয় প্রতি বছর, শোক জ্ঞাপন করা হয় স্বজন হারানোদের প্রতি। এই বছরও তারা দুর্ঘটনার মূলস্থল রেলব্রীজের উপরে মোমবাতি হাতে নিহত মানুষগুলির আত্মার শান্তি কামনার জন্য নীরবতা পালন করবে ভুলেই সংগঠনের তরফ থেকে জানা যায়।

ভূমিকম্পে কাঁপল শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা

শিলিগুড়ি, ১৯ জুলাইঃ ভূমিকম্পে কাঁপল শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু জায়গা। শুক্রবার দুপুরে ভূকম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.৮। সিকিম হাওয়া অফিসের অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা জানান, বেলা ৩টা ৪ মিনিট নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব কামেং জেলা।

স্কুলের একশো গজের মধ্যে থাকবে না সিগারেটের দোকান, নির্দেশ কেন্দ্রের

এবার স্কুলের একশো গজের মধ্যে রাখা যাবে না কোন সিগারেটের দোকান। এবার এমনটাই নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তামাকজাত দ্রব্য থেকে পড়ুয়াদের দূরে রাখতেই এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবারই এমন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে।

রিপোর্ট বলছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির প্রতি কড়া নির্দেশ জারি করেছে। কোন অবস্থাতেই স্কুলের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের বিপণী রাখা যাবে না। ওই চত্বরটিকে ‘হানড্রেড ইয়ার্ড জোন’ বলে চিহ্নিত করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক জানিয়েছেন, তামাক বিক্রেতারাই শুধু নয়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদেরও এই নির্দেশে ওয়াকিবহাল থাকতে হবে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একশো গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের বিপণী রাখা যাবে না। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সব সময়ই “তামাক বর্জিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান(ToFEI)।” হিসেবে জায়গা দেওয়া উচিৎ। সেই সঙ্গেই শিক্ষা প্রতিস্থানে ‘তামাক বর্জিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ লেখা সাইন বোর্ড থাকা বাঞ্ছনীয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে রাখতে হবে “তামাক বর্জিত এলাকা” লেখা সাইন বোর্ড।

হিন্দুস্থান টাইমসের একটি রিপোর্টের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরের পাঁচিল, মূল ফটকে এই সাইনবোর্ডগুলি রাখতে হবে। এই লেখাগুলি বোর্ডেও থাকতে পারে অথবা দেওয়াল লিখনের মাধ্যমেও এই বার্তা সাধারণকে জানানো যেতে পারে।

গত জুনেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এমন নির্দেশিকার কথা ভেবেছিল। তবে কোন কোন রাজ্যের ক্ষেত্রে এমন নির্দেশিকা জারি করা হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই নিয়ম অমান্য করলে কড়া শাস্তি হতে পারে নিয়ম ভঙ্গকারীর বলেও জানা গিয়েছে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯

এক দেশ, এক ইলেকট্রিক বিল, রাজ্যসভায় প্রস্তাব

নয়াদিল্লি: সারা দেশে একটি নির্দিষ্ট হারে বিদ্যুতের বিল চালু করার দাবি তুললেন এক বিজেপি সাংসদ। সোমবার রাজ্যসভায় এ প্রসঙ্গে সাংসদ শ্বেত মালিক বলেন, সকলের জন্য বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সরকারের কাছে তাঁর দাবি, সারা দেশে একই দর নির্ধারণ করা হোক প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে।

মালিক জিরো আওয়ারে এ দিন বলেন, সারা দেশের ভিন্ন রাজ্য বিভিন্ন ধরনের খরচ পড়ে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের খরচে। এই বৈষম্য দূর করা হোক। নচেত সবার কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে এই ভিন্ন ভিন্ন ইলেকট্রিক শুল্কতালিকা।

