শনিবার, ২৭ জুন, ২০২০

অবশেষে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা রাজ্যের

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার৷ উচ্চমাধ্যমিকের পর এবার করোনা আবহে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত পরীক্ষা বাতিল বলে অ্যাডভাইজারি জারি করল রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতর৷ ক্যাম্পাসে গিয়ে কোনও পরীক্ষা নেওয়া হবে না৷ আগের পরীক্ষার ভিত্তিতে চূড়ান্ত বর্ষের পড়ুয়াদের দেওয়া হবে নম্বর৷ বাকিদের সরাসরি পাস করিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে৷ কীভাবে হবে সেই প্রক্রিয়া, তারও বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে৷

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা আগেই বাতিল করেছে রাজ্য সরকার৷ এরপর কৌতূহল ছিল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে কী হবে? আজ রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের অ্যাডভাইজারি দিয়ে জানানো হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনও ভাবেই পরীক্ষা নেওয়া যাবে না৷ চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থীদের আগের পরীক্ষার সর্বোচ্চ নম্বর ৮০ শতাংশ অনুযায়ী মূল্যায়ন করা হবে৷

এতদিন, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা যতগুলি সিমেস্টার দিয়েছেন, প্রত্যেকটির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নম্বরের ৮০ শতাংশ গ্রাহ্য হবে৷ বাকি ২০ নম্বর অ্যাসাইনমেন্টের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে৷ আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে বলেও জানানো হয়েছে৷ তবে এই মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যাঁরা অসন্তোষ প্রকাশ করবেন কিংবা যারা পরীক্ষা দিতে চাইবেন, তাঁদের জন্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷ সে ক্ষেত্রে ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের পরবর্তী পরীক্ষায় নম্বর চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে৷ রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষার্থী নন, এমন পড়ুয়াদের সরাসরি পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করে দেওয়া হবে৷ নেওয়া হবে না কোনও পরীক্ষা৷ বিজ্ঞপ্তি দেখুন- https://www.caluniv.ac.in/news/ug-pg-exam-27-6-20.pdf এই লিঙ্কে৷
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়েছে৷ বিজ্ঞপ্তিতে সাফ উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘উচ্চমাধ্যমিকের বাকি পরীক্ষা ২, ৬, ৮ জুলাই বাতিল করা হল৷ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল পরীক্ষাগুলির মূল্যায়ন পদ্ধতি এক্ষেত্রে পরীক্ষার্থী ইতিমধ্যেই সম্পন্ন বিষয়গুলির লিখিত পরীক্ষাতে যে নম্বর পেয়েছে, তার সর্বোচ্চ নম্বর বাতিল পরীক্ষার লিখিত অংশের প্রাপ্ত নম্বর হিসাবে গ্রহণ করা হবে৷ প্রয়োজনে শতকরা হারে নম্বর পরিগণিত হবে৷ এই প্রক্রিয়াটি উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের মাধ্যমে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে৷ আগামী জুলাই মাসের মধ্যে ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের চেষ্টা করা হবে৷’’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘যে পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে, সেই পদ্ধতিতে প্রাপ্ত নম্বরে যদি কোনও পরীক্ষার্থী অসন্তুষ্টি বোধ করে, তাহলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে শুধুমাত্র ওই পরীক্ষার্থীদের জন্য কেবল বাকি বিষয়গুলির লিখিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে৷ ওই পরীক্ষায় যে নম্বর সে পাবে, সেটি চূড়ান্ত এবং অপরিবর্তনীয়৷’’ ইচ্ছুক পরীক্ষার্থীদের জন্য সংসদের তরফে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘‘উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এই পরীক্ষা তখনই গ্রহণ করবে, যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে৷ সেই অনুযায়ী উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ যথাসময়ে ইচ্ছুক প্রার্থীদের জন্য বাকি লিখিত পরীক্ষার দিনক্ষণ ও নির্দিষ্ট নিয়মাবলী প্রকাশ করবে৷’’

সোমবার, ২২ জুন, ২০২০

পরীক্ষা হবে কী হবেনা চিন্তায় Depression ভুগছে ফাইনাল বর্ষের স্টুডেন্টরা

করোনা আবহে লাকডাউনে বাড়িতে বসে থেকে এমনিতেই  অনেকেই অবসাদে ভুগছেন,তার ওপর কখন বলছে এক্সাম হবে আবার কখনো বলছে এক্সাম হবেনা। এই কিছুদিন আগে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমস্ত অধ্যাপকদের সাথে মিটিং করে জানান যে কলেজ স্টুডেন্টদের পরীক্ষা নেওয়া হবেনা,শুধু মাত্র ফাইনাল বর্ষের স্টুডেন্টদের 50% আসাইনমেন্ট ও 50% আগের নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।তবে তিনি বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।এমত অবস্থায় স্টুডেন্টরা দোটানায় পরে গিয়েছে,এরফল স্বরূপ স্টুডেন্টরা অনেকেই Depression এ ভুগছে, যা অত্যন্ত মারাত্মক।

তাদের বক্তব্য যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক না কেন তা যেন খুব শিগগিরই নেওয়া হোক।তবে বেশিরভাগ স্টুডেন্ট করোনার প্রকোপের ভয়ে পরীক্ষা দিতে চাইছে না। @Againstexam নামে ফেসবুক গ্রুপ তৈরী করে স্টুডেন্টরা আন্দোলন করছে।

বুধবার, ১৭ জুন, ২০২০

৫২টি অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য হাতাচ্ছে চিন, কেন্দ্রকে সতর্ক করল গোয়েন্দা সংস্থা

কোনও অ্যাপ ব্যবহার করলে মোবাইল ক্যামেরায় ছবিটা ভাল ওঠে। কোনও অ্যাপে সহজেই ভিডিও এডিট করা যায়। কোথাও আবার সারা দুনিয়ার খবর মুহূ্র্তে আপনার মুঠোয় চলে আসে। কিন্তু এই রঙিন অ্যাপের দুনিয়ার ভিতরের খবর কি জানেন? খুব গোপনে আপনার গোপন তথ্যটি হাতিয়ে নিচ্ছে বেশকিছু অ্যাপ। আর তা সোজা চালান করে দিচ্ছে চিনে। এমনই আশঙ্কার কথা আরও একবার প্রকাশ করল ভারতের ইনটালিজেন্স সংস্থাগুলি। সম্প্রতি তাদের তরফ কেন্দ্রের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাও হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ইনটালিজেন্স রিপোর্টে ৫২ টি অ্যাপের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। যার মাধ্যমে গোপন তথ্য পাচারের আশঙ্কা রয়েছে। এমনকী, এই অ্যাপগুলির ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। পাশাপাশি অ্যাপগুলি ব্যবহার না করার জন্যও দেশবাসীর কাছেও আরজি জানানো হয়েছে। তাঁদের দাবি, এই অ্যাুগুলির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চিন। যা দেশের এবং আমজনতার ক্ষতি করছে। কিন্তু কোন কোন অ্যাপ এই তালিকায় রয়েছে? দেখে নিন সেই তালিকা।

চিনের সেই অ্যাপগুলি হল- TikTok, Vault-Hide, Vigo Video, Bigo Live, Weibo, WeChat, SHAREit, UC News, UC Browser, BeautyPlus, Xender, ClubFactory, Helo, LIKE, Kwai, ROMWE, SHEIN, NewsDog, Photo Wonder, APUS Browser, VivaVideo- QU Video Inc, Perfect Corp, CM Browser, Virus Cleaner (Hi Security Lab), Mi Community, DU recorder, YouCam Makeup, Mi Store, 360 Security, DU Battery Saver, DU Browser, DU Cleaner, DU Privacy, Clean Master – Cheetah
CacheClear, DU apps studio, Baidu Translate, Baidu Map, Wonder Camera, ES File Explorer, QQ International, QQ Launcher, QQ Security Centre, QQ Player, QQ Music, QQ Mail, QQ NewsFeed, WeSync, SelfieCity, Clash of Kings, Mail Master, Mi Video call-Xiaomi, Parallel Space

ইতিমধ্যে কেন্দ্রের তরফে জুম (Zoom) ও উই ট্রান্সফার (WeTransfer)-সহ একাধিক অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে। লাদাখ সীমান্তে চিনা সেনার হামলার পর আরও বেশকিছু অ্যাপ বাতিলের তালিকায় পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শনিবার, ১৩ জুন, ২০২০

কলেজ পরীক্ষা ব্যবস্থায় আমূল বদল, বড় ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর

করোনা আবহে বদলে যাচ্ছে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ব্যবস্থা৷ নতুন করে শিক্ষাবর্ষ চালু না হলেও ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা বাড়ি থেকে নেওয়ার বন্দোবস্ত করতে চলেছে রাজ্য৷ আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে একগুচ্ছ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে৷ তবে চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আগামী দিনে কলেজ সিমেস্টারের পরীক্ষা বাড়ি থেকেই শুরু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে৷ তবে নতুন করে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে রয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা৷
রাজ্যে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আজ দুপুরে উপাচার্য সহ-উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বাড়ি থেকে পরীক্ষা নেওয়া বিষয়টি নিয়ে ভাবনা শুরু করল রাজ্য শিক্ষা দফতর৷ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বাড়ি থেকেই পরীক্ষা কীভাবে নেওয়া যায়, তা নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন শিক্ষামন্ত্রী৷ সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, শুধুমাত্র ফাইনাল সিমেস্টারের ৫০% পরীক্ষা নেওয়া যায় কি না তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা৷ বাকি ৫০ শতাংশের ক্ষেত্রে আগের সেমিস্টারের পাওয়া গড় নম্বরের ভিত্তিতে তা দেওয়া যায় কি না সে নিয়েও শুরু হয়েছে আলোচনা৷ পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে হোম অ্যাসাইনমেন্ট বা অনলাইনের মাধ্যমে৷ তবে এই বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত অনুমোদন বা সরকারি ভাবে কোনও ঘোষণা করেননি শিক্ষামন্ত্রী৷ সমস্ত কলেজ কর্তৃপক্ষের নেওয়ার সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে৷ তারপর এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলেও ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী৷আজ দুপুরে উপাচার্য সহ-উপাচার্য দের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ সেখানে শিক্ষামন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন করে শিক্ষাবর্ষ নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না৷ ফলে শিক্ষাবর্ষ নতুন করে কবে থেকে শুরু হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ঘোর অনিশ্চয়তা৷ করোনা পরিস্থিতির মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই জুলাই মাস পর্যন্ত সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পর এখন নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷ কবে ফলাফল প্রকাশ হবে, কবে নতুন করে কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে, তা নিয়েও শুরু হয়েছে চূড়ান্ত উৎকণ্ঠা৷
আজ বৈঠকে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ফাইনাল সিমেস্টারের কীভাবে পরীক্ষা নেওয়া যাবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়৷ আপাতত হবে সর্বসম্মতিক্রমে ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া নেওয়া হলেও চূড়ান্ত অনুমোদন দেবেন মুখ্যমন্ত্রী৷ প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ নম্বর ফাইনাল সিমেস্টারের ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী পরীক্ষা হিসেবে নেওয়া হবে৷ আর বাকি ৫০% ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট বা অনলাইনের মাধ্যমে পরীক্ষা দেওয়ার হবে৷ বাড়ি থেকেই যাতে পরীক্ষা নেওয়া যায় কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে,  তা নিয়েই এখন চলছে চর্চা চলছে৷ তবে ফাইনাল সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা শুরু হলেও বাকি পরীক্ষাগুলি কবে, কীভাবে নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা রয়েছে৷ ফলে গোটা প্রক্রিয়াটি নিয়ে এখনও বিশবাঁও জলে৷



