মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৯

মমতা পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী কে? তর্কে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া

  কেন্দ্রের ক্ষমতা থেকে বিজেপিকে হঠাতে বদ্ধপরিকর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দেশজুড়ে বিরোধী ঐক্যের ডাকও দিয়েছেন। আগামী দিনে বাঙালি হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে  দেখতে চাইছেন অনেকেই৷ আর এখানেই ঘনিয়ে উঠছে জল্পনা৷ মমতা যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে কাকে পছন্দ করবেন বঙ্গবাসী? সোশ্যাল মিডিয়ায় এনিয়ে ইতিমধ্যেই তরজা শুরু হয়েছে৷ ফেসবুকে তৃণমূল সমর্থকদের একটি গ্রুপে এমনই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন একজন।
লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই এনিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া৷ কলকাতার বাসিন্দা এক তরুণী ‘ অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেস’  নামে একটি গ্রুপে পোস্ট করেছেন, ‘ধরা যাক মমতা ব্যানার্জি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। তাহলে আপনার পছন্দ অনুযায়ী বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কার হওয়া উচিত?’ এমন এক অমোঘ প্রশ্নের উত্তরে সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি হিসেবে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বেশ কয়েকটি নামও ঘোরাফেরা করছে নেটিজেনদের বক্তব্যে৷ কেউই নিজেদের পছন্দের নাম বলতে দ্বিধা করছেন না৷ তাতে দেখা যাচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া চেয়ারে বসার ক্ষেত্রে পছন্দের শীর্ষে রয়েছেন রাজ্যের বর্তমান পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি৷ কেউ বলেছেন, ‘আমার পছন্দ শুভেন্দু অধিকারিকে, যাঁকে আমরা বিপদে আপদে পাই।’ কেউ কমেন্ট করেছেন,‘এই মুহূর্তে একটাই নাম- সেটা, শুভেন্দু অধিকারি৷’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তাঁর পছন্দ বলে দু’একজন জানিয়েছেন৷
আর তা নিয়েও ওই গ্রুপের মধ্যে বিতণ্ডা বেঁধেছে৷ প্রত্যুত্তরে কেউ লিখেছেন, ‘এই ধরনের প্রশ্ন করে দলের মধ্যে বিভেদ বাধানোর চেষ্টা করছেন কেন? এই সিদ্ধান্ত নেবে একমাত্র দলের ওয়ার্কিং কমিটি।’  কেউ লিখছেন, ‘দলই আলোচনা করে ঠিক করবে।’ বোঝাই যাচ্ছে, দিল্লির সঙ্গে সঙ্গে রাজ্যের পরবর্তী রাজনৈতিক ক্ষমতা নিয়েও ভোটারদের মধ্যে জোর চর্চা চলছে৷ মমতার বিকল্প শুভেন্দু না অভিষেক? নাকি অন্য কেউ? এই নিয়েও সরগরম সোশ্যাল মিডিয়া৷ ভার্চুয়াল জগতের পছন্দ-অপছন্দ যেমনই হোক না কেন, রাজ্যের রাজনৈতিক অভিজ্ঞমহলে কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর নামই বেশি আলোচিত৷

#BigBreking তুষারমানব ‘ইয়েতি’র পায়ের ছাপ দেখার দাবি করেছে ভারতীয় সেনাদল!

রহস্যময় তুষারমানব ‘ইয়েতি’র পায়ের ছাপ দেখার দাবি করেছে ভারতীয় সেনাদল!
ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি পর্বতারোহী দল তুষার মানব ‘ইয়েতি’র পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছে বলে টুইট বার্তায় ছবিসহ জানিয়েছে। এ বার্তা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ঝড় তুলেছে।
চলতি মাসের ৯ তারিখে ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি পর্বতারোহী দল ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছে। নেপালের মাকালু বেস ক্যাম্পের কাছাকাছি দেখা গিয়েছে এটি। দানবাকৃতির এই পায়ের ছাপের মাপ ৩২ X১৫ ইঞ্চি বলে টুইট বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে। অতীতে রহস্যময় প্রাণী ইয়েতিকে কেবলমাত্র বরফে ঢাকা মাকালু-বারুন ন্যাশনাল পার্কের আশপাশে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
  ইয়েতির বর্ণনা দিতে যেয়ে ইন্টারনেট ভিত্তিক মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে , তুষারমানব বা ইয়েতি হিমালয় অঞ্চলের কল্পিত প্রাণী। একে মানুষের মত দ্বিপদী বলে মনে করা হয়। ‘ইয়েতি ’ কথার অর্থ "পাথুরে ভাল্লুক।" এছাড়া ‘মানুষ-ভল্লুক বা ‘মেহ-তেহ, ‘বন্য মানব ‘মি-গো, ‘তুষারমানব ‘ক্যাং আদমি কিংবা ‘মানুষখেকো ‘জোব্রান হিসেবেও উল্লেখ করা হয়।
ইয়েতিকে অনেকে নরবানর জাতীয় প্রাণী হিসেবে মনে করেন। উত্তর আমেরিকার ‘বিগ ফুট ‘বড় পা ওয়ালা হিসেবে পরিচিত কল্পিত প্রাণীর কিংবদন্তির সঙ্গে ইয়েতির কল্প-কাহিনীর মিল রয়েছে। নেপাল , চীন , ভারত , বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মানুষ ইয়েতির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন। মনে করা হয় এই প্রাণী চমরী গাইয়ের মতো বিশাল প্রাণীকে  অনায়াসে তুলে নিতে পারে।
১৮৩২ সালের দিকে অভিযাত্রী হাডসনের বর্ণনার পর ইয়েতির ব্যাপারে সারা বিশ্ব আগ্রহী হয়ে ওঠে। এরপর ১৮৯৯ সালে লরেন্স ওয়েডেল নামের এক অভিযাত্রী দাবি করেন তিনি ইয়েতির পায়ের ছাপ দেখতে পেয়েছেন।

সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯

বাংলাদেশে ফের বিস্ফোরণ, গুলির লড়াইয়ে নিকেশ ২ জেহাদি  

 ঢাকা: ফের বিস্ফোরণ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায়। জঙ্গিদের গোপন ডেরায় ঘটা এই ঘটনায় নিহত কমপক্ষে দুই সন্ত্রাসবাদী। রবিবার রাত থেকে চলা সংঘর্ষের পর সোমবার সকালে বাড়িটির দখল নেয় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।
প্রশাসন সূত্রে খবর, রবিবার মহম্মদপুরের বছিলায় একটি জঙ্গি অস্থানার সন্ধান দেন গোয়েন্দারা। তারপরই অভিযানের নকশা এঁকে ফেলে বাংলাদেশের এলিট বাহিনী র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। রাতেই ঘিরে ফেলে হয় বাড়িটি।  নিরাপত্তারক্ষীদের উপস্থিতির কথা জানতে পেরেই গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। বেশ কিছুক্ষণ চলা লড়াইয়ের পর প্রচণ্ড বিস্ফোরণ ঘটে ওই ডেরায়। মনে করা হচ্ছে জঙ্গিরাই আত্মঘাতী বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছে। সোমবার সকালে র‍্যাবের মুখপাত্র মুফতি মাহমুদ খান সাংবাদিকদের বলেন, “বাড়িটির ভেতর দু-তিনজন জঙ্গি মারা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়ার পরপর বাড়িটি ড্রোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করছে র‍্যাব। বম্ব স্কোয়াড এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। বাড়িটিতে আরও আইইডি থাকার আশঙ্কা রয়েছে।”               
সম্প্রতি শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডে জঙ্গি হামলার ঘটনায় আঁতকে উঠেছে গোটা বিশ্ব। এর আগে বাংলাদেশেও ঘটেছে এই ঘটনা। সেই সময় জঙ্গিদের মূল টার্গেট ছিল লেখক, ব্লগার, শিক্ষাবিদেরা। জঙ্গি তৎপরতা মোকাবিলায় সেসময়ও সফলতার পরিচয় দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তিনি বরাবরই বলেছেন, জঙ্গিরা আসলে ধর্ম চায় না, মানুষের শান্তি বিনাশ করতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জঙ্গি বিরোধী দৃঢ়তার কারণেই ফের কড়া ভূমিকায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। জঙ্গি বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গণসংযোগ সপ্তাহ শুরু করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। এই গণসংযোগ সপ্তাহ চলবে আগামী ৪ মে পর্যন্ত। জানা গিয়েছে, এ সপ্তাহের অংশ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি ৫০টি থানায় সংশ্লিষ্ট বিট অফিসার-সহ এলাকাবাসীকে নিয়ে একটি বৈঠক করবেন। মহানগরের বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও সভার আয়োজন করা হবে বলে সূত্রের খবর।

‘যদি গুজবও শোনেন অধীর চৌধুরী খুন হয়েছে, তাও বুথ ছাড়বেন না’: অধীর

গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। অধীরের বক্তব্য, বহরমপুরে তাঁকে হারানোর জন্য সব শক্তি লাগিয়ে ফেলেছেন মমতা। এটা এখন তাঁর ইগোর লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। অধীরের অভিযোগ, জেতার জন্য ভয় দেখানো থেকে শুরু করে গুজব ছড়ানো, সব রকম চেষ্টা করবে রাজ্যের শাসকদল। তাই যদি শোনেন, অধীর চৌধুরী খুন হয়েছে, তারপরেও বুথ ছেড়ে, লাইন ছেড়ে নড়বেন না।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনের পরতে পরতে একটা করে বোমা ছোড়েন বহরমপুরের চারবারের এই সাংসদ। তিনি বলেন, ভয় দেখানো, কুৎসা ছড়ানো, টাকা ছাড়ানোর পরেও জন সমর্থন পাচ্ছে না তৃণমূল। তাই গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। তারপরেই অধীর বলেন, “হয়তো গুজব উঠতে পারে, অধীর চৌধুরীর গলাটা নেই, তাও বুথ ছাড়বেন না। হয়তো গুজব উঠতে পারে, অধীর চৌধুরী খুন হয়েছে, তাও বুথ ছেড়ে নড়বেন না, লাইন ছেড়ে নড়বেন না।” এমনকী বুথের মধ্যে থাকা সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়েও নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও প্রশাসনের বিরুদ্ধেও এ দিন আক্রমণাত্মক রূপে দেখা যায় অধীরকে। তিনি অভিযোগ করেন, নবান্ন থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপর। তাই তাঁরাও বাধ্য হয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। অধীর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অধীর চৌধুরী শুধুমাত্র একজন পার্থী নন, অধীর চৌধুরী হলেন মমতার দম্ভ, অহঙ্কার নস্যাৎ করে দেওয়ার প্রতীক।” আর তাই ভোটে জেতার জন্য বহরমপুরে বন্যার স্রোতের মতো টাকা দিচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা অধস্তন কর্মচারীদের উপর চাপ দিচ্ছেন, যাতে তৃণমূলের হয়ে ভোট করানো যেতে পারে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষকর্তা বাদে বাকি কর্মচারীরা অবাধ ভোটের পক্ষে বলেই মন্তব্য অধীরের।
ভোটে জেতার জন্য কংগ্রেসের এজেন্টদের চিহ্নিত করে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়ে কোনও লাভ নেই বলে মন্তব্য তাঁর। অধীরের বক্তব্য, “এখানকার পুলিশকে কিছু জানালে পুলিশ সবার আগে সেটা ক্রিমিন্যালদের জানায়। তাই আমরা সব কিছু নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কমিশন জানিয়েছে এখানকার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আমিও চ্যালেঞ্জ করে বলছি, এখানকার সব বুথে কংগ্রেস এজেন্ট থাকবে।” অধীরের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। তবে সেইসঙ্গে অবাধ ভোটের জন্য সাধারণ মানুষকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অধীরের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ যদি ঠিক করে নেন গণতন্ত্রের এই উৎসবে নিজের ভোট নিজে দেবেন, তাহলে যত বিরোধী শক্তিই আসুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না।
অবশ্য অধীরের এই বক্তব্যকে জনসাধারণের থেকে বিচ্ছিন্ন এক নেতার প্রলাপ বলেই উল্লেখ করেছেন বহরমপুরের তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অশোক দাস। তাঁর বক্তব্য, “অধীর চৌধুরীর মানুষের সমর্থন হারিয়ে ল্যাজে-গোবরে অবস্থা। তাই সন্ত্রাসের জনক অধীরে চৌধুরীর মুখে আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের গল্প। মানুষ বুঝে গিয়েছেন অনেক হয়েছে। সিপিএম-এর কাছে নিজের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দেওয়া অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, উন্নয়নকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মজবুত করতে জোড়া ফুলে ভোট দেওয়ার। তাই এ সব সন্ত্রাসের গল্প বলে অধীর নিজের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূলের কাছে বহরমপুরের লড়াই মর্যাদার লড়াই। মমতা জানেন, মুর্শিদাবাদে জোড়াফুল ফোটানোর পথে তাঁর সবথেকে বড় কাঁটা অধীর চৌধুরী। আর তাই অধীরকে হারাতে তৃণমূল নেতা তথা পরিবেশ ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মতো জনপ্রিয় ও দক্ষ নেতাকে মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছিলেন মমতা। নিজেও অনেকবার এসে সভা করেছেন। অধীর চৌধুরী দিল্লিতে কোথায় থাকেন থেকে শুরু করে তাঁর স্ত্রীকে নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কেন্দ্রে জেতার জন্য তৃণমূল যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে, তা জানেন অধীর। আর তাই ভোটের আগের দিনেই এ সব অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়ালেন এই পোড়খাওয়া নেতা।

