'মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো উম্পুন।' মঙ্গলবার ঘূর্ণিঝড় উম্ফুন নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে ঠিক এই কথাই বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাতে এই উম্পুন আছড়ে পড়লেও কলকাতাবাসীর যে রেহাই নেই, এ-ও কথাও পরিষ্কার করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে এই উম্পুন ঘূর্ণিঝড় নিয়ে রাজ্যের কন্ট্রোল রুম নম্বর এবং টোল ফ্রি নম্বরও জানিয়ে দিলেন মমতা।
উম্পুন সতর্কতায় মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন -
এই উম্পুনের ঝাপটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। উম্পুনের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার কলকাতা পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে নিকাশি, বিল্ডিং, লাইটিং দফতরকে বিশেষ তৎপর হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সিইএসসির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্যোগের সময় যাতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সোমবারই শহরের পাম্পিং স্টেশনগুলি ঘুরে দেখেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর নিকাশি বিভাগের সদস্য তারক সিং। সেগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। যে সমস্ত পাম্পের অবস্থা ভালো নয় জরুরি ভিত্তিতে সেগুলিকে মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, উম্পুনের সময় যে কোনও ধরণের প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে শহরে যে সমস্ত পুরনো ও ভগ্নপ্রায় বাড়ি রয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের পুরসভার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিয়ে সরিয়ে ফেলার কথা চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে ওই সমস্ত বাড়ির সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলা জন্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঝড়ের সময় গাছ ভেঙে পড়লে সেগুলি কেটে পরিষ্কার করার জন্য পুরসভায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি টিম থাকছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বোরোতে একটা করে এই ধরনের টিম থাকবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
উম্পুন সতর্কতায় মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন -
- আগামীকাল থেকে পরশু (বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার অবধি) বাড়ির বাইরে কেউ বেরোবেন না।
- এই সময়ে কেউ সমুদ্রে যাবেন না।
- দুই ২৪ পরগণার বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
- তিন লক্ষ মানুষকে আশ্রয়স্থল সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
- উত্তর ২৪ পরগণায় ৫০ হাজার, পূর্ব মেদিনীপুরে ৪০ হাজার, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১০ হাজার লোককে ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে।
- উম্পুন নিয়ে সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে।
- অনেকে বলছেন আয়লার থেকেও ভয়ংকর হতে চলেছে এই ঘূর্ণিঝড়।
- কন্ট্রোল রুম নম্বর - ২২১৪-৩৫২৬ এবং ২২১৪-১৯৯৫
- ঘূর্ণিঝড়ে রাজ্যের (টোল ফ্রি) নম্বর - ১০৭০
এই উম্পুনের ঝাপটায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে দিঘা, মন্দারমণি, সুন্দরবনের সমুদ্র সৈকত এবং উপকূলবর্তী এলাকায়। হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপকূলে ঝোড়ো হাওয়া-সহ বৃষ্টি মঙ্গলবার থেকেই শুরু হতে পারে। বুধবার গাঙ্গেয় বঙ্গের প্রায় সর্বত্র ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে। উম্পুনের প্রভাবে মঙ্গল ও বুধবার কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলী, নদীয়ায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোমবার কলকাতা পুরসভায় উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠক হয়। বৈঠকে নিকাশি, বিল্ডিং, লাইটিং দফতরকে বিশেষ তৎপর হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে সিইএসসির সঙ্গে সমন্বয় বজায় রাখার উপরে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষত দুর্যোগের সময় যাতে পাম্পিং স্টেশনগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত না, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। সোমবারই শহরের পাম্পিং স্টেশনগুলি ঘুরে দেখেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর নিকাশি বিভাগের সদস্য তারক সিং। সেগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখেন তিনি। যে সমস্ত পাম্পের অবস্থা ভালো নয় জরুরি ভিত্তিতে সেগুলিকে মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, উম্পুনের সময় যে কোনও ধরণের প্রাণহানির ঘটনা এড়াতে শহরে যে সমস্ত পুরনো ও ভগ্নপ্রায় বাড়ি রয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের পুরসভার বিভিন্ন আশ্রয় শিবিয়ে সরিয়ে ফেলার কথা চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা। এই বিষয়ে ওই সমস্ত বাড়ির সঙ্গে অবিলম্বে কথা বলা জন্য পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
ঝড়ের সময় গাছ ভেঙে পড়লে সেগুলি কেটে পরিষ্কার করার জন্য পুরসভায় কেন্দ্রীয়ভাবে একটি টিম থাকছে। পাশাপাশি প্রত্যেকটি বোরোতে একটা করে এই ধরনের টিম থাকবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন