সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

২০ বছর পর ফের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়তে চলেছে মালদা-মুর্শিদাবাদ

উত্তর প্রদেশ ও বিহারে রেকর্ড বৃষ্টিতে উপচে পড়ছে বাঁধের জল। ফলে ফরাক্কা বাঁধের সবক'টি লকগেট একসঙ্গে খুলে দিল কর্তৃপক্ষ। এর জেরে মুর্শিদাবাদ একাংশ ও বাংলাদেশে প্লাবনের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গঙ্গা ছাড়াও মালদা জেলায় প্রায় সমস্ত নদীতে জল বাড়ছে। নাগাড়ে বর্ষণে ইংরেজ বাজার শহরের একাধিক এলাকা জলের তলায়।

সোমবার ফরাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি লকগেটই খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ। যার জেরে নদীর নিম্নগতিতে প্লাবনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। জল বেড়েছে মালদা জেলার ফুলহর, মহানন্দা ও কালিন্দী নদীতে।

নাগাড়ে বৃষ্টিতে প্লাবিত ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পুরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা। বৃষ্টির জেরে জল জমেছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। জমা জলে নাকাল হয়ে সোমবার পথ অবরোধ করেন স্থানীয়রা। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১টিই জলমগ্ন। পুরাতন মালদা পুরসভার ২০টি ওয়ার্ডের ৯টি জলের তলায়।

জেলায় একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও ফুলহর। যার ফলে লাগাতার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর মিলছে।

মুর্শিদাবাদ বর্ডার এরিয়া গুলির কাছে খুবই দুঃখজনক পদ্মা নদীর জল উপচে পড়েছে গ্রাম এর মধ্যে জল ঢুকে গেছে । জলঙ্গী,লালগোলা, নওদার বেশ কিছু গ্রাম বন্যার কবলে পড়তে চলেছে।

প্রায় ৭ দিন ধরে বৃষ্টিও থামার নাম নেই!কিছুক্ষণ থামলেও আবার শুরু হচ্ছে।দাম বাড়তে চলেছে জিনিসপত্র খাবার-দাবারের।ইতিমধ্যে অনেকেই চাল-ডাল ইত্যাদি সব কিছুই মজুত করতে শুরু করেছে।

বন্যা হলে মালদা ও মুর্শিদাবাদের বেশ কিছু জায়গা জলের তলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উপচে পড়ছে ফরাক্কা ব্যারেজের জল, ১০৯টি লকগেট খুলে দিলো কর্তৃপক্ষ

উত্তর প্রদেশ ,বিহারের টানা বৃষ্টি উপচে পড়ছে ফরাক্কা বাঁধের জল। ফলে সোমবার ফরাক্কা বাঁধের ১০৯ টি লকগেট একসঙ্গে খুলে দিল কর্তৃপক্ষ।ঘটনার জেরে মুর্শিদাবাদ একাংশ ও বাংলাদেশে প্লাবনের আশঙ্কা । জেলায় একাধিক জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে গঙ্গা ও ফুলহর।

যুব সংসদ প্রতিযোগিতা



নেহেরু যুব কেন্দ্র ও চোয়া নাইন স্টার ক্লাবের উদ্যোগে যুব সংসদ প্রতিযোগিতা, যোগ শিবির ও জল সংরক্ষন বিষয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হলো রবিবার। চোয়া বিবি পাল বিদ্যানিকেতনে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতা এবং সচেতনতা শিবিরে অংশগ্রহণ করে ব্লকের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন হরিহরপাড়া থানার ওসি বিপ্লব কর্মকার, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল মজুমদার প্রমুখ

শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ডাঃকাফিল খান নির্দোষ! দু’বছরের লড়াই শেষে গোরক্ষপুরের শিশু চিকিৎসককে ক্লিনচিট সিবিআই-এর

শিশু-বিভাগে অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থাকে টাকা দেয়নি গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতাল। ফলে আচমকা বন্ধ হয়ে গেছিল অক্সিজেন। মৃত্যুর মুখে বহু শিশু। এই সময়ে নিজের উদ্যোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে এনে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়ে সকলের কুর্নিশ কুড়িয়েছিলেন হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কাফিল খান। রোগী-পরিবার থেকে জাতীয় সংবাদমাধ্যম— তাঁর ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন সকলেই। কিন্তু ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসের এই ঘটনার পরেই কাফিল খানকে রাতারাতি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দুর্নীতির, কাজে ফাঁকি দেওয়ার, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের এবং চিকিৎসায় গাফিলতির।

ঘটনার পরে পেরিয়ে গিয়েছে দু’-দু’টো বছর। এর মধ্যে ন’মাস জেলও খেটেছেন কাফিল। অসহনীয় যন্ত্রণার সেই জেল-জীবনের কথা প্রকাশও পেয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। জামিন পাওয়ার পরে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন কাফিল। দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গিয়েছিলেন, নিজের মনের জোরে। অবশেষে, এত দিন পরে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন তিনি। সিবিআই অফিসার হিমাংশু কুমারের ১৫ পাতার রিপোর্ট জানিয়ে দিল, কাফিলের বিরুদ্ধে ওঠা চারটি অভিযোগের একটিও প্রমাণিত হয়নি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাফিল খান তাঁর কর্তব্যে গাফিলতি তো করেনইনি, বরং ১০ অগাস্ট রাতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখন তা সামাল দেওয়ার সর্বোত্তম চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করা নিয়েও ওই রিপোর্ট বলেছে, ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করেছেন কাফিল। সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় অন্য কোথাও প্র্যাকটিস করেননি। এবং সর্বোপরি, যে এনসেফ্যালাইটিস বিভাগে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে, সে বিভাগের দায়িত্বে ছিলেনই না কাফিল খান।
শুধু তা-ই নয়। হিমাংশু কুমারের ওই রিপোর্ট আরও বলছে, এত দিন কাফিল খানের বিরুদ্ধে যা তদন্ত হয়েছে, যার ভিত্তিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তার কোনও তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। যখন হাসপাতালে অক্সিজেন বিপর্যয় হয়েছিল, তখন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করার আগে কাফিল তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন বলে প্রমাণ রয়েছে, কিন্তু কেউ কোনও পদক্ষেপ করেননি।– এমনই দাবি করছে ওই রিপোর্ট।
দ্য ওয়াল‘-কে টেলিফোনে কাফিল জানালেন, তিনি নির্দোষ তাই মুক্তি পাবেন, এ বিষয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস ছিলই। কিন্তু সরকারের সঙ্গে এই লড়াই ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছিল। “আসল অপরাধীরা আজও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে গাফিলতির কারণে হাসপাতালের শিশু বিভাগে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, সে গাফিলতিতে অভিযুক্তদের গায়ে এখনও আঁচও পড়েনি। অথচ আমার উপর দু’বছর ধরে চলছে এই অকথ্য চাপ।”
কাফিল কানের দাবি, সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত। মৃত শিশুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। সর্বোপরি, সিবিআই তদন্ত করে আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করুক, শাস্তি হোক তাদের।

ডাঃকাফিল খান নির্দোষ! দু’বছরের লড়াই শেষে গোরক্ষপুরের শিশু চিকিৎসককে ক্লিনচিট সিবিআই-এর

শিশু-বিভাগে অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থাকে টাকা দেয়নি গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতাল। ফলে আচমকা বন্ধ হয়ে গেছিল অক্সিজেন। মৃত্যুর মুখে বহু শিশু। এই সময়ে নিজের উদ্যোগে অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনে এনে অনেকের প্রাণ বাঁচিয়ে সকলের কুর্নিশ কুড়িয়েছিলেন হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কাফিল খান। রোগী-পরিবার থেকে জাতীয় সংবাদমাধ্যম— তাঁর ভূমিকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন সকলেই। কিন্তু ২০১৭ সালের অগাস্ট মাসের এই ঘটনার পরেই কাফিল খানকে রাতারাতি দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ সরকার। শুধু তা-ই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় দুর্নীতির, কাজে ফাঁকি দেওয়ার, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের এবং চিকিৎসায় গাফিলতির।


ঘটনার পরে পেরিয়ে গিয়েছে দু’-দু’টো বছর। এর মধ্যে ন’মাস জেলও খেটেছেন কাফিল। অসহনীয় যন্ত্রণার সেই জেল-জীবনের কথা প্রকাশও পেয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। জামিন পাওয়ার পরে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন কাফিল। দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে গিয়েছিলেন, নিজের মনের জোরে। অবশেষে, এত দিন পরে নির্দোষ প্রমাণিত হলেন তিনি। সিবিআই অফিসার হিমাংশু কুমারের ১৫ পাতার রিপোর্ট জানিয়ে দিল, কাফিলের বিরুদ্ধে ওঠা চারটি অভিযোগের একটিও প্রমাণিত হয়নি।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাফিল খান তাঁর কর্তব্যে গাফিলতি তো করেনইনি, বরং ১০ অগাস্ট রাতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরে পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখন তা সামাল দেওয়ার সর্বোত্তম চেষ্টা করে গেছেন। তাঁর প্রাইভেটে প্র্যাকটিস করা নিয়েও ওই রিপোর্ট বলেছে, ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ করেছেন কাফিল। সরকারি হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় অন্য কোথাও প্র্যাকটিস করেননি। এবং সর্বোপরি, যে এনসেফ্যালাইটিস বিভাগে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে, সে বিভাগের দায়িত্বে ছিলেনই না কাফিল খান।
শুধু তা-ই নয়। হিমাংশু কুমারের ওই রিপোর্ট আরও বলছে, এত দিন কাফিল খানের বিরুদ্ধে যা তদন্ত হয়েছে, যার ভিত্তিতে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, তার কোনও তথ্য-প্রমাণ মেলেনি। যখন হাসপাতালে অক্সিজেন বিপর্যয় হয়েছিল, তখন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করার আগে কাফিল তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানিয়েছিলেন বলে প্রমাণ রয়েছে, কিন্তু কেউ কোনও পদক্ষেপ করেননি।– এমনই দাবি করছে ওই রিপোর্ট।
দ্য ওয়াল‘-কে টেলিফোনে কাফিল জানালেন, তিনি নির্দোষ তাই মুক্তি পাবেন, এ বিষয়ে তাঁর আত্মবিশ্বাস ছিলই। কিন্তু সরকারের সঙ্গে এই লড়াই ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছিল। “আসল অপরাধীরা আজও বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। যে গাফিলতির কারণে হাসপাতালের শিশু বিভাগে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, সে গাফিলতিতে অভিযুক্তদের গায়ে এখনও আঁচও পড়েনি। অথচ আমার উপর দু’বছর ধরে চলছে এই অকথ্য চাপ।”
কাফিল কানের দাবি, সরকারের ক্ষমা চাওয়া উচিত। মৃত শিশুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। সর্বোপরি, সিবিআই তদন্ত করে আসল অপরাধীদের চিহ্নিত করুক, শাস্তি হোক তাদের।

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বাংলাদেশেও বাতিল হচ্ছে ১০০০-৫০০ টাকার নোট ! ভুয়ো খবরে তোলপাড় ওপার বাংলা

১০০০ ও ৫০০ টাকার নোট বাতিল হচ্ছে না বাংলাদেশে। আর এই বাতিল সংক্রান্ত সংবাদও সঠিক নয় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনই তথ্য জানানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিলের গুজবের প্রেক্ষিতে এই তথ্য জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংবাদ মাধ্যমে ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোট বাতিলের বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা খবর ছাপানো হয়েছে। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর সংবাদ জনমনে ভীতি সৃষ্টি করছে। ফলে দেশের মুদ্রা ব্যবস্থাপনার স্থিতিশীলতা নষ্ট হতে পারে। ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোট বাতিলের পরিকল্পনা বাংলাদেশ ব্যাংকের নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি এবং সরকারের পক্ষ থেকে এই ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে কোনো নির্দেশ দেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক অর্ডার ১৯৭২-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে যে কোনও প্রকার নোট/মুদ্রা/কয়েন মুদ্রণ, ইস্যু কিংবা বাতিল করতে পারে। এই ক্ষমতা শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। এই ধরনের সংবাদ পরিবেশন আইনের লঙ্ঘন। জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী সংবাদ প্রকাশ না করতে গণমাধ্যমকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক টিকটকে পেল অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট

টিকটকে অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট খুলল AIMIM. মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন প্রথম কোনো রাজনৈতিক টিকটকে পেল অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট। ভারতের এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দল টিকটকে পেল অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট।টিকটকে বেশিরভাগ অল্পবয়সী আর সেই অল্পবয়সীদের কাছে পৌঁছনো হল মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিনের লক্ষ্য। টিকটক ভিডিয়ো করে তারা নিজেদের রাজনৈতিক কার্যকলাপ ভাবধারা অল্পবয়সীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে উদ্যোগী তারা।
http://vm.tiktok.com/yPokCN/