বিষয়টিকে আরও স্পষ্ট করে দিয়ে মালিক বলেন, পঞ্জাবে এক ইউনিট বিদ্যুতের জন্য খরচ করতে হয় ৮ টাকা। অথচ পাশের রাজ্য হিমাচলপ্রদেশে অথবা জম্মু-কাশ্মীরে সমপরিমাণ বিদ্যুতের জন্য কম খরচ করতে হয়। এই ধরনের বৈষম্যের জেরে পঞ্জাবের গরিব মানুষ বিদ্যুতের খরচ কমাতে একাধিক কষ্টসাধ্য কৌশল অবলম্বন করেন। যেমন তাঁরা বিদ্যুতের খরচ কমাতে গরমের সময়েও পাখা বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হন।

শুধু কি তাই, শিল্পোদ্যোগীরাও বিদ্যুতে বেশি খরচের জন্য নিজের রাজ্য ছেড়ে ভিন রাজ্যে চলে যান। বিজেপি সাংসদ বলেন, যে ভাবে জিএসটির প্রচলন করে ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে, ঠিক একই ভাবে ‘এক দেশ এক ইলেকট্রিসিটি ট্যারিফ’ চালু করে এই বৈষম্য দূর করা হোক।

প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সাধারণ বাজেট পেশ করতে গিয়ে বলেন, দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ‘এক দেশ, এক গ্রিড’ স্লোগানকে সামনে রেখেই এগোচ্ছে সরকার। স্বাভাবিক ভাবে পাওয়ার গ্রিড যদি একটাই হয়, তা হলে বিদ্যুতের ইউনিট প্রতি দর-ও একই না-হওয়ার কোনো কারণ নেই বলে দাবি করেছেন মালিক।

মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০১৯

দল থেকে বাদ পড়লেন বিরাট কোহলি! সমালোচনা বিশ্বজুড়ে

সদ্য ২০১৯ এর বিশ্বকাপ শেষ হলো। আর ঠিক তারপরেই বিশ্বকাপের সেরা দল বাছাই করলেন আইসিসি। কিন্তু এক সেরা দলের মধ্যে রোহিত শর্মা ও হার্দিক পান্ডিয়া থাকলেও তাতে নেই বিরাট কোহলি।

ক্রিকেট প্রেমীদের কাছে একটাই প্রশ্ন। বিরাট কোহলি নেই কেন ? হয়তো সে সেঞ্চুরি করেনি কিন্তু পাঁচটি হাফ সেঞ্চুরি করে বিশ্বরেকর্ড করলেন তার বিন্দুমাত্র মুল্য দিল না আইসিসি। আর সেজন্যই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিরাট ভক্তরা।

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৯

১৪৯ বছর পর কাল সেই দিন

১৪৯ বছর পর কাল সেই দিন । আগামীকাল মঙ্গলবার চন্দ্রগ্রহণ । ভারত থেকেও দেখা । যাবে এই চন্দ্রগহণ । এদিন রাত ১টায় শুরু হবে এই গ্রহণ চলবে পরের দিন অর্থাৎ বুধবার রাত ৩টে পর্যন্ত । এটাই এই বছরের দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ । এবারের গ্রহণের মােট সময়সীমা ২ ঘন্টা ৫৮ মিনিট । দক্ষিণ আমেরিকা , ইওরােপ , আফ্রিকা এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে দেখা যাবে এই চন্দ্রগ্রহণ । প্রসঙ্গত দীর্ঘ ১৪৯ বছর পর গুরুপূর্ণিমার দিনে হচ্ছে চন্দ্রগ্রহণ ।

