বুধবার, ২৭ মে, ২০২০

স্কুল কলেজ কবে খুলবে জানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘বোর্ডের পরীক্ষার পর, কিন্তু…’

লকডাউনের কারণে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষা এখনও ঝুলে রয়েছে। তা জুলাই মাসে হতে পারে। তার পরই স্কুল খোলার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক।
বুধবার একটি বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেছেন, মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। তবে একই সঙ্গে রমেশ পোখরিয়াল বলেছেন, সমস্ত বিষয়টাই তখনকার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করছে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরামর্শ মতোই এগোনো হবে।
গোটা দেশে যে ভাবে ক্রমশ লকডাউনের শর্ত শিথিল করা হচ্ছে, তাতে অনেকেই আশা করছেন যে কিছুদিনের মধ্যেই স্কুল কলেজের পঠনপাঠনও শুরু হয়ে যাবে। কারণ, একে তো পরীক্ষা ঝুলে রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ক্লাসরুমের পঠনপাঠন অনলাইনে পড়াশুনা নয়। প্রত্যন্ত এলাকায় পরের কথা, শহরেই অনেক ছাত্রছাত্রীর সেই সুবিধা নেই।
এদিন প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, যাই হোক না কেন, স্কুল কলেজ খুলতে অন্তত আরও এক মাস তো লাগবেই। ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে বোর্ডের পরীক্ষা শেষ হবে। তার পর স্কুল খুলতে পারে।
মোটামুটি ভাবে দিনক্ষণের সম্ভাবনার কথা জানাতে গিয়ে রমেশ পোখরিয়াল বলেন, বোর্ডের পরীক্ষা জুলাইয়ে করাতে পারলে, অগস্ট মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা হবে। ফাইনাল ইয়ারের ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় বসবে। আর প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের মাধ্যমে প্রমোশন দেওয়া হবে।
তিনি আরও জানিয়েছেন, স্কুল-কলেজ কবে থেকে খোলা যেতে পারে সে ব্যাপারটি এনসিইআরটি-র একটি টাস্প ফোর্সও খতিয়ে দেখছে। তারা সরকারের কাছে শিগগির একটা সুপারিশ করবে।
তাঁকে এও প্রশ্ন করা হয় যে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এখন দ্রুত হারে ছড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে জুলাই মাসের গোড়ায় পরীক্ষা হবে তো? এর উত্তরে রমেশ পোখরিয়াল বলেন, আমরা এখন থেকেই পূর্বানুমান করতে পারি না জুলাইয়ে কী হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রক ছাড়পত্র দিলে তবেই পরীক্ষা হবে।
তাঁর বক্তব্য, দেশের সমানে অভূতপূর্ব সংকট তৈরি হয়েছে। এর অভিজ্ঞতা আগে কখনও ছিল না। ফলে সরকারকে সব রকম সাবধানতা নিয়ে চলতে হবে। আর সাধারণ মানুষকেও দেশ ও দশের স্বার্থে ধৈর্য্য রেখে চলতে হবে।
ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার বিষয়টি সরকারের কাছে অগ্রাধিকারের বিষয়। পরীক্ষা নিতে গিয়ে সরকার তাঁদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে না।
কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী এও বলেন, আমার বিশ্বাস রয়েছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু তা যদি আগামী কিছুদিনের মধ্যে না হয়, তা হলে আমাদের বিকল্প ভাবতে হবে। সরকার তখন ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক—সবার সঙ্গে কথা বলবে। সবার পরামর্শ নেবে। তার পর উচিত পদক্ষেপ করবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...