সিপিআইএমের জনসভায় জনপ্লাবনে পরিনত

 সিপিআই(এম) একটি জনসভায় জনপ্লাবনে পরিনতি হয়। মেদিনীপুর এবং রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় জনসমাবেশ করছে সিপিআই(এম) যেখানে সিপিআই(এম) জনসভা করেছে সেখানে ভালো জনতার ভিড় হচ্ছে বলে নেতারা জানান।

মেদিনীপুর জনসভায় প্রধান বক্তা ছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, রবিন দেব, তরুণ রায়, রাজ্য এবং জেলা নেতৃবৃন্দ। রাজ্য এবং কেন্দ্রের তীব্র সমালোচনা করেন সূর্য বাবু এনআরসি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন
এনআরসি নিয়ে প্রথম থেকে বিরোধিতা করছে সিপিআই(এম)।

কদিন আগে সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানে বামপন্থী যুব ছাত্র সংগঠনের নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল। অভিযানে ছাত্র-যুব বেকার ছেলে মেয়ের উপর লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ এবং টিএমসির সমর্থকরা, তীব্র নিন্দা এবং ধিক্কার জনক ঘটনা বলে অভিযোগ করেন নেতারা।

আরো বলেন বাংলায় কোনো গণতন্ত্র নেই বাংলার মানুষের কোনো কথা বলার অধিকার নেই। চিটফান্ডের যে সকল কাটমানি নিয়েছে নেতা-মন্ত্রীরা চাকরি দিবেন বলে কাটমানি খেয়েছে সেই সকল কাট মানি ফেরত দিতে হবে। বাংলায় যে সকল শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সে সকল শিল্প পুনরায় চালু করতে হবে। বেকার ছেলে মেয়ের কাজ দিতে হবে, কৃষকের ফসলের দাম দিতে হবে, ধর্ম নিয়ে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে, রাজ্য ও কেন্দ্র সরকার কে।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন সেই প্রসঙ্গ সূর্য বাবু বলেন দিদি নিজের দলের নেতা মন্ত্রী ও নিজে বাঁচার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন।



রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

রেশন দুর্নীতি রুখতে ছদ্মবেশে খাদ্য কর্মদক্ষ হানা রেশন দোকানে

গতকালের পর আজ আবার রেশন দোকানে হানা ।এবার ছদ্ম বেশে রেশন দোকান এ হানা খাদ্য কর্মধ্যক সিরাজ খান। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাশকুড়া থানার মেছোগ্রাম এ রামপদ মাজি রেশন দোকান দার এর দুর্নীতি ।গ্রাহক দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। রেশন এ ওজন এ মাল কম দেওয়া। তারি সরেজমিনে জন ছদ্মবেশ এ গ্রাহক দের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ লাইন এ দাড়ালেন এবং সাধারণ গ্রাহক দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার। রেশন দোকান খুলে ঘণ্টার পর ঘন্টা লাইন এ গ্রাহক দের দাড় করিয়ে নিজে বাড়িতে টিফিন করতে চলে যাওয়া। বাটখারা তে কম ও কেরোসিন দেওয়ার জায়গায় কম সবই ধরলেন হাতে নাতে। গ্রাহক দের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগ শোনেন। রেশন ডিলার কে সাবধান করলেন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন খাদ্য কর্মদক্ষ। যেখান থেকেই অভিযোগ আছে জেলার এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত ছুটে যাচ্ছে কখনো ছদ্মবেশে কখনো ক্রেতা সেজে। খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ এহেন কর্মকাণ্ডে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ ।

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

NRC আতঙ্কে রাজ্য! দীর্ঘক্ষণ রেশন কার্ড করানোর লাইনে দাঁড়িয়ে মৃত এক

রেশন কার্ড করতে এসে মৃত্যু এক ব্যক্তি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ভিডিও অফিসের ঘটনা আজ সকাল ৭ টায় বালুরঘাট বিডিও অফিসে লাইন দেয় জলঘরের মন্টু সরকার নামে এক ব্যক্তি। ১১ টা নাগাদ লাইনে মাথা ঘুরে পরেযায় তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবেশীরা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষনা করে । ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছরায় বিডিও অফিস চত্তরে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

দেশে ই-সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে ই-সিগারেট নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। গত বছর অগস্টে জনস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য বৃহত্তর স্বার্থে ই-সিগারেটের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারির পরামর্শ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। সেই পরামর্শ মেনেই ই-সিগারেটের উত্পাদন, রফতানি, বিক্রি, বিজ্ঞাপন সব কিছুর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্র। এদিন সীতারামন বলেন, "স্টাইলের জন্য নতুন প্রজন্মের অনেকে ক্ষতিকারক ই-সিগারেটে আষক্ত হয়ে পড়ছেন। সেই দিকে নজর রেখেই এই সিদ্ধান্ত।"

সিগারেটের বিকল্প হিসেবে ই-সিগারেট ব্যবহার করে ইদানীং সমস্যায় পড়ছেন অনেকেই। ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকেরাও মানুষকে এই বস্তুটি ব্যবহার করা থেকে সতর্ক করছেন বারবার। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ই-সিগারেটের তরল মিশ্রণ (ই-লিকুইড)-এর মধ্যে থাকে প্রপেলিন গ্লাইসল, গ্লিসারিন, পলিইথিলিন গ্লাইসল, নানাবিধ ফ্লেভার এবং নিকোটিন। গরম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই রাসায়নিক গুলি থেকে সাধারণ সিগারেটের ধোঁয়ার সমপরিমাণ ফরমালডিহাইড উৎপন্ন হয়। এ ছাড়াও ই-সিগারেটের ধোঁয়ায় থাকে অতিসূক্ষ রাসায়নিক কণা যা ভীষণই ক্ষতিকারক।

গত বছর স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ই-সিগারেট বা ওই জাতীয় দ্রব্যে ব্যবহারের ফলে হৃদরোগের (কার্ডিওভাসকুলার) আশঙ্কা বৃদ্ধি পায় বা ফুসফুসের সমস্যা দেখা দেয়। শুধু তাই নয়, ই-সিগারেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাঁরা সন্তানসম্ভবা, তাঁদের গর্ভস্থ ভ্রূণও ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ই-সিগারেটে যেভাবে রাসায়নিক নিকোটিন ব্যবহার করা হয় তা ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই) দ্বারা অনুমোদিত নয় বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারে মৃত্যুও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। জাপানের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ই-সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়েও ১০ গুণ বেশি ক্ষতিকারক। 

বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

লাল নিশান উড়িয়ে ওঁরা আসছে, কেন পথে নবান্নের প্রশাসন?