রাজনীতি নয়, অবসরের পর ভারতীয় সেনার যুক্ত হতে চান ধোনি

শোনা যাচ্ছিল বিশ্বকাপের মঞ্চকেই অবসর ঘোষণার জন্য বেছে নেবেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ কিন্তু, সেটা হয়নি৷ উল্টে ধোনি বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা ইস্কে দেন বিজেপি নেতা৷ কিন্তু, না৷ ধোনির ইচ্ছা, তিনি সেনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের হয়ে করতে চান কাজ৷ সিয়াচেনে গিয়ে সোনার সঙ্গে যুক্ত হতে চান ধনি৷ সেনা বাহিনী যদি অনুমোদন দেয়, তাহলে তিনি এক মুহূর্তেই সেনার কাজে যুক্ত হবেন৷
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ধোনি তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে জানিয়েছেন, তিনি খেলা থেকে অবসর নিয়ে সিয়াচেনে গিয়ে ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত হতে চান৷ সীমান্তে দাঁড়িয়ে করতে চান লড়াই৷ দেশের হয়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দিতে চান ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি৷

বিশ্বকাপের শুরুতে ভারতীয় সেনার বলিদানের প্রতীক গ্লাভস লাগিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি৷ চিঠি-চাপাটির পর বোর্ডের নির্দেশে সেই প্রতীক তুলে নেন ধোনি৷ তবে, নিজের ফোনের পিছনে ওই প্রতীক ব্যবহার করে পাল্টা বার্তাও দেন তিনি৷

মাঠের বাইরে ভারতীয় সেনার সঙ্গে মাহির যোগ অনেক পুরানো৷ ২০১১ সালে ধোনিকে সেনায় সাম্মানিক পদ পান৷ ১৫ দিনের প্রশিক্ষণও নেন তিনি৷ প্রশিক্ষণে ধোনি প্যারশ্যুট জাম্পও করেন৷ ভারতীয় সেনার প্রতি তাঁর টান আগেই জানিয়েছেন ধোনি৷

রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০১৯

ইতিহাসের গড়েও পিছিয়ে গেল চন্দ্রযান-২ অভিযান

নয়াদিল্লি: ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়েও পিছিয়ে গেল ভারতের চন্দ্রযান-২ অভিযান৷ উৎক্ষেপনের ৫৬ মিনিট আগে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে আপাতত চন্দ্রযান-২ অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত ইসরোর৷ জ্বালানি লিক হওয়ার কারণে আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে৷ পরিস্থিতি যা, তাতে ত্রুটি কাটিয়ে উঠতে এখনও ১৫ থেকে ২৫ দিন সময় লাগবে৷ রবিবার রাত ২.৫১ মিনিটে প্রথমবার চাঁদের বুকে পা রাখার কথা ছিল জিএসএলভি এমকে থ্রির৷

ইসরোর তরফে সাবাদিক বৈঠক করে জানানো হয়েছে,  চন্দ্রযান-২ প্রযুক্তিগত ত্রুটি কাটিয়ে উঠে অভিযান করা হবে৷ অভিযান বাতিল হলে পরে তা উত্ক্ষেপণ করা যেতে পারে৷ এর জন্য লেগে যেতে পারে প্রায় মাসের কাছাকাছি৷ প্রযুক্তিগত ত্রুটি নিয়ে চন্দ্রযান-২ শুরু হলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল৷ আগাম তা চিহ্নিত হওয়ায় রক্ষা পেল দীর্ঘ দিনের ইসরোর পরিশ্রম৷


এই অভিযান সফল হলে চাঁদের মাটিকে স্পর্শ করার কৃতিত্বে আমেরিকা, রাশিয়া ও চির পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে ভারত৷ চাঁদে পৌঁছানোর লড়াইটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে৷ ১৯৫৮ সাল থেকে শুরু লড়াই৷ কে আগে চাঁদে পৌঁছাতে পারবে, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা ছিল আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে৷ ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৷ এরপরে আমেরিকা রাশিয়াকে টক্কর দিতে ১৯৬৯ সালে প্রথম মানুষ পাঠিয়ে দেয় চাঁদে৷ এবার চিনের পর ভারতের পালা৷