রণক্ষেত্র বীরভূম, গুলি চালাল কেন্দ্রীয় বাহিনী

বোলপুর: বেলা যতই এগোচ্ছে, ততই বাড়ছে বীরভূমের উত্তেজনা৷ এবার ঘটনাস্থল দুবরাজপুর পুদমা৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ার অভিযোগ৷ বুথ ভাঙচুরের অভিযোগ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যগুলি কেন্দ্রীয় বাহিনীর৷ ঘটনার সূত্রপাত মোবাইল নিয়ে বুথে ঢোকাকে কেন্দ্র করে৷ কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, এবারের ভোটে বুথে ফোন নিয়ে ঢোকা যাবে না৷ কমিশনের নিয়ন পালন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ফোন নিয়ে বুথে ঢুকতে বাধা দেয়৷ বাহিনীর বিরুদ্ধে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে শুরু হয় তাণ্ডব৷ কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি৷ গায়ের জোরে বুথে ঢুকে চলে তাণ্ডব৷ ইভিএম ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যগুলি চালাতে বাধ্য হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ভোট-গ্রহণ বন্ধ বলে জানা গিয়েছে৷

বহরমপুরের শ্রীগুরু পাঠশালায় অধীর চৌধুরীকে ঘিরে ধরে তৃণমূলের বিক্ষোভ

এদিন সকালেই বহরমপুরে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ আসে, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সঙ্গেসঙ্গে সেখানে ছুটে যান অধীর চৌধুরী। বুথে ঢোকান কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে। এরপরই সকাল এগারোটা নাগাদ ভোটের পরিস্থিতি বুঝতে তিনি যান শ্রীগুরু পাঠশালা স্কুলে। কিন্তু সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অধীর চৌধুরীকে।

 বহু বছর ধরে তিনিই ছিলেন বহরমপুরের বেতাজ বাদশা। বলা হত, তাঁর কথা ছাড়াও বহরমপুরে হাওয়াও বইতে পারে না। সেই অধীররঞ্জন চৌধুরীকেও কি না এবার পড়তে হল বিক্ষোভের মুখে। শুধু তাই নয়, যে বহরমপুর অধীরের একেবারে নিশ্চিন্ত আস্তানা ছিল, সেখানকার ভোটেও এবার সারক্ষণ দৌড়তে হচ্ছে অধীর চৌধুরীকে।

এদিন সকালেই বহরমপুরে কৃষ্ণনগর কলেজিয়েট স্কুলে উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযোগ আসে, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। সঙ্গেসঙ্গে সেখানে ছুটে যান অধীর চৌধুরী। বুথে ঢোকান কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে।

এরপরই সকাল এগারোটা নাগাদ ভোটের পরিস্থিতি বুঝতে তিনি যান শ্রীগুরু পাঠশালা স্কুলে। কিন্তু সেখানে ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় অধীর চৌধুরীকে। যা বহরমপুরে এককথায় নজিরবিহীন। বিক্ষোভ দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বহরমপুর আসলে অধীর চৌধুরী আর তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে প্রেস্টিজ ফাইট। তাই এক ইঞ্চি জমিও অধীরকে ছাড়বে না তৃণমূল।

রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯

বুথে ঢুকে ভোট লুট রুখলেন অধীর, শ্রীঘরে তৃণমূল কর্মী!