কলকাতা: দাবি তিনটি৷ শিক্ষায় খরচ কমানো৷ বেকার ভাতা চালু ও চাকরির দাবি৷ এই তিনটি দাবিকে তুলে ধরে এবার লাল নিশান উড়িয়ে ফের নবান্ন অভিযানের সামিল হয়েছেন বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের কয়েক হাজার কর্মী-সমর্থক৷ আজ সিঙ্গুর থেকে মিছিল শুরু হয়েছে৷ পৌঁছে গিয়েছে ডানকুনিতে৷ সেখান থেকেই শুক্রবার নবান্ন অভিযান করবে বাম ছাত্র সংগঠন৷ কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাম-ছাত্র সংগঠনের নবান্ন কর্মসূচি অভিযানে অনুমতি দেয়নি পুলিশ৷ তবুও অনড় বাম ছাত্র যুব সংগঠন৷ আর এই কর্মসূচি ঘিরে শুক্রবার ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে নবান্নে চত্বরে৷

বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, অনুমতি দিক বা না দিক, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদ চলবেই৷ যুব-ছাত্র সংগঠনের এই কর্মসূচি রুখতে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে পুলিশ৷ সিঙ্গুর থেকে নবান্ন পর্যন্ত লংমার্চ রুখতে ইতিমধ্যেই তৎপরতা শুরু করেছে প্রশাসন! কেননা, নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে নবান্ন চত্বরে আগেই মিছিল-মিটিং জামায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ৷ জারি ১৪৪ ধারা৷ এমনকী, নবান্ন লাগোয়া কয়েকটি এলাকায় জমায়েত পর্যন্ত করার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে৷

ফলে আগামীকাল শুক্রবার ছাত্রসংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে তৈরি হয়েছে আশান্তির আশঙ্কার মেঘ৷ মিছিল রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারে প্রশাসন৷ জলকামান তো আছেই! সঙ্গে পুলিশের লাঠিচার্জ৷ কাঁদানে গ্যাসের শেল কিংবা পুলিশের লাঠি কিছুই দমাতে পারবে না মিছিল৷ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাম ছাত্র সংগঠনের তরফে৷

নবান্ন কেন, অন্যান্য আন্দোলন-কর্মসূচিতে রুখতেও ব্যারিকেড করে আন্দোলন-মিছিল রুখে দিয়েছে পুলিশ৷ সম্প্রতি বিজেপির যুব মোর্চার মিছিলে জলকামান, লাঠি, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে মিছিল থামিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ৷ এমনকি শিক্ষাবন্ধু, পার্শ্বশিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলনে বেপরোয়াভাবে পুলিশ আন্দোলন কর্মসূচি রুখে দিয়েছে৷ এ ক্ষেত্রেও যে একই ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষক মহলের একাংশ৷

মাধ্যাকর্ষণ সূত্রের আবিষ্কর্তা আইনস্টাইন, ঘোষণা রেলমন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: দেশের অর্থনীতির হাল বোঝাতে গিয়ে এবার বেফাঁস মন্তব্য করে বসলেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল৷ মাধ্যাকর্ষণ সূত্রের আবিষ্কর্তা আইনস্টাইন৷ রেলমন্ত্রীর এই মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷

বৃহস্পতিবার দেশের অর্থনীতির হাল বোঝাতে গিয়ে পীযূষ গোয়েল সাংবাদিক বৈঠক করেন৷ সেখানে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করেন তিনি৷ সেখানেই বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসেন তিনি৷ আর্থনীতি সব সময় সঠিক সমীকরণ অনুযায়ী চলে না৷ এটা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কোনও অঙ্ক ছাড়াই মাধ্যাকর্ষণ সূত্রের আবিষ্কার করেছিলেন আইনস্টাইন৷’’ মন্ত্রীর এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে৷

গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখে বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটন মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম আবিষ্কার করেছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়৷ গত বছর ৯ জানুয়ারি রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী বাসুদেব দেবনানি দাবি করেন, নিউটন নয়৷ মাধ্যাকর্ষণ সূত্র আবিষ্কার হয়েছিল নিউটনের আগে৷ হাজার বছর আগে ওই সূত্রের আবিষ্কর্তা ছিল ভারতের দ্বিতীয় ব্রহ্মগুপ্ত৷ সেই নিয়েও শুরু হয় বিতর্ক৷

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ফের রাতে কাঁপল, ১০ ঘণ্টায় ৪ বার ভূমিকম্প

সোমবার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে চার বার কেঁপে উঠল হিমাচল প্রদেশের চম্বা। শেষ কম্পন অনুভূত হয়েছে এদিন রাত সাড়ে ৯টায়। চম্বার পুলিশ সুপার মনিকা ভুতুনগুরু জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর তাঁর কাছে আসেনি। জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতিও।

শিমলা আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা মনমোহন সিং জানান, সোমবার বেলা ১২টা ১০ থেকে রাত ৯টা ২৭ মিনিটের মধ্যে চার বার কেঁপেছে চম্বা। কম্পনের তীব্রতা ছিল ২.৭ থেকে ৫ এর মধ্যে।

এদিন ১২টা ১০ মিনিটে প্রথম কম্পনটি ছিল তুলনামূলক ভাবে জোরালো। তীব্রতা ছিল ৫। এর পরের কম্পনগুলিতে তীব্রতা ক্রমে কমতে থাকে। দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি হয় আধ ঘণ্টা পরে, ১২টা ৪০ মিনিটে। তৃতীয় কম্পাঙ্ক ১২টা ৫০ মিনিটে, তীব্রতা ২.৭। দিনের শেষ কম্পাঙ্কের তীব্রতা ছিল ৩.২।

প্রথম তিন কম্পনের উত্‍‌সস্থল হিমাচলের উত্তর-পূর্বে, জম্মু-কাশ্মীর সীমানায়। গভীরতা ৫ কিলোমিটার। অন্য দিকে, চতুর্থ ভূ-কম্পনের উত্‍‌পত্তিস্থল ছিল ১০ কিলোমিটার গভীরে।

রবিবার সকালেও দু-বার কেঁপেছে চম্বা। ভোর সাড়ে ৫টায় ৩.৪ কম্পাঙ্কের ভু-কম্পন অনুভূত হয়। ৮.০৪ মিনিটে দ্বিতীয় ভূ-কম্পন ছিল হিমাচল-কাশ্মীর সীমানায়, তীব্রতা ছিল ৪.৯। চম্বা-সহ হিমাচলের বেশির ভাগ অংশই উচ্চ ভূ-কম্পন গতিবিধি ক্ষেত্রর মধ্যে পড়ে।