আমেরিকা যখন চাঁদে মানুষ পৌঁছে দিয়েও সেখানে জলের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ খুঁজতে ব্যর্থ হল, তখনই ভারতের প্রথম অভিযান চন্দ্রযান-১ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতেই সফলভাবে খুঁজে ফেলল পৃথিবীর উপগ্রহে একসময় জল ছিল৷  পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বের তাবড়ও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সেই তথ্য সঠিক বলে মেনে নিতে হয়েছে৷

ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ সফলভাবে উৎক্ষেপিত হলে ও তার যাত্রাপথে কোনও সমস্যা না হলে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে পা খারার কথা ছিল ভারতের৷ কিন্তু, তা আপাতত হচ্ছে না৷ আজ থেকে ৬০ বছর আগে ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে পাঠানো প্রথম কোনও যন্ত্র চাঁদের বুকে সফলভাবে নেমেছিল৷ তাই এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতীয় চন্দ্রযান-২ ও সাফল্যের মুখ দেখে কি না, সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব৷

বিরাট নয়, রোহিতকে ভারতের অধিনায়ক চান প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার

নিউজিল্যান্ডের কাছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে হারার পর থেকেই মৃদু সমালোচনা শুরু হয়েছে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালিকে নিয়ে। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে শাস্ত্রী-কোহালি জুটির বিরুদ্ধে দলে সমর্থনের অভাবের বিষেয়টিও উঠে এসেছে। রোহিত ভক্তদের অনেকে আবার রোহিত শর্মাকে ওয়ান ডে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চাইছেন। সেই ব্যাপারেই এ বার প্রথম মুখ খুললেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার ওয়াসিম জাফর। তিনি টুইট করে প্রশ্ন তোলেন, ‘এটাই কি সময় সাদা বলে রোহিতকে ক্যাপ্টেন করে দেওয়ার?’

গ্রুপ পর্বে একটি মাত্র ম্যাচ হেরে ভারত গ্রুপের শীর্ষে শেষ করলেও ছিটকে যায় সেমিফাইনাল থেকে। দু'দিন ধরে চলা সেমিফাইনালে ভারত নিউজিল্যান্ডের কাছে হারে ১৮ রানে। প্রশ্ন ওঠে, কেন ধোনিকে অত পরে ব্যাট করতে নামানো হয়। কোচ রবি শাস্ত্রী সেই সিদ্ধান্তকে দলের সিদ্ধান্ত বলে সিলমোহর দেন। ধোনিকে পরে নামানোর পক্ষে যুক্তিও দেন। কিন্তু বহু প্রাক্তন ক্রিকেটার থেকে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ সেই যুক্তি মানতে পারেননি।

সেই সমালোচনাই যেন আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন রোহিতের মুম্বাই রঞ্জি দলের সতীর্থ ওয়াসিম জাফর। একেবারে নেতৃত্বে বদলের সওয়াল করলেন তিনি। তিনি আরও বলেন যে, ২০২৩-এর বিশ্বকাপে রোহিত শর্মাকে ভারতের অধিনায়ক হিসাবে চান তিনি। দলের আগেই দেশে ফিরে এসেছেন রোহিত। ভারতের পরের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তাঁকেই অধিনায়ক করেই পাঠানো হবে বলে ইঙ্গিত। কারণ বিশ্রাম নিতে পারেন বিরাট কোহালি। অধিনায়ক রোহিতের স্বপক্ষে কথা বলছে আইপিএলের তিনটি ট্রফি। সঙ্গে রয়েছে ভারতীয় স্টপ গ্যাপ অধিনায়ক হিসাবে তাঁর অসাধারণ রেকর্ড।

শোনা যাচ্ছে, ভারতীয় দলে বিভাজন তৈরি হয়েছে এই দুই জনকে ঘিরে। দুটি আলাদা গোষ্ঠী নাকি তৈরি হয়েছে বিরাট ও রোহিতের। ভারতীয় দলের অধিনায়কত্ব যে কাঁটার মুকুট তা ভালই জানেন প্রাক্তন অধিনায়করা। বিরাটও বুঝতে শুরু করেছেন ইতিমধ্যেই। অতিতে বড় টুর্নামেন্টে হেরে অধিনায়কত্ব খুইয়েছেন বহু ক্রিকেটার। এ বার দেখার বিরাট সমস্ত সমালোচনা মাঠের বাইরে ফেলতে পারেন কিনা।