বহরমপুর: ভোট লুটের খবর পেয়ে ফের নিজের দাপট দেখালেন অধীর চৌধুরী৷ আজ, সকালে বহরমপুরে কংগ্রেসের এজেন্টকে বসতে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ মুহূর্তেই ঘটনাস্থলে যান অধীর৷ বুথে ঢুকে ধমক দিয়ে নতুন করে এজেন্টদের বসানোর ব্যবস্থা করেন৷ কিন্তু, অধীর বুথ ছাড়তেই ফের উত্তেজনা ছড়ায় বিটি কলেজ চত্বরে৷
ভোট শুরু হওয়ার আধঘণ্টার মধ্যেই ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় বুথের মধ্যে অবাধে চলে ছাপ্পা৷ অভিযোগ পেয়ে ভোটারদের বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান কংগ্রেস পার্থী অধীর চৌধুরী৷ এরপরই ভোটারদের বাধা দেওয়ার এক তৃণমূল কর্মীকে আটক করা হয়৷ কংগ্রেসের অভিযোগ, বহরমপুরে অধিকাংশ বুথেই নেই কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ ভোট শুরু হতেই না হতেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের জটলা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷
অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেয়ে ভোট শুরুই করতেই দিলেন না বর্ধমান-দুর্গাপুরের জোমুয়ার ঘটনা৷ অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় বাহিনী না পেয়ে বুথের বাইরে প্রতিবাদ ভোটকর্মীর৷ কৃষ্ণনগরের চাপড়ার ঘটনা৷
জোমুয়া হাইস্কুল চত্বরের ভোটারদের একাংশের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট হয়েছিল৷ এবারের নির্বাচনে সেই স্মৃতি যাতে না ফেরে, সেই দাবিতে সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখান উত্তেজিত জনতা৷ ভোটারদের দাবি, কেন্দ্রীয় বাহিনী না এলে ভোট করাতে দেবেন না তাঁরা৷ রাজ্য পুলিশের উপর তাঁদের কোনও ভরসা নেই বলেও এদিন প্রকাশ্যে দাবি জানান ভোটারদের একাংশ৷ স্থানীয়দের বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ এলাকায় স্থানীয়দের বিক্ষোভের খবর পেয়ে বিশাল জমায়েত করেছেন তৃণমূল সমর্থকরাও৷ পরিস্থিতি কার্যত অগ্নিঘর্ভ হয়ে উঠেছে৷ শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত এখনও ওই বুথে ভোট শুরু করা যায়নি৷
অন্যদিকে, কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকায় ভোটের কাজ বয়কট করলেন ভোটকর্মীদের একাংশ৷ বুথের বাইরে বেরিয়ে ভোটকর্মীদের প্রতিবাদ৷ নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল চতুর্থ দফা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কিন্তু কৃষ্ণনগরের চাপড়ায় এসে ভোট কর্মীরা দেখেন সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী দেয়নি কমিশন। তারপরই তাঁদের অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশনকে ই-মেল করেন ভোট কর্মীরা৷ আজ সকালে বুথে বাহিনী না আসায় প্রতিবাদ জানান ভোটকর্মীদের একাংশ৷ রবিবার ভোটকর্মীদের তরফে ইমেলে দাবি করেন, রাজ্য পুলিশের ওপর কোনও আস্থা নেই তাঁদের। ভোট করাতে নিরাপদ মনে করছেন না তাঁরা। ভোটকে কেন্দ্র করে প্রথম,দ্বিতীয়, তৃতীয় দফা নির্বাচনে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির কথা শুনে যথেষ্ট ভীত ও শঙ্কিত তাঁরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী না দিলে ভোট করাবেন না বরং ভোট বয়কটেরও দাবি তোলেন তাঁরা। রবিবার রাতে ভোটকর্মীদের তরফে এহেন হুঁশিয়ারি দেওয়ার পর আজ সকালে ভোটের কাজ থেকে নিজেদের সরিয়ে দেন ভোটকর্মীদের একাংশ৷

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৯

‘দেশ বাঁচাতে বাম প্রার্থীদের ভোট দিন’, সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি সব্যসাচীর

লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে এ রাজ্যে ফ্যাক্টর ভাবা হলেও, বামেদের নিয়ে সেভাবে কেউ আলোচনা করছেন না৷ কোন কেন্দ্রে বামেদের মাটি বেশ শক্ত আর কোন কেন্দ্রে নয়, তা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না কেউই৷ এই পরিস্থিতিতেই বামেদের হয়ে প্রচারের ময়দানে শামিল হলেন টলিউড তারকা৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় বাম প্রার্থীদের ভোটদানের আবেদন করলেন সব্যসাচী চক্রবর্তী৷
তৃতীয় দফার ভোটাভুটি ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছে৷ মিটিং, মিছিলের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াকেও প্রচারের মাধ্যম হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ বাম বুদ্ধিজীবীরা রাস্তায় বেরিয়ে প্রচার না করলেও, সোশ্যাল মিডিয়াতেই জনসংযোগ করছেন তাঁরা৷ সম্প্রতি ‘ফেলুদা’ সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেন৷ ওই ভিডিওয় তাঁকে কলকাতা দক্ষিণের বাম প্রার্থী নন্দিনী মুখোপাধ্যায় এবং যাদবপুরের প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের হয়ে ভোট চাইতে দেখা গিয়েছে৷ তিনি বলছেন, ‘‘কলকাতা দক্ষিণ এবং যাদবপুরের যোগ্য প্রার্থী দু’জন৷ তাঁরা বামফ্রন্ট প্রার্থী ছাড়া আর কেউ নন৷ পার্লামেন্টে এঁদের থেকে ভাল প্রার্থী আর কেউ হতে পারে না৷ এঁদের দু’জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং রাজনৈতিক দক্ষতা নিয়ে আমার আর কিছু বলা মানায় না৷ মানুষ হিসাবেও তাঁরা ভীষণ ভাল৷’’ বাম প্রার্থীদের ভোটদানের আরজির পাশাপাশি দেশের বর্তমান পরিস্থিতির সমালোচনাও করেন সব্যসাচী৷ দেশের অবস্থার উন্নতি চাইলে বামপন্থীদের ভোট দেওয়া ছাড়া যে আর বিকল্প কোনও রাস্তা নেই, তা এদিন ভিডিও বার্তার মাধ্যমে স্পষ্ট করেন টলিউড অভিনেতা৷
লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরে লড়াই মূলত ত্রিমুখী৷ তৃণমূলের হয়ে এই আসন থেকে ভোটে লড়ছেন মিমি৷ অভিনেত্রী হিসাবে তাঁর জনপ্রিয়তা ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারার সম্ভাবনা রয়েছে৷ আবার বিজেপির তরফে এই কেন্দ্রে লড়ছেন অনুপম হাজরা৷ সদ্যই দলবদল করেছেন তিনি৷ বোলপুরের বিদায়ী তৃণমূল সাংসদ৷ তাই রাজনীতির ময়দানে তাঁর অভিজ্ঞতা একেবার নেই তা বলা যাবে না৷ তুলনায় কম অভিজ্ঞ দুই প্রার্থীর বিপরীতে বামেদের হয়ে লড়ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য৷ অনেকেই বলছেন, দুঁদে এই বাম নেতার যদিও জনসংযোগ বিশেষ নেই৷ তাই তা ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে৷ আবার কলকাতা দক্ষিণ থেকে এবার বামেদের হয়ে ভোটে লড়ছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা নন্দিনী মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর বিপরীতে তৃণমূলের হয়ে মালা রায় এবং বিজেপির হয়ে ভোটে লড়ছেন চন্দ্র বসু৷ রাজনীতিকদের মতে, কলকাতা দক্ষিণ এবং যাদবপুর এই দু’টি আসনে কে শেষ হাসি হাসবেন, তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে৷




মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৯

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা

ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল উত্তর-পূর্ব ভারত। বুধবার ভোরে অসম ও অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.১। মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে এখবর জানানো হয়েছে। তবে ভারতীয় জিওলজিক্যাল সার্ভের তরফে জানানো হয়েছে কম্পনের তীব্রতা রিখটার স্কেলে ধরা পড়েছে ৫.৮।
বুধবার ভোর পৌনে দু’টো নাগাদ অরুণাচল প্রদেশের পশ্চিম সিয়াংয়ে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। জায়গাটি ডিব্রুগড় থেকে ৭১ মাইল (১৪ কিলোমিটার) উত্তর–পশ্চিমে। ভারতীয় জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৮.৬ ডিগ্রি উত্তর ও ৯৪.৪ ডিগ্রি পশ্চিম ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু। ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ১০ কিলোমিটার। তবে আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূ-পৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ৫.৮ মাইল (৯ কিলোমিটার)।
অরুণাচল প্রদেশ ও অসম থেকে এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্প অনুভূত হওয়া মাত্রই এলাকার লোকজন ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তবে এলাকাটি অতিরিক্ত জনবসতিপূর্ণ না থাকায় বড় রকম কোনও ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি বলেই খবর। তা সত্ত্বেও এলাকায় পাঠানো হয়েছে উদ্ধারকারী দল। টুইটারে অনেকে ভূমিকম্পের কথা টুইটারে জানিয়েছে। সেখান থেকেই জানা গিয়েছে, অসমের তিনসুকিয়ায় দু’বার ভূমিকম্প অনুভূত হয়। দু’সেকেন্ডের মতো স্থায়ী ছিল কম্পন। কেউ কেউ আবার লিখেছেন আধ মিনিট বা তার একটু বেশি সময় কম্পন অনুভব করছেন।
শুধু ভারত নয়, চিন, তিব্বত ও মায়ানমারেও অনুভূত হয়েছে কম্পন। চিনের সংবাদসংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, তিব্বতের একাধিক এলাকা থেকে অনুভূত হয়েছে ভূমিকম্প। তবে কম্পনের তীব্রতা নিয়ে তাদের তরফে কিছু জানানো হয়নি। তবে চিনের তরফে আরও একটি ভূমিকম্পের খবর দেওয়া হয়েছে। বুধবার ভোর ৪টে ১৫ মিনিট নাগাদ (চিনের সময়) নিয়াংসি সিটিতে অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৩।

সোমবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৯

নিরীহ ভোটারদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জ, বাদ গেল শিশুরাও

মুর্শিদাবাদ: বুথের বাইরে জটলা ভাঙতে গিয়ে নিরীহ ভোটারদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে৷ পুলিশ তাণ্ডবে বাদ গেল শিশুও৷ পুলিশের লাঠির বাড়িতে জখম দুই শিশু-সহ বেশ কয়েকজন ভোটার৷ লন্ডভণ্ড রাজনৈতিক দলের বুথ অফিস৷ জঙ্গিপুরের সতির হরিপুরের ঘটনা৷



অভিযোগ, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের বাইরে সাধারণ ভোটারদের জটলা ভাঙতে যায় পুলিশ৷ ভোটারদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলে শুরু হয় বিবাদ৷ পুলিশকর্মীদের সঙ্গে তর্ক জুড়েদেন স্থানীয় ভোটাররা৷ এরপরই জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে লাঠি চালায় পুলিশ৷ পুলিশের লাঠির বাড়িতে জখম হন বেশ কয়েকজন ভোটার৷

অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা ২ নম্বর ব্লকের বালিগ্রাম প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৮ নম্বর বুথে লাইনে দাঁড়ানো ভোটারদের প্রভাবিত করা অভিযোগ৷ একাধিক ভোটারকে একসঙ্গে নিয়ে গিয়ে ভোট দেওয়ানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ সিপিএমের পোলিং এজেন্ট বাধা দেওয়ায় মারধরের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ৷ প্রিসাইডিং অফিসার জানিয়েছেন, ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ মিলেছে৷ একাধিক ব্যক্তিকে ভোট দেওয়ানোর চেষ্টা বন্ধ করা গিয়েছে বলেও জানান তিনি৷

অন্যদিকে, বুথে ঢুকে ভোটারের হয়ে ইভিএমের বোতাম টেপার অভিযোগ তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে৷ সব দেখেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় প্রিসাইডিং অফিসার৷ সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হতেই পদক্ষেপ নির্বাচন কমিশনের৷ গাফিলতির দায়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে ভোটের কাজ থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷

জানা গিয়েছে, এদিন সকালে বুথে ঢুকে ভোটের হয়ে ভোট দিতে দেখা যায় এক তৃণমূল এজেন্টকে৷ সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে চলে অবাধ ভোট লুটের চেষ্টা৷ মালদহের রতুয়ার বাহারালের দক্ষিণ সাহাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে দু’জন করে ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠতেই নড়েচড়ে বসে কমিশন৷ বুথের দায়িত্বে থাকা  প্রিসাইডিং অফিসারকে অপসারণ করা হলেও অভিযোগ স্বীকার করেছেন প্রিসাইডিং অফিসার৷ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরেও একই ভাবে ভোটের হয়ে ভোট দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল এজেন্টের বিরুদ্ধে৷

অন্যদিকে, ভগবানগোলায় ১৮৮ নম্বর বুথে অশান্তি৷ ভোটারদের প্রভাবিত করার অভিযোগ তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে৷ ভগবানগোলায় সিপিএমের এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ৷ মুর্শিদাবাদের কুমরিপুরে ১০৫ নং বুথের বাইরে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে লক্ষ্য করে গুলি৷ অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷ হরিহরপাড়ায় আক্রান্ত কংগ্রেসের এজেন্টক৷ এলাকায় উত্তেজনা তৈরি করতে শূন্যগুলি৷