অবশেষে মুক্তি, শেষ দেখা দিয়ে বাড়ি ফিরলেন বুদ্ধদেব

 অবশেষে ছুটি পেলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ বেডে শুয়ে ফিরছেন বাড়িতে৷ হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছুটি ঘোষণা করা হলেও বুদ্ধবাবুর বাড়িতেই চলবে চিকিৎসা৷ জানিয়েছে উডল্যান্ড কর্মপক্ষ৷ দীর্ঘ চিকিৎসার পর বিপদ কাটতে না কাটতেই বাড়ি ফিরে যাওয়ার জেদ ধরে বসেন তিনি৷ পরিবারকেও জানিয়ে দেন সে কথা৷ পরে, পরিবারের পরামর্শ অনুযায়ী তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন চিকিৎসকরা৷

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রক্ত ও অক্সিজেনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে তাঁর৷ চিকিৎসা সামগ্রী তাঁকে বাড়িতেই ব্যবস্থা করা হবে৷ অ্যাম্বুলেন্স করে তাঁকে বাড়িতে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ যদিও বুদ্ধবাবু চেয়েছিলেন তাঁকে তাঁর গাড়িতে করেই বাড়িতে নিয়ে দেয়া হোক৷ কিন্তু চিকিৎসকরা সেই অনুমতি না দেওয়ায় পরে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে বাড়িতে পাঠানো হয় তাঁকে৷ বর্তমানে বুদ্ধদেববাবুর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল৷ তবে তাঁর এখনও চিকিৎসার প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ বুদ্ধবাবুর ইচ্ছাতেই তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার হচ্ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর৷

গুরুতর অসুস্থ হয়ে শুক্রবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে৷ রক্তচাপ প্রবল ভাবে কমে যাওয়ায় গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়৷ হাসপাতালে বুদ্ধদেবের শারীরক অবস্থার খোঁজ খবর দিয়ে রাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আগের থেকে কিছুটা ভাল আছেন তিনি৷
শুক্রবার সন্ধ্যায় উডল্যান্ড নার্সিং হোমে তাঁকে ভর্তি করা হয়৷ প্রবল কষ্ট নিয়ে ওই দিন সন্ধ্যা আটটা নাগাদ তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়৷ বুদ্ধদেবের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গেলেও আপাতত স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে হাসপাতালে যান ফুয়াদ হালিম৷ বুদ্ধদেবের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল দলে রয়েছেন ফুয়াদ৷

জানা গিয়েছে, ওই দিন সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধবাবু৷ তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকেটাই মেনে যাওয়ায় সমস্যা তীব্র আকার নেয়৷ সঙ্গে তীব্র শ্বাসকষ্ট বিপত্তি আরও বাড়িয়ে তোলে৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয় তাঁর চিকিৎসা৷

বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণ রয়েছে তাঁর৷ গুরুতরভাবে অসুস্থ থাকার কারণে লোকসভা নির্বাচনের আগে বামেদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে অংশ নিতে পারেননি তিনি৷ তবে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রিগেডের মাঠে৷ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে কার্যত অবসর নিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ সম্প্রতি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ সেখানে দু’জনের বেশ খানিকক্ষণ কথা হয়৷ গত মাস খানেক ধরে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার বেশ খানিকটা অবনতি ঘটে৷ পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷ দীর্ঘ দিন ধরে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিসে ভুগছেন তিনি৷ পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায়, তাঁর নাকে অক্সিজেন নল বসিয়ে রাখা হয়৷ কিন্তু, এদিন সন্ধ্যায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷

এমনিতেই হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা চালাতে তাঁর অনীহা ছিল৷ চাইতেন না তাঁকে ঘিরে ভিড় জমুক৷ নিজের দু’কামরার ফ্ল্যাটেই রয়েছে তাঁর গোটা দুনিয়া৷ সঙ্গী বই৷ লেখা, খবর শোনা৷ দৃষ্টিশক্তি কমে গেলেও পার্টি কর্মীরা এসেই বই, সংবাদপত্র পড়ে তাঁকে শোনাতেন৷ খোঁজ নিতেন দলেরও৷ শোনা যায়, দলের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তাঁর পরামর্শ নেওয়া হত৷ লোকসভা নির্বাচনের আগেও দলীয় মুখপত্রে কলম ধরে মোদি-মমতাকে তীব্র সমালোচনা করেন বুদ্ধবাবু৷

রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

হরিয়ানাতে মসজিদের ইমাম ও তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলো সন্ত্রাসীরা, ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য

হরিয়ানাতে মসজিদের ইমাম ও তাঁর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করলো সন্ত্রাসীরা, ঘটনার পর এলাকায় চাঞ্চল্য। হরিয়ানার সোনিপাট জেলায় একটি হৃদয় বিদারক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। মসজিদের পাশের একটি ঘরে শুয়ে থাকা ইমাম ও তাঁর স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয় বলে খবর। ইমাম ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার পর এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁদের দুজনের দেহে ১৫ থেকে ২০ টি ধারালো অস্ত্রের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে সোনাইপটের গন্নোর শহরের মানক মাজরা গ্রামের।

রবিবার সকালে গ্রামের লোকেরা নামাজ পড়তে মসজিদে পৌঁছে তাঁরা দেখেন খুন করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তানারা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়ের দেহ পোস্টমর্টেমের জন্য প্রেরণ করে। এ ঘটনায় পুলিশ অজ্ঞাতপরিচয় লোকদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছে এবং তদন্ত শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, শহীদ ইরফান পানিপথের মাওহালি গ্রামের বাসিন্দা, তিনি মসজিদে ইমামতি করতেন এবং স্ত্রী ইয়াসমিনের সাথে মসজিদের পাশের একটি ঘরে থাকতেন। গনৌরের মানক মাজরি গ্রামে নির্মিত মসজিদে ইরফান গত চার বছর ধরে ইমামতি করছিলেন। এক বছর আগে ইয়াসমিন ওরফে মীনার সাথে তার বিয়ে হয়েছিল। 

ভোর পাঁচটার দিকে ফজরের নামাজের জন্য মসজিদে নামাজিরা উপস্থিত হন, তখন নাসিব নামে এক নামাজি ইমামের রুমে রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের দুজনের লাশ দেখতে পান। মসজিদের ইমাম ও তার স্ত্রীের লাশটি বিকৃত করে বর্বরভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল বলে জানান স্থানীয়রা। ।

