রবিবার, ৩১ মে, ২০২০

বাড়িতে বসেই দেওয়া যাবে ফাইনাল সেমেস্টারের পরীক্ষা , বড় সিদ্ধান্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের

 করােনার কারণে থমকে আছে সবকিছু ! বন্ধ আছে রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । ফলে প্রবল ভাবে ব্যাহত হচ্ছে পঠন - পাঠন । এই অবস্থায় অভিনব সিদ্ধান্ত নিল যাদবপুর । বিশ্ববিদ্যালয় । এই বছর বাড়িতে বসেই ফাইনাল সেমেস্টারের পরীক্ষা দেবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ুয়ারা । শুক্রবার ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে । কী পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে , তা শিক্ষকরা । নিজেদের মধ্যে আলােচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন । ঠিক হয়েছে , ৭০ শতাংশ নম্বর থাকবে এই পরীক্ষায় আর বাকি ৩০ শতাংশ নম্বর আগের সাতটি সেমেস্টারের ক্লাস টেস্ট থেকে গড় করে নেওয়া হবে ।

মূলত হােম অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ন করা হতে পারে । সেই ক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা হােয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নের উত্তর লিখে পাঠাতে পারবেন । আবার ফোনেও প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমেও পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে । বিভিন্ন বিভাগ কীভাবে পরীক্ষা নেবে , তা নিজেরাই ঠিক করবে । এই বছর ল্যাবরেটরি বা প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা শুধু ভাইভার মাধ্যমে নেওয়া হবে । পুরাে পরীক্ষা প্রক্রিয়া ১১ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ করতে হবে ।

শুক্রবার, ২৯ মে, ২০২০

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কবে খুলবে? কীভাবে হবে পরীক্ষা? বৈঠকে বসছেন উপাচার্যরা

  • এখনও পর্যন্ত যা ঘোষণা তাতে ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে সব রকমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। তবে উমফান ঘূর্ণিঝরের ক্ষতি ও বহু স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হওয়ায় সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল বন্ধ থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত।


কবে খুলবে রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় তা এখনও ঠিক হয়নি। খোলার পরে কী ভাবে পরীক্ষা হবে, কবে হবে তাও ঠিক হয়নি। তবে শীঘ্রই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। এদিন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন শুরু ও পরীক্ষা নিয়ে শুক্রবারই বৈঠকে বসছেন রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। সেখানেই ঠিক হবে কোথায়, কবে, কীভাবে লেখাপড়া ও পরীক্ষা শুরু হবে। উপাচার্য পরিষদের সেই বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে উচ্চ শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকারের হাতে নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন নেই। তিনি আলাদা আলাদা করে অনেক উপাচার্যের সঙ্গে কথা বললেও এদিনের বৈঠকেই মূল আলোচনা হবে। ঠিক হবে সিবিসিএস পদ্ধতি মেনে কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যায়।


এখনও পর্যন্ত যা ঘোষণা তাতে ১০ জুন পর্যন্ত রাজ্যে সব রকমের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকছে। তবে উমফান ঘূর্ণিঝরের ক্ষতি ও বহু স্কুলে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হওয়ায় সরকারি ও সরকার পোষিত স্কুল বন্ধ থাকবে ৩০ জুন পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহেই সেই ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় কবে নাগাদ খুলতে পারে এখনও পর্যন্ত সে ব্যাপারে কোনও ইঙ্গিতও মেলেনি। বেসরকারি স্কুল খোলাসম্পর্কেও নতুন করে কিছু বলা হয়নি রাজ্যের তরফে।
এদিন শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছেন, “উমফান ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের বহু কলেজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। সেই ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা।” গ্রামাঞ্চলে অনেক কলেজে ও বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ পড়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, যে সব গাছ পড়ে গিয়েছে সেগুলিকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে হবে। একান্তই বাঁচানো না গেলে একটি বদলে একটি গাছ রোপন করতে হবে। তবে সেকাজ এখনই না করলেও পর করতে হবে। এই ব্যাপারে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এখন থেকেই পরিকল্পনা তৈরির নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী।

যদিও এমন পরিস্থিতিতে করোনার ভয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অনেক স্টুডেন্টই পরীক্ষার বিরুদ্ধে, তাদের দাবি গড় নম্বর।ইতিমধ্যে #againstexam গ্রুপের মাধ্যমে তারা বিরোধিতা করেছে।

বুধবার, ২৭ মে, ২০২০

স্কুল কলেজ কবে খুলবে জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘বোর্ডের পরীক্ষার পর, কিন্তু…’

লকডাউনের কারণে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা এখনও ঝুলে রয়েছে। তা জুলাই মাসে হতে পারে। তার পরই স্কুল খোলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
বুধবার একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে রমেশ পোখরিয়াল বলেছেন, সমস্ত বিষয়টাই তখনকার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মতোই এগোনো হবে।
গোটা দেশে যে ভাবে ক্রমশ লকডাউনের শর্ত শিথিল করা হচ্ছে, তাতে অনেকেই আশা করছেন যে কিছুদিনের মধ্যেই স্কুল কলেজের পঠনপাঠনও শুরু হয়ে যাবে। কারণ, একে তো পরীক্ষা ঝুলে রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ক্লাসরুমের পঠনপাঠন অনলাইনে পড়াশুনা নয়। প্রত্যন্ত এলাকায় পরের কথা, শহরেই অনেক ছাত্রছাত্রীর সেই সুবিধা নেই।
এদিন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যাই হোক না কেন, স্কুল কলেজ খুলতে অন্তত আরও এক মাস তো লাগবেই। ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হবে। তার পর স্কুল খুলতে পারে।
মোটামুটি ভাবে দিনক্ষণের সম্ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে রমেশ পোখরিয়াল বলেন, বোর্ডের পরীক্ষা জুলাইয়ে করাতে পারলে, অগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে। ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় বসবে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে প্রমোশন দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজ কবে থেকে খোলা যেতে পারে সে ব্যাপারটি এনসিইআরটি-র একটি টাস্প ফোর্সও খতিয়ে দেখছে। তারা সরকারের কাছে শিগগির একটা সুপারিশ করবে।
তাঁকে এও প্রশ্ন করা হয় যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের গোড়ায় পরীক্ষা হবে তো? এর উত্তরে রমেশ পোখরিয়াল বলেন, আমরা এখন থেকেই পূর্বানুমান করতে পারি না জুলাইয়ে কী হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রক ছাড়পত্র দিলে তবেই পরীক্ষা হবে।
তাঁর বক্তব্য, দেশের সমানে অভূতপূর্ব সংকট তৈরি হয়েছে। এর অভিজ্ঞতা আগে কখনও ছিল না। ফলে সরকারকে সব রকম সাবধানতা নিয়ে চলতে হবে। আর সাধারণ মানুষকেও দেশ ও দশের স্বার্থে ধৈর্য্য রেখে চলতে হবে।
ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি সরকারের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়। পরীক্ষা নিতে গিয়ে সরকার তাঁদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে না।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী এও বলেন, আমার বিশ্বাস রয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা যদি আগামী কিছুদিনের মধ্যে না হয়, তা হলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। সরকার তখন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক—সবার সঙ্গে কথা বলবে। সবার পরামর্শ নেবে। তার পর উচিত পদক্ষেপ করবে।

রবিবার, ২৪ মে, ২০২০

ঈদ মুবারক! করোনা আবহে দেশবাসীকে সম্প্রীতির বার্তা মোদী-কোবিন্দ-রাহুলের

ঈদের শুভেচ্ছায় ভাসছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ-সহ নানা বিশিষ্ট ব্যক্তি ঈদ-উল-ফিতরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরাও।

ঈদের শুভেচ্ছায় ভাসছে সোশ্যাল মিডিয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ-সহ নানা বিশিষ্ট ব্যক্তি ঈদ-উল-ফিতরে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন অন্যান্য রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরাও।

রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ হিন্দি, ইংরেজি ও উর্দুতে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, 'ঈদ মুবারক! এই উত্‍‌সব ভালোবাসা, শান্তি ও সম্প্রীতির। দুঃস্থদের যত্ন নেওয়া ও তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার কথা বলে ঈদ। ঈদে দান করার ধারা বজায় রাখুন আর করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে সোশ্যাল ডিসট্যানসিং মেনে চলুন।'

উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডুও ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি লিখেছেন, 'আনন্দের ধারা বজায় রেখে সবাই এই ঈদ পালন করব আশা করি। এই ঈদ-উল-ফিতর স্বাস্থ্য, শান্তি, উন্নতি ও সম্প্রীতি বয়ে আনুক আমাদের জীবনে।'

এ ছাড়াও দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও অন্যান্যরা।

দেখা গেল ইদের চাঁদ, কাল উৎসব, লকডাউনের বিষাদ ভুলে ঘরে ঘরে আনন্দের প্রস্তুতি

লকডাউনের মধ্যেই ইদ। শুধু এই রাজ্য বা দেশে নয় বিশ্বের অনেক জায়গাতেই এক অন্য রকম পরিস্থিতির মধ্যেই এল খুশির উৎসব। অনেকেরই এবার আর নতুন জামা হল, জুতো হল না। চিরন্তন নিয়ম মেনে আলিঙ্গনও করা যাবে না। তবু উৎসব তার আনন্দ নিয়ে এসেছে মানুষের দ্বারে। রবি সন্ধ্যায় দেখা গিয়েছে ইদের চাঁদ। সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা হয়ে গেছে, সোমবার খুশির ইদ। এক মাস রোজা রাখার পরে ধর্মপ্রাণ মুসলমান সমাজের পরম পরব।
করোনা পরিস্থিতিতে এবার ইদ পালন হবে অনেকটাই অন্যরকম ভাবে। বাইরে যাওয়ার বিধি-নিষেধে ঘরে ঘরেই হবে উৎসব। আত্মীয়, পরিজন, বন্ধুদের নিয়ে মেতে ওঠাটা করতে হবে মনে মনেই। লকডাউনের জেরে যে ধর্মীয় জমায়েতে এখন অনেক বিধিনিষেধ। সেই সঙ্গে নিজেদের সুরক্ষার প্রশ্নও রয়েছে।
এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ইদের মিলন অনুষ্ঠান বা খাওয়া-দাওয়ার আসর সবই বাড়িতে বাড়িতে হোক। তবে অনেকের মতে, ইদের নমাজ বাড়িতে পড়ার বিধান নেই। তাই কোথাও কোথাও বড় ময়দানে সামাজিক দূরত্বের বিধি মেনে ছোট ছোট জমায়েত করে নমাজ পড়ার কথা ঠিক হয়েছে। কলকাতার রেড রোডে অবশ্য প্রতিবারের মতো নমাজ হবে না বলে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইদ মানে বিশেষ প্রার্থনা তো বটেই সেই সঙ্গে খাওয়া দাওয়ারও উৎসব। ইদ মানেই বিরিয়ানি। ইদ মানেই লাচ্চা-সেমুই। কিন্তু এই বছরটা লকডাউনের জেরে সব কিছুতেই একটু হলেও রাশ টানতে হবে। মাংস থেকে সেমুই সবই এবার দামি। সেই সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রে জোগানও নেই ঠিক মতো। তাই আয়োজনে হয়তো কিছুটা হলেও খামতি থেকে যাবে। তবে খামতি থাকবে না খুশিতে। তারই প্রস্তুতি চলছে ঘরে ঘরে।

শনিবার, ২৩ মে, ২০২০

করোনা আতঙ্কে পরীক্ষায় না গড় নম্বর চাইছে কল্যাণী ইউনিভার্সিটির তৃতীয় বর্ষের স্টুডেন্টরা

ইত্যাদি নিউজ: দিনে দিনে বাড়ছে নদীয়া-মুর্শিদাবাদে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।এমন সময়ে ইউনিভার্সিটির এক্সাম দিতে ভয় পাচ্ছে কল্যাণী ইউনিভার্সিটির ফাইনাল ইয়ারের স্টুডেন্টরা।বাংলার কলেজ-ইউনিভার্সিটি গুলো জুলাই মাসে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।কিন্তু এক গবেষণায় জানা গেছে জুলাই-আগস্টে করোনার প্রকোপ আরো বৃদ্ধি পাবে, আর এমত সময় পরীক্ষা নেওয়াটা পরীক্ষার্থীদের উপর বিপদ নিয়ে আসতে পারে।স্বভাবগতভাবে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা মার্চ-এপ্রিল-এ হয় এবং রেজাল্ট মে-জুনে হয়,তার মানে এতদিনে তারা প্রায় সকলেই গ্রাজুয়েট হয়ে যেত। তাই আর কতদিন পিছবে,তাই সকল স্টুডেন্ট পরীক্ষা না দিয়ে UGC গাইডলাইন অনুযায়ী average নাম্বার চাইছে।কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রীর বলেন যে পরীক্ষাগুলো হোম সেন্টারে নেওয়া কথা,কিন্তু পরে তা কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় মানতে চাইনি।কিন্তু সেটা কথা না,স্টুডেন্টরা এখন করোনার প্রকোপের ভয়ে পরীক্ষায় দিতে চাইছে না।তাদের বক্তব্য হলো "পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি কোনো স্টুডেন্ট করোনা আক্রান্ত হয়,তার দায়িত্ব আর ইউনিভার্সিটি নিবে না"।কল্যাণী ইউনিভার্সিটি তাদের স্টুডেন্টদের জীবনের কথা চিন্তা না করে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।যার ঘোর বিরোধীতা করছে স্টুডেন্টরা। UGC গাইডলাইন অনুযায়ী তারা average নাম্বার চাইছে।

কল্যানীর তৃতীয় বর্ষের স্টুডেন্টরা সোশ্যাল সাইটে বিভিন্ন গ্রুপ খুলে বিদ্রোহ শুরু করেছে।

https://www.facebook.com/ItyadiNewsMsd/

বুধবার, ২০ মে, ২০২০

অনলাইন পরীক্ষায় আপত্তি, আনুমানিক নম্বরের সুপারিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের

অনলাইন পরীক্ষায় নারাজ দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান শাখা৷ ফাইনাল ইয়ারের পড়ুয়াদের জন্য প্রস্তাবিত অনলাইন পরীক্ষার বিরুদ্ধে মতামত জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠাল সোসিওলজি ডিপার্টমেন্ট৷ এর বদলে ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীদের পূর্ববর্তী সেমিস্টার এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে একটি ‘আনুমানিক নম্বর’ দেওয়ার প্রস্তাব জানিয়েছে তারা৷ 

গত ১৪ মে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল, ১ জুলাই থেকে ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা শুরু হবে৷ সেই সঙ্গে জানানো হয়েছিল, জুলাই মাসেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে ওপেন বুক এগজামিনেশন নেওয়া হবে৷ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়,  ‘‘অনলাইন শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা, ডিজিটাল কোর্সের উপকরণ, ছাত্রাছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া এবং তাঁরা যে প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে, তার ভিত্তিতে সমাজবিজ্ঞান শাখার অধ্যাপকরা অনলাইন পরীক্ষা বিরুদ্ধে মতামত জানাচ্ছেন৷’


এর আগে সমস্যার কথা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়ারাও৷ তাঁরা জানান, অনলাইনে পরীক্ষার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা রয়েছে৷ সংযোগের অভাব ছাড়াও হঠাৎ করে ওপেন বুক স্টাইলে পরীক্ষা নেওয়া হলে নতুন পদ্ধতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে পড়ুয়াদের৷ এই সমস্যা মোকাবিলায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সুপারিশ, ফাইনাল ইয়ারে সেমিস্টার পরীক্ষার বদলে শেষ সেমিস্টার এবং অভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে পড়ুয়াদের নম্বর দেওয়া হোক৷ 
এছাড়াও দ্বিতীয় এবং চতুর্থ সেমিস্টারের যে সকল পড়ুয়া নিজেদের পারফরম্যান্সের আরও উন্নতি ঘটাতে চান, তাঁদের জন্য বিশেষ পরীক্ষার ব্যবস্থা করার আর্জিও জানানো হয়েছে৷ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের অভিমত, ২০২০ স্নাতক ব্যাচ এবং এই গ্রীষ্মে যাঁদের পরীক্ষা ছিল, তাঁদের ব্যাচের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো যেতে পারে৷ 

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০

KalyaniUniversity এর ফাইনাল বর্ষের পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে Petition দাখিল