মুর্শিদাবাদের ডোমকলে কাউন্সিলরের স্বামীকে লক্ষ্য করে বোমা। ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যেই অশান্তি ডোমকলে। বুথের ৩০০ মিটারের মধ্যেই ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তুজাম্মেল আনসারিকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ার অভিযোগ। মারধর করা হয় তৃণমূল কাউন্সিলরকেও। তৃণমূল কর্মীদের বাঁশ, লাঠি নিয়ে হামলার অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি।

সিপিএম, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধীরা। আহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী তুজাম্মেল আনসারির অবস্থা আশঙ্কাজনক। কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হচ্ছে তাঁকে। ডোমকলের ২২ নং বুথে পৌঁছে গিয়েছে মহকুমা আরক্ষা আধিকারিক৷ তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর ওপর হামলার ঘটনায় জেলাপ্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল নির্বাচন কমিশন। মুর্শিদাবাদের কুমরিপুরে ১০৫ নং বুথের বাইরে কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে লক্ষ্য করে গুলি৷ অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে৷

রাজ্যে তৃতীয় দফায় বাংলার পাঁচ আসনে ভোট৷ উত্তর ও দক্ষিণ মালদহ, বালুরঘাট, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর আজ নির্বাচন৷ তৃতীয় দফা নির্বাচনে রাজ্যে মোতায়েন ৩২৪ কোম্পানি আধা সেনা৷ গড়ে ৯২ শতাংশ বুথে আধা সেনা রয়েছে৷ নদিয়ায় ১০, মুর্শিদাবাদে ১৪০, মালদহে ১০৬, উত্তর দিনাজপুরে ৮, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৫০ কোম্পানি আধা সেনা মোতায়েন রয়েছে৷

ডোমকলে ফের উত্তেজনা, বুথ দখলের অভিযোগ, বোমাবাজিতে জখম ১


#ডোমকল: তৃতীয় দফার ভোট শুরুর আগে সংঘর্ষ মুর্শিদাবাদের ডোমকলে। ভোর ছ'টা নাগাদ ডোমকলের মানিকনগরে বাইশ নম্বর বুথের বাইরে কংগ্রেস-তৃণমূল সংঘর্ষে বোমাবাজি হয়।

এরপর বেলা বাড়তেই ফের উত্তেজনা শুরু হয় ৷ ২ নং ওয়ার্ডে টিকটিকি পাড়ায় বোমাবাজি শুরু হয় ৷ ১৭৩ নম্বর বুথ দখলের অভিযোগ উঠেছে ৷ বাম-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ ৷ সবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার বাম-কংগ্রেসের ৷ বোমাবাজিতে এক তৃণমূল সমর্থক জখম হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ এলাকায় বোমাবাজির চিহ্ন স্পষ্ট ৷

শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৯

কেন মিলছে না চাকরি? মন্ত্রীকে প্রশ্ন করে গ্রেপ্তার যুবক

মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কেন মিলছে না চাকরি? প্রশ্ন করায় যুবক গ্রেপ্তার গোয়ায়। জানা গেছে, উত্তর গোয়া লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শ্রীপদ নায়েকের সমর্থনে গোয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রী বিশ্বজিৎ রানের একটি জনসভা চলাকালীন গাওঁকর নামের জনৈক এক যুবক কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন করে বসে।

যুবকটি জিজ্ঞাসা করে, কেন বারংবার চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও সে চাকরি পাচ্ছে না। ‘‘আমি শুধু প্রশ্ন করেছিলাম যে, মন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কেন আমি চাকরি পাচ্ছি না দীর্ঘদিন ধরে। সাথে সাথেই মন্ত্রীর নির্দেশে আমাকে গ্রপ্তার করা হয়,’’ শুক্রবার রাতে এমনটাই জানান ওই যুবক।

শনিবার, ৬ এপ্রিল, ২০১৯

আজ মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের জন্মদিন

ইত্যাদি নিউজ:

সুচিত্রা সেন শুধু একটা নাম নয়। নামটি নারী বাঙালি হৃদয়ে একটা মিথ হয়ে গেছে। বাঙালিদের কাছে নায়িকা শব্দটির সমার্থক তিনি। প্রেম, হাসি, কান্না, স্ত্রী-সংসার, বাঙ্গালিয়ানা, মাতৃত্ব, মমতা আর আবেদনের প্রাণবন্ত নাম সুচিত্রা সেন। তার রূপ-অভিনয়ের জাদুতে মুগ্ধ হয়ে আছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম। বহুকাল ছিলেন না অভিনয়ে। তবু বিন্দুমাত্র ভাঁটা পড়েনি তার আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তায়।

চিরসবুজ এই মহানায়িকার আজ জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এবারে ৮৮ বছরে পা রাখতেন সুচিত্রা। বাংলা চলচ্চিত্রের এই কিংবদন্তির জন্মদিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি রইল।

সুচিত্রা কিন্তু সুচিত্রা ছিলেন না আগে। ১৯৫১ সালে পরিচালক সুকুমার রায় যখন এই নায়িকাকে আবিষ্কার করলেন তখন তার নাম ছিল রমা সেন। এ বিষয়ে পরিচালক সুকুমার রায় একবার বলেছিলেন, ‘১৯৫১ সালে সাত নম্বর কয়েদী’ ছবির জন্য নতুন মুখ খুঁজছি। এমন সময় অসিত চৌধুরী আমাকে বললেন, একটি ভালো শিক্ষিত পরিবারের মেয়ে আছে। মনে হয় সুযোগ পেলে ভবিষ্যতে খুব নাম করবে। তার কথায় মেয়েটিকে পাঠিয়ে দিতে বললাম। প্রথম দিন ওর স্বামী দিবানাথ সেনের সঙ্গে এসেছিল দেখা করতে অরোরা স্টুডিওতে। দেখলাম, ছিপছিপে চেহারায় ডাগর ধরনের ওর চোখ। চোখ দুটি বড় সুন্দর আর খুব এক্সপ্রেসিভ। চাহনিতে স্বচ্ছ গভীরতা। মিস্টি হাসিতে সারা মুখখানা যেন উচ্ছলতায় ভরে যায়। এক নজরেই পছন্দ হয়ে গেল। কণ্ঠস্বরও বেশ মিষ্টি। কথার মধ্যে একটু বাঙাল টোন আছে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই তাকে নিতে রাজি হয়ে গেলাম।’

