গতকাল সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী। অধীরের বক্তব্য, বহরমপুরে তাঁকে হারানোর জন্য সব শক্তি লাগিয়ে ফেলেছেন মমতা। এটা এখন তাঁর ইগোর লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। অধীরের অভিযোগ, জেতার জন্য ভয় দেখানো থেকে শুরু করে গুজব ছড়ানো, সব রকম চেষ্টা করবে রাজ্যের শাসকদল। তাই যদি শোনেন, অধীর চৌধুরী খুন হয়েছে, তারপরেও বুথ ছেড়ে, লাইন ছেড়ে নড়বেন না।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনের পরতে পরতে একটা করে বোমা ছোড়েন বহরমপুরের চারবারের এই সাংসদ। তিনি বলেন, ভয় দেখানো, কুৎসা ছড়ানো, টাকা ছাড়ানোর পরেও জন সমর্থন পাচ্ছে না তৃণমূল। তাই গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। তারপরেই অধীর বলেন, “হয়তো গুজব উঠতে পারে, অধীর চৌধুরীর গলাটা নেই, তাও বুথ ছাড়বেন না। হয়তো গুজব উঠতে পারে, অধীর চৌধুরী খুন হয়েছে, তাও বুথ ছেড়ে নড়বেন না, লাইন ছেড়ে নড়বেন না।” এমনকী বুথের মধ্যে থাকা সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়েও নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও প্রশাসনের বিরুদ্ধেও এ দিন আক্রমণাত্মক রূপে দেখা যায় অধীরকে। তিনি অভিযোগ করেন, নবান্ন থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপর। তাই তাঁরাও বাধ্য হয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। অধীর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অধীর চৌধুরী শুধুমাত্র একজন পার্থী নন, অধীর চৌধুরী হলেন মমতার দম্ভ, অহঙ্কার নস্যাৎ করে দেওয়ার প্রতীক।” আর তাই ভোটে জেতার জন্য বহরমপুরে বন্যার স্রোতের মতো টাকা দিচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা অধস্তন কর্মচারীদের উপর চাপ দিচ্ছেন, যাতে তৃণমূলের হয়ে ভোট করানো যেতে পারে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষকর্তা বাদে বাকি কর্মচারীরা অবাধ ভোটের পক্ষে বলেই মন্তব্য অধীরের।
ভোটে জেতার জন্য কংগ্রেসের এজেন্টদের চিহ্নিত করে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়ে কোনও লাভ নেই বলে মন্তব্য তাঁর। অধীরের বক্তব্য, “এখানকার পুলিশকে কিছু জানালে পুলিশ সবার আগে সেটা ক্রিমিন্যালদের জানায়। তাই আমরা সব কিছু নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কমিশন জানিয়েছে এখানকার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আমিও চ্যালেঞ্জ করে বলছি, এখানকার সব বুথে কংগ্রেস এজেন্ট থাকবে।” অধীরের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। তবে সেইসঙ্গে অবাধ ভোটের জন্য সাধারণ মানুষকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অধীরের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ যদি ঠিক করে নেন গণতন্ত্রের এই উৎসবে নিজের ভোট নিজে দেবেন, তাহলে যত বিরোধী শক্তিই আসুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না।
অবশ্য অধীরের এই বক্তব্যকে জনসাধারণের থেকে বিচ্ছিন্ন এক নেতার প্রলাপ বলেই উল্লেখ করেছেন বহরমপুরের তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অশোক দাস। তাঁর বক্তব্য, “অধীর চৌধুরীর মানুষের সমর্থন হারিয়ে ল্যাজে-গোবরে অবস্থা। তাই সন্ত্রাসের জনক অধীরে চৌধুরীর মুখে আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের গল্প। মানুষ বুঝে গিয়েছেন অনেক হয়েছে। সিপিএম-এর কাছে নিজের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দেওয়া অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, উন্নয়নকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মজবুত করতে জোড়া ফুলে ভোট দেওয়ার। তাই এ সব সন্ত্রাসের গল্প বলে অধীর নিজের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূলের কাছে বহরমপুরের লড়াই মর্যাদার লড়াই। মমতা জানেন, মুর্শিদাবাদে জোড়াফুল ফোটানোর পথে তাঁর সবথেকে বড় কাঁটা অধীর চৌধুরী। আর তাই অধীরকে হারাতে তৃণমূল নেতা তথা পরিবেশ ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মতো জনপ্রিয় ও দক্ষ নেতাকে মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছিলেন মমতা। নিজেও অনেকবার এসে সভা করেছেন। অধীর চৌধুরী দিল্লিতে কোথায় থাকেন থেকে শুরু করে তাঁর স্ত্রীকে নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কেন্দ্রে জেতার জন্য তৃণমূল যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে, তা জানেন অধীর। আর তাই ভোটের আগের দিনেই এ সব অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়ালেন এই পোড়খাওয়া নেতা।
এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনের পরতে পরতে একটা করে বোমা ছোড়েন বহরমপুরের চারবারের এই সাংসদ। তিনি বলেন, ভয় দেখানো, কুৎসা ছড়ানো, টাকা ছাড়ানোর পরেও জন সমর্থন পাচ্ছে না তৃণমূল। তাই গুজব ছড়িয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে তারা। তারপরেই অধীর বলেন, “হয়তো গুজব উঠতে পারে, অধীর চৌধুরীর গলাটা নেই, তাও বুথ ছাড়বেন না। হয়তো গুজব উঠতে পারে, অধীর চৌধুরী খুন হয়েছে, তাও বুথ ছেড়ে নড়বেন না, লাইন ছেড়ে নড়বেন না।” এমনকী বুথের মধ্যে থাকা সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়েও নির্বাচন কমিশনকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়াও প্রশাসনের বিরুদ্ধেও এ দিন আক্রমণাত্মক রূপে দেখা যায় অধীরকে। তিনি অভিযোগ করেন, নবান্ন থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের উপর। তাই তাঁরাও বাধ্য হয়ে তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন। অধীর বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অধীর চৌধুরী শুধুমাত্র একজন পার্থী নন, অধীর চৌধুরী হলেন মমতার দম্ভ, অহঙ্কার নস্যাৎ করে দেওয়ার প্রতীক।” আর তাই ভোটে জেতার জন্য বহরমপুরে বন্যার স্রোতের মতো টাকা দিচ্ছে তৃণমূল, এমনটাই অভিযোগ তাঁর। পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষকর্তারা অধস্তন কর্মচারীদের উপর চাপ দিচ্ছেন, যাতে তৃণমূলের হয়ে ভোট করানো যেতে পারে। কিন্তু পুলিশ-প্রশাসনের শীর্ষকর্তা বাদে বাকি কর্মচারীরা অবাধ ভোটের পক্ষে বলেই মন্তব্য অধীরের।
ভোটে জেতার জন্য কংগ্রেসের এজেন্টদের চিহ্নিত করে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বহরমপুরের বিদায়ী সাংসদ। কিন্তু এ ব্যাপারে পুলিশকে জানিয়ে কোনও লাভ নেই বলে মন্তব্য তাঁর। অধীরের বক্তব্য, “এখানকার পুলিশকে কিছু জানালে পুলিশ সবার আগে সেটা ক্রিমিন্যালদের জানায়। তাই আমরা সব কিছু নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি। কমিশন জানিয়েছে এখানকার সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। আমিও চ্যালেঞ্জ করে বলছি, এখানকার সব বুথে কংগ্রেস এজেন্ট থাকবে।” অধীরের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনের উপর তাঁর পূর্ণ আস্থা আছে। তবে সেইসঙ্গে অবাধ ভোটের জন্য সাধারণ মানুষকে পথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অধীরের বক্তব্য, সাধারণ মানুষ যদি ঠিক করে নেন গণতন্ত্রের এই উৎসবে নিজের ভোট নিজে দেবেন, তাহলে যত বিরোধী শক্তিই আসুক না কেন, কিচ্ছু করতে পারবে না।
অবশ্য অধীরের এই বক্তব্যকে জনসাধারণের থেকে বিচ্ছিন্ন এক নেতার প্রলাপ বলেই উল্লেখ করেছেন বহরমপুরের তৃণমূল জেলা সহ-সভাপতি অশোক দাস। তাঁর বক্তব্য, “অধীর চৌধুরীর মানুষের সমর্থন হারিয়ে ল্যাজে-গোবরে অবস্থা। তাই সন্ত্রাসের জনক অধীরে চৌধুরীর মুখে আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের গল্প। মানুষ বুঝে গিয়েছেন অনেক হয়েছে। সিপিএম-এর কাছে নিজের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দেওয়া অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, উন্নয়নকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত মজবুত করতে জোড়া ফুলে ভোট দেওয়ার। তাই এ সব সন্ত্রাসের গল্প বলে অধীর নিজের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছেন।”
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, তৃণমূলের কাছে বহরমপুরের লড়াই মর্যাদার লড়াই। মমতা জানেন, মুর্শিদাবাদে জোড়াফুল ফোটানোর পথে তাঁর সবথেকে বড় কাঁটা অধীর চৌধুরী। আর তাই অধীরকে হারাতে তৃণমূল নেতা তথা পরিবেশ ও পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর মতো জনপ্রিয় ও দক্ষ নেতাকে মুর্শিদাবাদের পর্যবেক্ষক করে পাঠিয়েছিলেন মমতা। নিজেও অনেকবার এসে সভা করেছেন। অধীর চৌধুরী দিল্লিতে কোথায় থাকেন থেকে শুরু করে তাঁর স্ত্রীকে নিয়েও কটাক্ষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই কেন্দ্রে জেতার জন্য তৃণমূল যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাবে, তা জানেন অধীর। আর তাই ভোটের আগের দিনেই এ সব অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনের উপর চাপ বাড়ালেন এই পোড়খাওয়া নেতা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন