বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০২০

করোনা আবহেই আসছে ‘উম্পুন’! নিশানা হতে পারে বাংলা, ওড়িশা

করোনাভাইরাস আতংক মানুষকে ঘিরে রেখেছে। এরই মাঝে ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের রক্তচক্ষু। আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের উপকূলবর্তী অঞ্চল এই ঘূর্ণিঝড়ের নিশানা হতে পারে। তবে ঠিক কোন উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আছে পড়বে তা এখনো পর্যন্ত নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। তবে যে উপকূলে আছড়ে পড়ুক, পরোক্ষ বা প্রত্যক্ষভাবে বাংলা যে প্রভাবিত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাজ্যের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা। একইসঙ্গে প্রবল বেগে ঝড় বইতে পারে বলেও সতর্ক করেছে আবহাওয়া দপ্তর।

ইতিমধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে বাংলা ওড়িশা লাগোয়া সমুদ্রে যেতে মৎস্যজীবীদের নিষেধ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে যারা এই মুহূর্তে সমুদ্রে রয়েছেন তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তর মনে করছে, শনিবার বিকেলের মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে উপকূলবর্তী অঞ্চলে। যদি এটি সর্ব শক্তি সঞ্চয় করে আছড়ে পড়ে তবে এটি হবে ২০২০ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড়।

পশ্চিমবঙ্গে যে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে তা এখনো পর্যন্ত নিশ্চিত করতে পারেনি আবহাওয়াবিদরা। তবে যে অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ুক পরোক্ষভাবে প্রভাবিত করবে পশ্চিমবঙ্গকে। করোনাভাইরাস আবহে এই ঘূর্ণিঝড় এলে সামাজিক দূরত্বের নিয়ম যে দফারফা হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। উল্টে সামাজিক জীবন আরো বেশি ভাবে ব্যাহত হবে। যদিও এখনো পর্যন্ত ওই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ কোনদিকে তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন আবহাওয়াবিদরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছুদিন ধরে পরপর কালবৈশাখী দেখেছে বাংলা। মাঝারি থেকে অতি ভারী বৃষ্টি পর্যন্ত হয়েছে রাজ্যের জেলাগুলিতে। এবার এই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা গ্রাস করছে বঙ্গবাসীকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...