‘সাত নম্বর কয়েদী’ ছবিতে অভিনয় করার পর সুচিত্রা সেন পিনাকী মুখার্জি পরিচালিত ‘সংকেত’ ছবিতে অভিনয় করেন। তখনও তিনি ‘সুচিত্রা সেন’ নামে পরিচিত হননি। এর পরের ছবি অর্থাৎ নীরেন লাহিড়ীর ‘কাজরী’ ছবির মাধ্যমে ১৯৫২ সালে রমা সেন পাল্টিয়ে ‘সুচিত্রা সেন’ নামে আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।

অবিভক্ত ভারতের বাংলাদেশের পাবনা জেলাতে ১৯৩১ সালের ৬ এপ্রিল এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রমা দাশগুপ্ত ওরফে সুচিত্রা সেন। বাবা করুণাময় দাশগুপ্ত স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। তিনি ছিলেন পরিবারের পঞ্চম সন্তান ও তৃতীয় কন্যা। পাবনা শহরেই ছিল তার শিক্ষাজীবন। এছাড়াও তার আরো একটি পরিচয় হচ্ছে তিনি কবি রজনীকান্ত সেনের নাতনী।

১৯৪৭ সালে বর্ধিষ্ণু শিল্পপতি পরিবারের সন্তান দিবানাথ সেনকে বিয়ের সূত্রে কলকাতায় আসেন পাবনার রমা। বিয়ের পরে ১৯৫২ সালে ‘শেষ কথায়’ রূপালি পর্দায় নায়িকার ভূমিকায় প্রথম আত্মপ্রকাশ তার। পাবনার রমার নাম বদলে হয় সুচিত্রা। আর তার পরেরটা শুধুই ইতিহাস। তার হাত ধরেই বদলে যায় বাংলা চলচ্চিত্রের নায়িকার সংজ্ঞা।

সুচিত্রার চাহনি, কটাক্ষ, হাসি অভিনয় প্রতিভায় মগ্ন হয়েছিলেন আবালবৃদ্ধবনিতা। এই সময় তৈরি হয় অবিস্মরণীয় উত্তম-সুচিত্রা জুটি। মহানায়ক উত্তম কুমারের সঙ্গে জুড়ি বেঁধে সুচিত্রা সেন বাংলা চলচ্চিত্রের স্বর্ণযুগে উপহার দিয়েছিলেন একের পর এক সুপারহিট ছবি। বস্তুত সুচিত্রার জীবনের প্রথম হিট ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিতেই প্রথম দেখা মেলে বাংলা চলচ্চিত্রের চির রোমান্টিক এই জুটির। উত্তম কুমার ছাড়াও সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অশোক কুমার, বসন্ত চ্যাটার্জীর সহ বেশ কিছু নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে অসাধারণ কিছু ছবি উপহার দিয়েছেন তিনি।

সেইসাথে ‘দেবী চৌধুরানী’ ছবিতে রঞ্জিত মল্লিকের স্ত্রী হিসেবেও অভিনয় করেছেন সুচিত্রা সেন। ‘শাপ মোচন’, ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরি’, ‘ইন্দ্রাণী’, ‘সপ্তপদী’, ‘গৃহদাহ’, ‘হার মানা হার’, ‘হসপিটাল’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘সাগরিকা’, ‘দত্তা’ প্রভৃতি সিনেমায় সুচিত্রা সেন তার অসাধারণ প্রতিভার সাক্ষর রেখেছিলেন।

বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে হিন্দি ছবির জগতেও সুচিত্রা করেছিলেন বেশ কিছু অসাধারণ সিনেমা। ১৯৫৫ তে ‘দেবদাস’ সিনেমায় দিলীপ কুমারের বিপরীতে পার্বতীর চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। এ ছবিতে সুচিত্রা সেন শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জিতেন। এরপর ‘মমতা’ এবং ‘আঁধি’ সিনেমার জন্য ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কারের মাধ্যমে সুচিত্রার অভিনয় প্রতিভার প্রতি কুর্ণিশ জানিয়েছিল বলিউড।

এখানেই শেষ নয়। সুচিত্রাই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কার পান। ১৯৬৩ তে প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসাবে ‘সপ্তপদী’র জন্য পান মস্কো ফিল্ম ফেস্টিভালে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার।

১৯৬০ ও ১৯৭০ দশকেও সুচিত্রা সেন অভিনীত ছবি মুক্তি পেয়েছে। স্বামী মারা যাওয়ার পরও তিনি অভিনয় চালিয়ে গেছেন, যেমন হিন্দি ছবি আন্ধি। এই চলচ্চিত্রে তিনি একজন নেত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বলা হয় যে চরিত্রটির প্রেরণা এসেছে ইন্দিরা গান্ধী থেকে।

সুচিত্রা সেন অভিনীত শেষ ছবি ‘প্রণয় পাশা’ মুক্তি পায় ১৯৭৮ সালে। ওই বছরই তিনি সুদীর্ঘ ২৫ বছর অভিনয়ের পর চলচ্চিত্র অঙ্গন থেকে চিরতরে অবসরগ্রহণ করেন। বলা হয়ে থাকে, উত্তমকুমারের মৃত্যুর পরই প্রিয় মানুষটিকে হারানোর অভিমানে চলচ্চিত্র ত্যাগ করেন তিনি। এরপর তিনি লোকচক্ষু থেকে আত্মগোপন করেন এবং রামকৃষ্ণ মিশনের সেবায় ব্রতী হন। তার নায়ক উত্তম কুমার ১৯৮০ সালের ২৪ জুলাই মারা গেলে সেই রাতে এসেছিলেন একখানি মালা হাতে নিয়ে। মহানায়কের দেহের ওপর মালা রেখে সুচিত্রা সেন ফিরে এলেন কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে, তারপর তিনি মিডিয়ার সঙ্গে আর কথা বললেন না। একাকী নিঃসঙ্গ জীবন কাটাতে লাগলেন। ১৯৯৩ সালের প্রথম দিকে অসুস্থ হয়ে কিংবদন্তি আরেক নায়িকা কানন দেবী যখন হাসপাতালে, তাকেও তিনি দেখতে গিয়েছিলেন।