আজ চাঁদের বুকে উড়বে তেরঙ্গা, ইতিহাসের পথে ভারতের চন্দ্রযান অভিযান

ইতিহাসের গড়ার সন্ধিক্ষণে ভারত৷ এই প্রথম দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করে  আজ রবিবার গভীর রাত ২টো ৫১ মিনিটে যাত্রা শুরু করবে চন্দ্রযান-২৷ ইসরোর এই অভিানে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা৷ তুঙ্গে আত্মবিশ্বাস৷ চাঁদের মাটিকে স্পর্শ করার কৃতিত্ব রয়েছে পৃথিবীর শুধুমাত্র তিনটি দেশের কাছে৷ এবার আমেরিকা, রাশিয়া ও চির পর এবার সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে ভারত৷

চাঁদে পৌঁছানোর লড়াইটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে৷ ১৯৫৮ সাল থেকে শুরু লড়াই৷ কে আগে চাঁদে পৌঁছাতে পারবে, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা ছিল আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে৷ ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রথম চাঁদের মাটি স্পর্শ করেছিল রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা-২৷ এরপরে আমেরিকা রাশিয়াকে টক্কর দিতে ১৯৬৯ সালে প্রথম মানুষ পাঠিয়ে দেয় চাঁদে৷ এবার চিনের পর ভারতের পালা৷

আমেরিকা যখন চাঁদে মানুষ পৌঁছে দিয়েও সেখানে জলের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ খুঁজতে ব্যর্থ হল, তখনই ভারতের প্রথম অভিযান চন্দ্রযান-১ কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতেই সফলভাবে খুঁজে ফেলল পৃথিবীর উপগ্রহে একসময় জল ছিল৷  পরবর্তী সময়ে গোটা বিশ্বের তাবড়ও মহাকাশ বিজ্ঞানীদের সেই তথ্য সঠিক বলে মেনে নিতে হয়েছে৷

ভারতীয় বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-২ সফলভাবে উৎক্ষেপিত হলে ও তার যাত্রাপথে কোনও সমস্যা না হলে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে পা রাখবে ভারত৷ আজ থেকে ৬০ বছর আগে ১৯৫৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে পাঠানো প্রথম কোনও যন্ত্র চাঁদের বুকে সফলভাবে নেমেছিল৷ তাই এই দুই মাহেন্দ্রক্ষণে দাঁড়িয়ে ভারতীয় চন্দ্রযান-২ ও সাফল্যের মুখ দেখে কি না, সেদিকেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব৷

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

প্রকাশিত হয়েছে NTA UGC NET-এর ফলাফল, জেনে নিন কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট

প্রকাশিত হল NTA (The National Testing Agency) UGC NET পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষার্থীরা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ntanet.nic.in বা nta.ac.in-এ রেজাল্ট দেখতে পাবেন।

পরিক্ষার্থীরা দুটি তালিকা দেখতে পাবেন। একটি তালিকায় রয়েছে সহকারী শিক্ষকের পদের জন্য যাঁরা উত্তির্ণ হয়েছেন তাঁদের নাম। অন্যটিতে রয়েছে যাঁরা JRF পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন  তাঁদের নাম। উল্লেখ্য, মোট ৫৫৭০১ জন পরীক্ষার্থী অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য উত্তির্ণ হয়েছেন। যাঁরা JRF ফোলোশিপ পদের জন্য আবেদনের যোগ্য তাঁরা অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদেও আবেদন করতে পারবেন। তবে যাঁরা কেবল অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পদের জন্য উত্তির্ণ হয়েছেন তাঁরা  JRF ফোলোশিপ পদে আবেদন করতে পারবেন না। 