জরিমানা করিয়েছিলেন যে পুলিসকর্মী তাঁকেই সাসপেন্ড করিয়ে দিলেন যুবক

মাঝরাস্তায় হাইভোল্টেজ ড্রামা! এক পুলিসকর্মীর সঙ্গে প্রবল বচসায় জড়ালেন একজন যুবক। মাঝরাস্তায় বেশ কিছুক্ষণ চলল নাটক। তার পর সেই পুলিসকর্মী যুবকের কলার চেপে ধরেন। ব্যস, তাতেই বিপত্তি। এর পরই সেই যুবককে আরও কয়েকজন পুলিসকর্মী মিলে থানায় তুলে নিয়ে যান। কিন্তু গোটা ঘটনার ভিডিয়ো তুলে রাখেন স্থানীয় লোকজন। কেউ কেউ আবার ফেসবুক লাইভ করলেন। কৃতকর্মের জন্য শাস্তি ভোগ করতে হল সেই পুলিসকর্মীকে। 

ট্রাফিক আইনে নতুন নিয়ম অনুযায়ী হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোয় এক যুবককে বড়সড় জরিমানা করেছিল বিহার পুলিস। বক্সারের সেই যুবক এর পর স্থানীয় থানার অফিসার রোশন কুমার হেলমেট ছাড়া বাইক চালানোয় তাঁকে মাঝরাস্তায় আটকান। তার পর তাঁকে প্রশ্ন করেন, সরকারের সব নিয়ম কি শুধু আম জনতার জন্য? পুলিসকর্মীরা কি চাইলেই হেলমেট ছাড়া বাইক চালাতে পারেন? এর পরই শুরু হয় তর্ক-বিতর্ক। পুলিসকর্মী এরই মধ্যে সেই যুবকের কলার চেপে ধরেন। তার পর তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি হয় সেই যুবকের। ইতিমধ্যে সেখানে লোকজন জমে যায়। অবস্থা বেগতিক বুঝে রোশন কুমার ও অন্য পুলিসকর্মীরা সেই যুবককে থানায় নিয়ে যান।

- चालान को लेकर बवाल, युवक ने दारोगा को करवाया सस्पेंड.

65 people are talking about this

বিহার পুলিসের এসপি উপেন্দ্রনাথ বর্মা জানান, ভাইরাল ভিডিয়ো দেখার পর রোশন কুমারকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। এসপি আরও জানালেন, সেই যুবককে রেহাই করা হয়েছে। বক্সার আইটিআই ফিল্ড অঞ্চলে জরিমানা করা হয়েছিল সেই যুবককে। তার পরই তিনি বিনা হেলমেটে বাইক চালানো রোশন কুমারকে আটকান। শুরু হয় বচসা। কিন্তু প্রকাশ্যে সেই যুবকের গায়ে হাত দিয়েই ফ্যাসাদে পড়েন সেই পুলিসকর্মী। 

শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

খুব শীঘ্রই রেজাল্ট প্রকাশিত হতে চলেছে Kalyani University part-2 এর 2019

 খুব শীঘ্রই রেজাল্ট প্রকাশিত হতে চলেছে কল্যাণী ইউনিভার্সিটি পার্ট 2 এর।রেজাল্ট দেখা যাবে http://www.klyuniv.ac.in/ বা http://www3.exametc.com/ বা https://indiaresults.com/ এ।



তৃণমূল বিরোধিতায় বাঙালিকে চোর-চিটিংবাজ বলে অপমান দিলীপের

 বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না দিলীপ ঘোষের। বিজেপির রাজ্য সভাপতির নামের পাশে বিতর্ক শব্দটা এখন পাকাপাকি ভাবে বসে গিয়েছে। এবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করতে গিয়ে বাঙালি জাতিকেই অপমান করে বসলেন তিনি। শুক্রবার হুগলির পুরশুড়ায় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে কাটমানি প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারকে বিঁধতে গিয়ে বাঙালিকে চোর-চিটিংবাজ বলে বিতর্ক বাড়ালেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্যকে হাতিয়ার করে পালটা তৃণমূলের কটাক্ষ, উনি কি বাঙালি নন? তার মানে কি উনি নিজেকেও চিটিংবাজ বলছেন? এই মন্তব্যের জন্য বিজেপিকে বাঙালি বিরোধী বলেও আক্রমণ করতে ছাড়েনি ঘাসফুল শিবির।

এদিন পুরশুড়ায় পদযাত্রা শেষে এক দলীয় সভায় তিনি এই বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘এখন তো সব জায়গায় কাটমানি-তোলাবাজি। ব্যবসায় করতে গেলেও তোলা দিতে হচ্ছে। পড়াশোনা করতে গেলেও। এই কাটমানি আর তোলাবাজি বন্ধ করার জন্য তৃণমূলকে হারাতে হবে। বাঙালি মানে আজ চোর-চিটিংবাজ হয়ে গিয়েছে। এই বদনাম ঘোচানোর জন্য বাংলায় পরিবর্তন আনতে হবে।’ দিলীপের এই মন্তব্যের জেরে সরগরম রাজনৈতিক মহল। বাঙালিকে অপমান করায় অনেকেই ক্ষুব্ধ তাঁর উপর। রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি গোটা জাতিকে অসম্মান কেন করলেন, প্রশ্ন তুলছে ওয়াকিবহাল মহল।

এদিকে, শনিবার চন্দ্রযান প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কলকাতায় আইসিসিআর অডিটোরিয়ামে দলীয় বৈঠকের শুরুতে ভাষণে শনিবার দিলীপবাবু বলেন, “ভারতের আনন্দে, দুঃখ-কষ্টে অনেকেই তাল মেলাতে পারছেন না। তারা পাকিস্তানের সঙ্গে সুর মেলাচ্ছে। চন্দ্রযান ২ সারা দেশের মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা জাগিয়েছে। চন্দ্রযান ২ এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় রাত দুটোর পর। নকশালপন্থী লোকজন নাকি এটা নিয়ে আনন্দ করেছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীও কষ্টের মধ্যে ছিলেন। তিনি হয়তো ভাবছিলেন চন্দ্রযান যদি পৌঁছে যায় তাহলে হয়তো পশ্চিমবঙ্গে সরকারটা ভেঙে যাবে। পাকিস্তান, ইমরান খানের সুরে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী।”

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

গুরুতর অসুস্থ বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, ভর্তি আইসিউইতে

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ রক্তচাপ প্রবল ভাবে কমে গিয়েছে৷ গুরুতর অসুস্থ হয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে৷ হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷

উডল্যান্ড নার্সিং হোমে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে বলে খবর৷ প্রকাশ কষ্ট নিয়ে আজ সাড়ে আটটা নাগাদ তাঁকে আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়েছে৷ বুদ্ধদেবের রক্তচাপ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গিয়েছে বলে খবর৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী স্ত্রী ও মেয়ের সঙ্গে হাসপাতালে রয়েছে ফুয়াদ হালিম৷ জানা গিয়েছে, আজ সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন বুদ্ধবাবু৷ তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ এই মুহূর্তে তাঁর রক্তচাপ স্বাভাবিকের থেকে অনেকেটাই মেনে গিয়েছে৷ রয়েছে তীব্র শ্বাসকষ্ট৷ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে বুব্ধবাবুর চিকিৎসা৷

ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ হাসাপাতালে গিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র থেকে শুরু করে সুজন চক্রবর্তী৷ হাসপাতাল চত্বরে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন বাম নেতারাও৷ বুদ্ধদেবের চিকিৎসার জন্য ইতিমধ্যেই মেডিকেল টিম গঠন করেছে৷ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য সমস্ত রকম তৎপরতা শুরু করেছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ৷

বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ ফুসফুসে গুরুতর সংক্রমণ রয়েছে তাঁর৷ গুরুতরভাবে অসুস্থ থাকার কারণে লোকসভা নির্বাচনের আগে বামেদের ডাকা ব্রিগেড সমাবেশে অংশ নিতে পারেননি তিনি৷ তবে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্রিগেডের মাঠে৷ দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে রাজনীতি থেকে কার্যত অবসর নিয়েছিলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ সম্প্রতি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে দেখতে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল৷ সেখানে দু’জনের বেশ খানিকক্ষণ কথা হয়৷ গত মাস খানেক ধরে বুদ্ধবাবুর শারীরিক অবস্থার বেশ খানিকটা অবনতি ঘটে৷ পাম অ্যাভিনিউয়ের বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা চলছিল৷ পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায়, তাঁর নাকে অক্সিজেন নল বসিয়ে রাখা হয়৷ কিন্তু, এদিন সন্ধ্যায় পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তাঁকে তড়িঘড়ি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়৷

বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বহরমপুরে লালদিঘিতে ডাক্তারের চেম্বারে গনপিটুনিতে মৃত্যু খাবিল সেখ নামের এক যুবকের

বুধবার দুপুরে বহরমপুরে চিকিৎসকের চেম্বারে গন প্রহারে মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশ জানিয়েছে মৃত যুবকের নাম খাবির সেখ, বহরমপুরের শাহাজাদপুর ফুলিয়া পাড়া এলাকায় বাড়ি।
সৌদি কাজ করতো, বর্তমানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতো।

বুধবার ১১দিকে সুরক্ষা নামক একটি ডাক্তার চেম্বারে বেশ কয়েকজন লোক তাকে হাত পা বাধা বেধে মারধর শুরু করে। গণপ্রহারে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় খাবিল সেখের। কি কারনে গণপিটুনি তার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

বিধানসভার অধীরকে সংবর্ধনা দিয়ে সোমেন মিত্র বলল "অধীরকে সে দিন ঠিক চিনেছিলাম"

লোকসভায় কংগ্রেসের সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হয়েছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী। অনেকদিন পর সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বাংলার কোনও নেতা এই উচ্চতায় পৌঁছেছেন। বিধানসভার কংগ্রেস পরিষদীয় দল বুধবার সংবর্ধনা দিল অধীর চৌধুরীকে। আর সেই অনুষ্ঠানে দেখা গেল বাংলা কংগ্রেসের ঐক্যের ছবিটা।  তাও অনেক দিন পর! যেখানে দাঁড়িয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বললেন, “সে দিন আমি অধীরকে ঠিক চিনেছিলাম।”

এ দিন সোমেনবাবু বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি অধীর, শঙ্কর সিং, মৃণাল সিংহরায়, সুলতান আহমেদকে টিকিট দিয়েছিলাম বলে আজকের মুখ্যমন্ত্রী গলায় শাল জড়িয়ে আত্মহত্যার নাটক করেছিলেন। আজ প্রমাণিত, আমি সে দিন অধীরকে ঠিক চিনেছিলাম।” ১৯৯৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন যুব কংগ্রেসের সভানেত্রী। সেই সময়ে অধীরদের টিকিট দেওয়া নিয়ে বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। দলের ভিতরে হচ্ছে না দেখে, সেই প্রতিবাদ আছড়ে ফেলেছিলেন রাজপথে।
প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি নবগ্রাম বিধানসভার প্রচারে গিয়ে দেখেছিলাম, একজন যুবকের কী জনপ্রিয়তা! আজ তিনিই লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা।”
শুধু তো সোমেন মিত্র বা প্রদীপ ভট্টাচার্য নন। এই অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা আবদুল মান্নান-সহ সমস্ত কংগ্রেস বিধায়ক। ছিলেন বামেরাও। সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী থেকে ফরওয়ার্ডব্লকের আলি ইমরান রামস (ভিক্টর)- সকলেই গলা মেলালেন অধীর বন্দনায়। চাকুলিয়ার বিধায়ক ভিক্টর বলেন, “অধীরদা আমার বিপরীত মতাদর্শের রাজনীতি করতে পারেন। কিন্তু তাঁর লড়াকু মনোভাবের জন্য ছোট বেলা থেকেই আমার অনুপ্রেরণা।”
শেষ বাঙালি কংগ্রেস নেতা হিসেবে লোকসভার দলনেতা হয়েছিলেন উত্তরণ প্রণব মুখোপাধ্যায়ের। পর্যবেক্ষকদের মতে, সেটা ছিল স্বাভাবিক উত্থান। কিন্তু অধীরের ক্ষেত্রে এই জায়গায় পৌঁছনোটা সহজ ছিল না। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে, লড়াই করেই আজকে এই জায়গায় পৌঁছেছেন পাঁচ বারের বহরমপুরের সাংসদ।
অনেকের মতে, সারা দেশে কংগ্রেস সংকটে। বাংলায় আরও বেশি। এই ভঙ্গুর অবস্থায় অধীরের এই জায়গায় পৌঁছে যাওয়াটা বাংলার কংগ্রেস কর্মীদের মনেও একটা রুপোলি রেখা দেখাচ্ছে।

মঙ্গলবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

ডাক্তার পেটালে ১০ বছর পর্যন্ত জেল বা ১০ লাখ টাকা জরিমানা! বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র