এমনকি ২০০৫ সালে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার নিতেও যাননি তিনি। ২০১২ সালে বঙ্গ বিভূষণ পুরস্কার পান। তার হয়ে কন্যা মুনমুন সেন এই পুরস্কার গ্রহণ করেন।

সুচিত্রা ছিলেন এক কন্যার জননী। সেই কন্যা মুনমুনও একজন গুণী অভিনেত্রী। সুচিত্রার দুই নাতনী রিয়া ও রাইমা সেনও নানীর মতোই অভিনয়কেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বাংলা ছবির মহানায়িকা সুচিত্রা সেন ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমান। কিংবদন্তি এই অভিনেত্রীর অমর আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০১৯

#IPL2019: Live- RCB vs KKR : শেষবেলায় রাসেলের ধামাকা জয়ে ফিরল কেকেআর, আরও অন্ধকারে বিরাটের দল

#বেঙ্গালুরু : বেঙ্গালুরুতে জমজমাট কেকেআর বনাম আরসিবি-র লড়াই ৷ ব্যাট-বলের লড়াইতে সেয়ানে সেয়ানে কোলাকুলি ৷ এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ২০৫ রান করে আরসিবি ৷ দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান বিরাটের ৷ তিনি করেন ৮৪ রান ৷ ৬৩ করেন এবি ডিভিলিয়ার্স ৷ কেকেআরের হয়ে একটি করে উইকেট পান কুলদীপ, নারিন ও নীতিশ রানা ৷
টসে জিতল কেকেআর, নিল ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত ৷ দলে একমাত্র বদল নিখিল নায়েকের ৷ দুর্দান্ত শুরু করেছে আরসিবি ৷ একের পর এক হারের গ্লানি কাটিয়ে স্বমহিমায় অধিনায়ক বিরাট কোহলি ৷5 ওভারে ৪৯ রান আরসিবি-র ৷ পার্থিব প্যাটেল ২৩ , বিরাট কোহলি ২৭ ৷সুনীল নারিন ক্যাচ মিস করলেন কোহলির ৷ আঙুলের চোটের জন্য খানিকটা দিশাহীণ দেখাল নারিনকে ৷

নীতিশ রানার বলে আউট পার্থিব প্যাটেল ৷ বলের লেথং মিস করে আউট ৷ ২৫ রানে আউট পার্থিব ৷ ৬৪ রানে প্রথম উইকেট হারাল আরসিবি ৷ ২৫ রান করে রানার বলে এলবিডাব্লু হলেন তিনি ৷

৭ ইনিংস বাদে আইপিএলে অর্ধশতরান পেলেন বিরাট কোহলি ৷ বিরাটের আইপিএল কেরিয়ারের ৩৫ তম অর্ধশতক ৷ ৩১ বলে ৭ টি চারের সাহায্যে অর্ধশতরান ৷

এবি ডিভিলিয়ার্সও করে ফেলেলেন অর্ধশতক ৷ ৩০ তম আইপিএল অর্ধশতক এবি -র ৷কেকেআরের হয়ে কুলদীপের কামাল, ৮৪ করে প্যাভিলিয়নে বিরাট ৷ এদিনের বিরাটের ইনিংস সাজানো ৯ টি চার ও ২টি ছয় দিয়ে ৷ মাত্র ৪৯ বলে এই রান করেন ৷ ৫১১০ রান করে বিরাট কোহলি ঠিক সুরেশ রায়নার পরে  রইলেন বিরাট কোহলি ৷ ৪৩১৪ রান অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির পর সর্বোচ্চ রানের মালিক হলেন তিনি ৷

এরপর সুনীল নারিনের কাছে আউট এবি ডিভিলিয়ার্স , ৩২ বলে ৬৩ রান করেন তিনি ৷ ৫ টি চার , ৪টি ছয় মারেন তিনি ৷

২০ ওভারে আরসিবি রান করলেন ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২০৫  রান ৷


এদিকে রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই সুনীল নারিনের উইকেট হারায়  কেকেআর ৷ মাত্র ১০ রানে আউট হয়ে যান নাইট ওপেনার ৷ নারিনকে নিয়ে যিনি শুরু করেছিলেন তিনিই আউট করে দেন রবীন উথাপ্পা ও ক্রিস লিনকে ৷২৫ বলে ৩৩ রান করে আউট রবীন উথাপ্পা ৷ , 43 রানে ক্রিস লিনের ইনিংসও প্যাকআপ করলেন তিনিই ৷২২ বলে ৩৭ রান করে আউট নীতিশ রানা ৷ যজুবেন্দ্র চাহালের শিকার তিনি ৷

সাইনির বলে চাহালের তালুবন্দি কেকেআর অধিনায়ক দীনেশ কার্তিক ৷১৯ রানে আউট হয়ে গেলেন নাইট অধিনায়ক ৷

বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৯

লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেলেন শাহরুখ

ইত্যাদি নিউজ: ফিলানথ্রপিতে সাম্মানিক ডক্টরেট পেলেন বলিউডের বাদশা শাহরুখ খান। তাঁকে এই সম্মানে ভূষিত করে লন্ডনের দ্য ইউনিভার্সিটি অফ ল। মঙ্গলবার প্রায় ৩৫০ ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে হওয়া গ্র্য়াজুয়েশন সেরিমনিতে এই সম্মান গ্রহণ করেন কিং খান।
এর আগে, বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন অন স্ত্রিন রোম্যান্সের রাজা। নয়া সম্মান গ্রহণের পর আপ্লুত শাহরুখ জানান, 'আমার মনে হয় সেবা নিশ্চুপে ও সম্মানের সঙ্গে করা উচিত। কেউ তাঁর সেবার কথা মুখে বললে তার উদ্দেশ্যই নষ্ট হয়ে যায়। আমার হৃদয়ের কাছের ইচ্ছেগুলি পূরণ করতে জনমানসে আমার ব্যক্তিত্ব ও স্টেটাসকে কাজে লাগাতে পেরে আমি কৃতজ্ঞ।

 এর আগে, বেডফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় ও এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট পেয়েছেন অন স্ত্রিন রোম্যান্সের রাজা। এ বার সেই সম্মান পেলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...