Kalyani University এর ফাইনাল বর্ষের 3rd year এর স্টুডেন্টরা পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানিয়ে Petition দাখিল করলো।তাদের দাবি করোনা আতঙ্কে পরীক্ষা না নিয়ে সকলকে Average নাম্বার দিয়ে দেওয়া হোক।তাদের বক্তব্য পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি কোনো স্টুডেন্ট করোনা আক্রান্ত হয় তার দায়িত্বতো  ইউনিভারর্সিটি বা কলেজ নিবেনা।এই ইউনিভারর্সিটির অন্তর্গত নদীয়া-মুর্শিদাবাদ মিলে প্রায় 41 টার বেশি কলেজ আছে।স্টুডেন্টরা পরীক্ষা না দেওয়ার পক্ষে একটা বিশাল গ্রুপ তৈরী করেছে যা 24 ঘন্টার মধ্যে বিশাল সাড়া জাগিয়েছে। প্রেসিডেন্সি ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা না নিয়ে অভ্যন্তরীন মূল্যায়নের ভিত্তিতে গ্রেড দিয়ে স্টুডেন্টদের নাম্বার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কিন্তু Average নাম্বার দিলেও জেনারেল কোর্স বা পাস কোর্সের স্টুডেন্টদের অতোটা নাম্বারের ভূমিকা না থাকলেও ,অনার্সের স্টুডেন্টদের তাদের অনার্স টেকানোর জন্য নূন্যতম 50% নাম্বার দিতে হবে ইউনিভার্সিটিগুলোকে।

তাই যদি Average নাম্বার দিলেও স্টুডেন্টদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে সকল ছাত্ৰ-ছাত্রীকে নূন্যতম 50% নাম্বার দিতে হবে।

Can you help him out by signing this petition?
http://chng.it/BPj9Yg9n

https://www.facebook.com/ItyadiNewsMsd/

প্রবল দুর্যোগ, বুধবার কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না: মমতা

 'মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো উম্পুন।' মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় উম্ফুন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই কথাই বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাতে এই উম্পুন আছড়ে পড়লেও কলকাতাবাসীর যে রেহাই নেই, এ-ও কথাও পরিষ্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই উম্পুন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্যের কন্ট্রোল রুম নম্বর এবং টোল ফ্রি নম্বরও জানিয়ে দিলেন মমতা।

উম্পুন সতর্কতায় মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন -
  • আগামীকাল থেকে পরশু (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার অবধি) বাড়ির বাইরে কেউ বেরোবেন না।
  • এই সময়ে কেউ সমুদ্রে যাবেন না।
  • দুই ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  • তিন লক্ষ মানুষকে আশ্রয়স্থল সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
  • উত্তর ২৪ পরগণায় ৫০ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০ হাজার লোককে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে।
  • উম্পুন নিয়ে সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
  • অনেকে বলছেন আয়লার থেকেও ভয়ংকর হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।
  • কন্ট্রোল রুম নম্বর - ২২১৪-৩৫২৬ এবং ২২১৪-১৯৯৫
  • ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের (টোল ফ্রি) নম্বর - ১০৭০
এ দিকে উম্পুন নিয়ে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে রাজ্য প্রশাসনের একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় মুখ্যমন্ত্রী ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দক্ষিণবঙ্গে ইতিমধ্যেই এই ঝড়ে প্রভাব শুরু হয়ে গিয়েছে। বুধবার সারাদিনই ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে অতিভারী বৃষ্টি হবে কলকাতায়। কলকাতায় সকালের দিকে এই ঝড়ে গতিবেগ থাকতে পারে ৭৫ থেকে ৮৫ কিলোমিটার। হাওয়া অফিসের আশঙ্কা এই ঝড়ের গতিবেগ ১১০-১৩০ কিলোমিটারও হতে পারে।

এই উম্পুনের ঝাপটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। উম্পুনের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার কলকাতা পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে নিকাশি, বিল্ডিং, লাইটিং দফতরকে বিশেষ তৎপর হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সিইএসসির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্যোগের সময় যাতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সোমবারই শহরের পাম্পিং স্টেশনগুলি ঘুরে দেখেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর নিকাশি বিভাগের সদস্য তারক সিং। সেগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। যে সমস্ত পাম্পের অবস্থা ভালো নয় জরুরি ভিত্তিতে সেগুলিকে মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, উম্পুনের সময় যে কোনও ধরণের প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে শহরে যে সমস্ত পুরনো ও ভগ্নপ্রায় বাড়ি রয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের পুরসভার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিয়ে সরিয়ে ফেলার কথা চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে ওই সমস্ত বাড়ির সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলা জন্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

ঝড়ের সময় গাছ ভেঙে পড়লে সেগুলি কেটে পরিষ্কার করার জন্য পুরসভায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি টিম থাকছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বোরোতে একটা করে এই ধরনের টিম থাকবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।

রবিবার, ১৭ মে, ২০২০

ডোমকলে দু’পক্ষের সংঘর্ষের মাঝে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু কিশোরের, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী

দু’পক্ষের মধ্যে চলছিল সংঘর্ষ। তার মাঝে পড়ে প্রাণ হারাতে হল এক কিশোরকে। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদ জেলার ডোমকল থানা এলাকার জিতপুর নতুনপাড়া এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার সকাল থেকে দু’পক্ষের লড়াই ঘিরে উত্তপ্ত জিতপুর। দিনের বেলা প্রকাশ্যেই চলছিল গুলি বিনিময়। ঠিক সেই সময় ইসলামপুর থানার সিতানগর গ্রাম থেকে কয়েকজন কিশোর ও যুবক সাইকেলে চেপে জমিতে চাষের কাজ করতে যাচ্ছিল। ডোমকল থানার জিতপুর এলাকায় আসতেই গুলি বিনিময়ের মধ্যে পড়ে যায় তারা। গুলি লাগে সাজিবুল ইসলাম নামের ১৬ বছরের এক কিশোরের।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় সাজিবুলকে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে গোটা এলাকা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, জিতপুর নতুনপাড়া এলাকায় এই সংঘর্ষ চলছে গতকাল থেকে। সংঘর্ষ হচ্ছে দুটি পরিবারের মধ্যে। দু’জনেই বাইরে থেকে দুষ্কৃতী ভাড়া করে এনেছে। গতকাল একজন নিহত হয়। সেই রেষ বজায় ছিল এদিন সকালেও। তার জেরেই ওই কিশোরকে প্রাণ দিতে হল।

ডোমকল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে সাজিবুলের পরিবারের তরফে। তারপরেই ডোমকলের এসডিপিও ফারুক মহম্মদ চৌধুরীর নির্দেশে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়েছে ঘটনাস্থলে। এদিকে ওই দুই পরিবার ও ভাড়া করা দুষ্কৃতীরা পলাতক। তাদের খোঁজ চলছে। এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

করোনা আবহেই আসছে ‘উম্পুন’! নিশানা হতে পারে বাংলা, ওড়িশা

করোনাভাইরাস আতংক মানুষকে ঘিরে রেখেছে। এরই মাঝে ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের রক্তচক্ষু। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপকূলবর্তী অঞ্চল এই ঘূর্ণিঝড়ের নিশানা হতে পারে। তবে ঠিক কোন উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছে পড়বে তা এখনো পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে যে উপকূলে আছড়ে পড়ুক, পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে বাংলা যে প্রভাবিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। একইসঙ্গে প্রবল বেগে ঝড় বইতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে বাংলা ওড়িশা লাগোয়া সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে যারা এই মুহূর্তে সমুদ্রে রয়েছেন তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে, শনিবার বিকেলের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। যদি এটি সর্ব শক্তি সঞ্চয় করে আছড়ে পড়ে তবে এটি হবে ২০২০ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড়।

পশ্চিমবঙ্গে যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি আবহাওয়াবিদরা। তবে যে অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ুক পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করবে পশ্চিমবঙ্গকে। করোনাভাইরাস আবহে এই ঘূর্ণিঝড় এলে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম যে দফারফা হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। উল্টে সামাজিক জীবন আরো বেশি ভাবে ব্যাহত হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত ওই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ কোনদিকে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছুদিন ধরে পরপর কালবৈশাখী দেখেছে বাংলা। মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি পর্যন্ত হয়েছে রাজ্যের জেলাগুলিতে। এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা গ্রাস করছে বঙ্গবাসীকে।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...