জেনে নিন কীভাবে দেখবেন রেজাল্ট

বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট  ntanet.nic.in
হোম পেজে ‘NET June 2019 Result’ লেখা অপশনটির ওপর ক্লিক করুন
পরীক্ষার্থীর বিস্তারিত বিবরণ দিন
পিডিএফ ফর্ম্যাটে NTA NET 2019 Result পাবেন। ডাউনলোড করুন এবং সেভ করে রাখুন।

পরীক্ষার্থীরা তাঁদের নম্বরও দেখতে পাবেন। নম্বর দেখতে ‘latest announcements’-এর নিচে দেওয়া রেজাল্টের লিঙ্কের ওপর ক্লিক করুন।

শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০১৯

জ্বালানি ইথানল! TVS লঞ্চ করল প্রথম বাইক


হাইলাইটস

  • ভারতের মার্কেটে সর্বপ্রথম ইথানল বেসড মোটরসাইকেল নিয়ে এল TVS। নতুন এই মডেলটির নাম দেওয়া হয়েছে TVS Apache RTR 200 Fi E100।
  • ইথানলের সাহায্যেই চলবে এই বাইক। এই মুহূর্তে গাড়িটির দাম ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
  • সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকে বিপুল ছাড়েও বিক্রি করা হবে এই বাইক।


ভারতের মার্কেটে সর্বপ্রথম ইথানল বেসড মোটরসাইকেল নিয়ে এল TVS। নতুন এই মডেলটির নাম দেওয়া হয়েছে TVS Apache RTR 200 Fi E100। ইথানলের সাহায্যেই চলবে এই বাইক।



এই ইথানলের সাহায্যে বাইক চললে আদতে পরিবেশ দূষণ এক্কেবারেই হবে না। এই মুহূর্তে গাড়িটির দাম ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকে বিপুল ছাড়েও বিক্রি করা হবে এই বাইক।


প্রতি ঘণ্টায় ১২৯ কিমি বেগে চলবে এই বাইক। বাইকে রয়েছে ২১পিএস এবং ১৮.১এনএম। এই বাইক লঞ্চিং অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গডকরি।

জলঙ্গী ব্লকের উদ্যোগে জল সংরক্ষণ দিবস পালিত

ইত্যাদি নিউজ:মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী ব্লকের উদ্যোগে জল ও পানি সংরক্ষণ দিবস পালিত হল আজ।
উপস্থিত ছিলেন জলঙ্গী বিডিও কৌস্তুভ কান্তি দাস ও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুক্লা সরকার ও সকল অফিসের আধিকারিক গণ স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রী ।

বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯

জেলায় প্রথম ধানের বীজ রোপন যন্ত্রের ব্যবহার

 মুর্শিদাবাদ জেলায় সর্বপ্রথম চাষের জমিতে ধান পোতা যন্ত্রের মাধ্যমে ধান রোয়ান পদ্ধতি হাতে কলমে দেখানো হল রাণীনগর ২ ব্লকের গোধনপাড়ায়।
এই পদ্ধতি হাতে কলমে দেখানো হলো ১০০ থেকে ১৫০ জন চাষিকে।কৃষি আধিকারিক ডঃ মিঠুন সাহা জানান এই যন্ত্রের দ্বারা ৪০ মিনিটে এক বিঘা জমিতে ধান রোয়ান যাবে এবং আজ কে ১২ বিঘা জমিতে ধানের চারা রোয়ান হয়েছে।
 হাতে কলমে বীজ রোপন যন্ত্রের ব্যবহার দেখানো হচ্ছে।নিজস্ব চিত্রএই মেশিনের দাম দুই লক্ষ দশ হাজার টাকা সরকারি ভাবে কিনলে ৫০% সাবসিডি পাবে।
আজকের এই প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন রাণীনগর ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শাহ আলম সরকার,পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধক্ষ বেঁহুর ইসলাম,জেলা কৃষি অধিকর্তা শুভময় সিনহা সহ অন্যান্যরা।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...