চিকিৎসক নিগ্রহের ঘটনা যেন দিনকে দিন আরও বেশি করে সামনে আসছে। এই ঘটনার বেড়ে চলা রুখতে এবার নতুন বিল আনতে চলেছে কেন্দ্র। জানা গেছে, এই নতুন বিল পাশ হলে চিকিৎসক নিগ্রহের শাস্তি হবে ১০ বছরের জেল অথবা ১০ লক্ষ টাকার জরিমানা।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন বিল পাশ হলে, কড়া আইনের জেরে এই নিগ্রহের ঘটনা হয়তো কমবে দেশে।
কিছু দিন আগেই এনআরএস হাসপাতালে এক বৃদ্ধ রোগীর মৃত্যুতে জুনিয়র চিকিৎসক পরিবহ মুখোপাধ্যায়কে নিগ্রহ করে তাঁর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। মাথার খুলি ফেটে গেছিল পরিবহর। ঘটনার অভিঘাতে যেন সারা দেশে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল। ধর্মঘট ডেকেছিলেন চিকিৎসকেরা। সারা দেশে বন্ধ ছিল চিকিৎসা পরিষেবা। সে ভাবে শাস্তি হয়নি কারও।
গত সপ্তাহেই ফের মার খান আসামের চা বাগানের বৃদ্ধ চিকিৎসক দেবেন দত্ত। প্রাণে বাঁচেননি ৭৩ বছরের ওই চিকিৎসক। তাঁর মৃত্যুর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে সারা দেশকে।
৩৩ বছর বয়সি শ্রমিক সোমরা মাঝিকে তাঁর আত্মীয় ও অন্য শ্রমিকেরা শনিবার দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেই সময় তাঁর অবস্থা গুরুতর ছিল। কিন্তু সেই সময় হাসপাতালে ছিলেন না ডাক্তার দেবেন দত্ত। ফার্মাসিস্টও ছুটিতে ছিলেন। কর্তব্যরত নার্স সোমরাকে স্যালাইন দিলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি বলে জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দুপুর সাড়ে তিনটের দিকে হাসপাতালে আসেন ডাক্তারবাবু। তখনই তাঁর উপর চড়াও হন ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। তাঁকে মারধর করে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। তার পরে পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে এসে তাঁকে উদ্ধার করে। কিন্তু তত ক্ষণে মৃত্যু হয় তাঁর।
এর পরেই মঙ্গলবার নতুন বিলের খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র। ‘হেল্থকেয়ার সারভিস পার্সোনেল ও ক্লিনিক্যাল এসট্যাবলিশমেন্ট’ নামের বিলে কড়া শাস্তির কথা বলা হয়েছে। চিকিৎসকদের উপর কোনও রকম নিগ্রহ করলে বা হাসপাতালে ভাঙচুর চালালে ১০ বছরের জেল হতে পারে অভিযুক্তদের। অথবা জরিমানা হতে পারে ১০ লক্ষ টাকা। ভারতীয় সংবিধানের ৩২০ ধারায় পরিবর্তন আনবে এই নতুন বিল।
শুধু চিকিৎসকদের উপরেই নয়, চিকিৎসাকর্মীদের গায়ে হাত তুললেও তা জামিন অযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে এই নতুন বিলে। কেন্দ্র জানিয়েছে, যেভাবে দেশ জুড়ে চিকিৎসকদের ওপর গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, তা বন্ধ করতে উদ্যোগী সরকার। এ জন্য নতুন বিলের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে জনতার কাছ থেকেও মতামত জানতে চেয়েছে কেন্দ্র। তবে তা পাঠাতে হবে নোটিস প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে।

রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

প্লাস্টিকের ব্যাগ হাতে স্টেশনে ঢুকলেই হবে জরিমানা, নয়া নির্দেশিকা রেলের

আগে যা করেছেন তা ভুলে সাবধান হয়ে যান! যাত্রীদের এভাবেই সতর্ক করা শুরু করল রেল। ৫০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিকের ব্যাগ বা অন্য সামগ্রী নিয়ে স্টেশনে ঢুকলে বা ট্রেনে চড়লে গুনাগার দিতে হবে সেই যাত্রীকে। আগামী ২ অক্টোবর থেকে রেল প্লাস্টিকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছে।

এজন্য জলের বোতল পুনঃচক্রায়ণও বন্ধ করে হচ্ছে। ট্রেনে জলের বোতল ব্যবহারের পর তা বাইরে নিয়ে যাওয়া বা ফেলা চলবে না। যাত্রীদের কাছ থেকে খালি বোতল সংগ্রহ করবেন ক্যাটারিং কর্মীরা। এছাড়া যাত্রীরা স্টেশনে জলের বোতল ব্যবহারের পর খালি বোতল ক্রাসিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিতে হবে। এজন্য প্রতিটি স্টেশনে বোতল ক্রাসিং মেশিন বসাবে রেল। একেবারে নির্দিষ্ট দিনে এই পরিষেবা চালু করার জন্য যে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন তা যেন জোন ও ডিভিশনগুলো আগাম করে ফেলে। জিএম ও ডিআরএমদের পার্সোনাল মেসেজ পাঠিয়েছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান ভি কে যাদব।

স্টেশনে ভেন্ডারদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার না করেন। যাত্রীরাও যেন সতর্ক থাকেন এ নিয়ে। ৫০ মাইক্রনের নিচে প্লাস্টিক নিয়ে স্টেশন, ট্রেন ও মেট্রো স্টেশনে না ঢোকেন। পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখতে রেল এই উদ্যোগ নিয়েছে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, প্লাস্টিক এমন এক রাসায়নিক পদার্থ যা পরিবেশে পচতে ও পুনঃপ্রক্রিয়াণের জন্য বহু সময় নেয়। ‘অপচ্য’ হওয়ায় পরিবেশে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির প্রভাব পড়ে। প্লাস্টিক উদ্ভিদ ও জলজ প্রাণীর ক্ষতির সঙ্গে মানুষেরও ক্ষতি করে। হরমোনের অতিরিক্ত ক্ষতির কারণ এই প্লাস্টিক দূষণ।
পরিবেশকে সুস্থ রাখতে আমেরিকায় ২৪ শতাংশ প্লাস্টিক পুনঃচক্রায়ণ করা হয়। বাংলাদেশও প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর আইন প্রনয়ণ করে। এবার ভারতীয় রেলও পদক্ষেপ করল স্টেশন ও ট্রেনের যাত্রীদের প্লাস্টিক ব্যবহারের উপর।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...