থানার উদ্বোধন কবে , অপেক্ষায় সাগরপাড়া

সাগরপাড়ায় আলাদা একটি থানা তৈরির দাবি দীর্ঘদিন ধরেই তুলছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা । এমনকি , থানা ভবন তৈরির জন্য এলাকায় চাঁদা তুলে জমিও কিনে দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির তরফে । মাসকয়েক আগে । স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে , একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে তৈরি হয় প্রস্তাবিত থানা ভবন । পরিকাঠামাে তৈরি , উদ্বোধনের দিনক্ষণও ঠিক হয়ে গিয়েছিল । কিন্তু সাহেবনগরে গােলমালে গুলি চললে মৃত্যু হয়েছিল দু'জনের । তাতেই পিছিয়ে গিয়েছে থানার উদ্বোধন , এমনই দাবি স্থানীয়দের । সীমান্তবর্তী এলাকার থানা জলঙ্গি । ফলে পাচার - সহ নানান অপরাধ লেগেই থাকে । পাচারকারীদের মধ্যে গােলমালে খুন , গুলি চালানাের ঘটনাও আকছার ঘটে বলে দাবি স্থানীয়দের । তাঁরা বলছেন , মাসকয়েক আগে জলঙ্গির ঘােষপাড়া এলাকায় পাচারকারীদের
মধ্যে গোলমালের জেরে খুন হন কয়েকজন । তাছাড়া , যেখানে বর্তমানে থানা ভবন রয়েছে , সেখান থেকে জলঙ্গির অন্য প্রান্তের দূরত্ব কুড়ি - পঁচিশ কিমি । ফলে জলঙ্গি থানা থেকে ওই সব এলাকায় নজরদারি চালানাে কঠিন হয়ে পড়ে বলে দাবি পুলিশের । এক পুলিশ কর্তা বলছেন , “ ধনিরামপুর ; খয়েরতলা , কাকমারিচরে কোনও ঘটনা ঘটলে জলঙ্গি থেকে যেতে ঘন্টাখানেক লেগে যায় । সাগরপাড়ায় থানা তৈরি হলে ওই এলাকায় পৌঁছনাে অনেক সহজ হবে । ” পুলিশ কর্তাদের আরও দাবি , শুধু যাতায়াতের সুবিধার জন্যই নয় , ওই থানা হলে সীমান্ত এলাকায় অপরাধের ঘটনাও কমবে । জলঙ্গি ব্লকে মােট দশটি গ্রাম পঞ্চায়েত । এর মধ্যে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি করা । হচ্ছে প্রস্তাবিত সাগরপাড়া থানা । জলঙ্গির সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক ইমরান হােসেন বলছেন , ‘ সাগরপাড়ায় থানা তৈরির দাবি দীর্ঘদিনের । নতুন থানা হলে । অবশ্যই জলঙ্গির মানুষ উপকৃত হবেন । কমবে অপরাধ । " জলঙ্গির বিধায়ক তৃণমূলের আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল বলেন , “ আশা করি , শীঘ্রই সাগরাপাড়ায় নতুন থানা হবে । ” সাগরপাড়ার বাসিন্দা বিষ্ণু সরকার বলছেন , “ সাগরপাড়ায় থানা তৈরি হলে অপরাধ কমবে বলেই ধারণা আমাদের । সব পরিকাঠামাে থাকা সত্ত্বেও কেন থানার উদ্বোধন হচ্ছে । না , বুঝতে পারছি না আমরা । ” মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন , " ওই থানা উদ্বোধনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল একটা সময়ে কিন্তু বিশেষ কারণে । সেটা পিছিয়ে যায় । তবে আমরা দ্রুত ওই থানা উদ্বোধনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি । সরকারি অনুমােদন পেলে উদ্বোধন হবে । ”

বৃহস্পতিবার, ১১ জুন, ২০২০

বুধবার, ১০ জুন, ২০২০

আরও বাড়ল স্কুল বন্ধের মেয়াদ, নয়া ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এবার স্কুল বন্ধ রাখার সময়সীমা আরও বেশ খানিকটা বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্কুল-কলেজ এখনই খুলবে না। তবে জুলাই মাসে যে সমস্ত পরীক্ষাগুলি নেওয়ার কথা তা নেয়া হবে।

আজ নবান্নে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, "পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের। কিন্তু সেটাও আমরা সভ্য সমাজ, শিক্ষা সমাজ, সবাই চিন্তা ভাবনা করে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি। তাদের কোন শূন্যতা না হয় তার সেটা দেখে নিতে হবে। ছাত্রদের স্বার্থে কাজ করতে হবে। ৩০ জুন পর্যন্ত আমরা স্কুল-কলেজ ছুটি দিয়েছি। আমার মনে হচ্ছে, এটা জুলাই মাস হয়ে যাবে। কিন্তু জুলাই মাসে ইতিমধ্যেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু স্কুল জুলাই মাসে চলবে না। পরীক্ষাগুলি যেটা আছে সেটা হবে। শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছেন। অভিভাবকরা সহযোগিতা করছেন।"

এদিন বেসরকারি স্কুলে ফি বৃদ্ধি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন," বেসরকারি স্কুলের কাছে আমার আবেদন, এই সময়ে স্কুল বন্ধ থাকছে ঠিকই, দয়া করে এখনই ফি বাড়াবেন না দয়া করে। বাড়তি টাকা দিতে লোকের অসুবিধা হবে। এদের হাতে টাকা পয়সা পয়সা নেই।"

করোনা ভাইরাসের সংক্রমন আটকাতে ব্যর্থ মোদী সরকার, কটাক্ষ আসাদুদ্দিন ওয়েসির!

একদিকে ভারতের বুকে আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছে করোনা মহামারি। অন্যদিকে এই আবহে জোরালো‌ হচ্ছে রাজনৈতিক তরজা । গতকালই অমিত শাহ ভার্চুয়াল সভা করেছেন বাংলার উদ্দেশ্যে। আবার সেই প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে বাম দল। এবার ভারতে করোনা সংক্রমণের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সরাসরি দায়ী করলেন এইআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি।

তিনি অভিযোগ করেছেন, করোনা ভাইরাসের ‌প্রকোপ রুখতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর লকডাউনের পরিকল্পনাও ছিলো একটি খেলামাত্র। তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দ্রাবাদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই লকডাউনকে অসাংবিধানিক বলেও অভিযোগ করলেন ওয়েইসি। ভারত-চীনের সীমান্ত বিবাদ নিয়ে দেশের প্রধানদের মধ্যের আলোচনার কথা দেশের সমস্ত নাগরিকদের জানানো উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।

এইআইএমআইএম প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি অভিযোগ করেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণে‌ ব্যর্থ হয়েছেন। এর ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সংক্রমণের হার। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বলেছেন, ”হাততালি দিয়ে, থালা বাজিয়ে এবং দ্বীপ প্রজ্জ্বলন করে কাজের কাজ কিছুই হয় না।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে দেশবাসীর কোন কিছু আশা করা বৃথা। দেশে যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে গিয়েছিলো, তখনই লকডাউন বলবৎ করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মোদীজী তা করলেন না। সেই কারণেই এখন সংক্রামিত সংখ্যা পৌঁছে গেছে লক্ষ তে”। লকডাউন প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ”এই লকডাউন কোনো সুষ্ঠু পরিকল্পনা করে করা হয় নি।

যখন সব পরিযায়ী শ্রমিকরা আশংকার মেঘ নিয়ে বাড়ি ফিরে আসছে, এই সময় শিথিল করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন”। ওয়েইসি এটাও অভিযোগ করলেন, “ট্রেনে আসতে গিয়ে প্রায় ৮৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু ঘটেছে। তারা সকলেই OBC, SC এবং ST সম্প্রদায়ের মানুষজন!”

বর্তমানে সীমান্তে ভারত-চীন সংঘর্ষ সম্পর্কে তিনি বলেছেন , “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের উচিৎ ভারত-চীন সীমা বিবাদের বিষয়ে সমস্ত কিছু তথ্য দেশের জনগণকে জানানো।”

তিনি বিজেপি এবং RSS এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, “যখনই পাহাড়ের উপর থেকে বরফ গলতে শুরু করে, ঠিক তখনই চীন ভারতের সীমান্ত এলাকায় অশান্তি পাকাতে তোড়জোড় শুরু করে।
এছাড়াও কেন্দ্রের নানান নীতি নিয়েও সমালোচনা করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার, ৯ জুন, ২০২০

করোনা আক্রান্ত জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর মা, রিপোর্ট নেগেটিভ কেজরিওয়ালের

করোনা আক্রান্ত হলেন বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এবং তাঁর মা মাধবীরাজে সিন্ধিয়া। সাকেতের ম্যাক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দু’জনেই। অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

রবিবার, ৭ জুন, ২০২০

স্কুল-কলেজ খুলবে অগস্ট মাসের পরেই, জানিয়ে দিল মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক

সেপ্টেম্বর মাসের আগে স্কুল খোলা সম্ভব হবে না। রবিবার আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল। দেশজুড়ে শুরু হওয়া লকডাউনের জেরে গত ১৬ মার্চ থেকে বন্ধ হওয়া স্কুল ও কলেজ অগস্ট মাসেও খোলার আশা নেই বলেই জানিয়েছেন তিনি। একমাত্র অগস্ট মাসের পরই পড়ুয়ারা ফের একবার স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ দেখতে পারে

সূত্রের খবর, প্রাথমিকভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে অবশ্য জুলাই মাসেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার চিন্তাভাবনা করা হয়েছিল। ৩০ শতাংশ উপস্থিতি সহ স্কুল ও কলেজ জুলাই মাসে খুলে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। ক্লাস ৮ পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াদে অবশ্য ঘর থেকেই ক্লাস করতে হত। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সের বিধি মেনে ক্লাস করানোর জন্য দুই শিফটে ক্লাস করার পাশাপাশি গ্রিন ও অরেঞ্জ জোনে স্কুল খুলে দেওয়ার কথাই ভাবা হয়েছিল।

কিন্তু ভারতে করোনার সংক্রমণ কোনও ভাবেই কম না হওয়ার পর তড়িঘড়ি সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। এরই মাঝে কয়েক হাজার অভিভাবকও কেন্দ্রকে আবেদন জানান স্কুল না খোলার জন্য। তারপরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, অগস্ট মাস শেষ হওয়ার আগে কোনও ভাবেই স্কুল-কলেজ খোলা হবে না।

বৃহস্পতিবার, ৪ জুন, ২০২০

দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিকে নিয়ােগপত্র প্রদানের জন্য শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আবেদন D.EL.ED প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীদের

 রাজ্যে শেষ বার প্রাথমিকে নিয়ােগের জন্য টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০১৫ সালে । একাধিক বিতর্কের পর ২০১৬ সালে তার ফল প্রকাশ করা হয় । এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে টেট নেওয়ার জন্য আবারও বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ । কয়েক লক্ষ চাকরি প্রার্থী তাতে আবেদন করে । যদিও এতদিনেও নেওয়া হয়নি সেই পরীক্ষা । কিন্তু দিনে দিনে ধর্য্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে হবু শিক্ষকদের । করােনার সঙ্কট কেটে গেলে যত দ্রুত সম্ভব প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়ােগের জন্য শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন রাখছেন রাজ্যের কয়েক হাজার ডি.এল.এড প্রশিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা ।

এই নিয়ে প্রকাশ পাল , তৌসিফ হক , কৌশিক ব্যানার্জী , রূপচাঁদ সামন্ত প্রভৃতি চাকরি প্রার্থীরা বলছেন , “ আমরা ২০১৫ সালের প্রাথমিক টেট নিয়ােগের পরীক্ষার উত্তীর্ণ প্রার্থী । ২০১৭ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে শিক্ষক নিয়ােগের পর শিক্ষামন্ত্রী একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমে প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়ােগ প্রক্রিয়ায় সরলীকরণের প্রস্তাব দিয়ে একটি ঘােষণা করেছিলেন । তাতে তিনি বলেছিলেন , টেট উত্তীর্ণ এবং পরবর্তীতে D.EL.ED প্রশিক্ষিত প্রার্থীদের ধাপে ধাপে প্রাথমিকে নিয়ােগ করা হবে । বর্তমানে আমরা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত । তাই মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর কাছে আমাদের একান্ত অনুরােধ , পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শিক্ষক নিয়ােগ সংক্রান্ত বিষয়টি সহানুভূতির সহিত বিবেচনা করুন । আমরা খুব অল্পসংখ্যক ( ২০১৫-১৭,২০১৬-১৮ , ২০১৭-১৯ ) ব্যাচের এর D.EL.ED প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করা এবং ২০১৫ সালের প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ প্রার্থী রয়েছি । আমাদের নিয়ােগপত্র প্রদান করে বেকারত্বের জ্বালা ও যন্ত্রণা দূর করুন ।

২০১৫-১৭,২০১৬-১৮ এবং ২০১৭-১৯ সেশন D.EL.ED ট্রেনিং সম্পূর্ণ করা প্রায় ১২০০ জন চাকরি প্রার্থী রয়েছেন রাজ্যে । যার মধ্যে অনেকেই চরম আর্থিক দারিদ্র্য সত্তেও D.EL.ED কোর্স সম্পন্ন করেছেন । চাকরি প্রার্থীরা বলছেন , “ আমাদের মত সাধারণ পরিবারের বাঁকুড়ার সুভাষ বাগদি ও সদ্য পশ্চিম মেদিনীপুরের অনুপ কুমার মাইতি প্রাইমারি টেট উত্তীর্ণ ও ডি.এল.এড ট্রেনিং সম্পন্ন ছিলেন । বেকারত্বের যন্ত্রনা সহ্য করতে না পেরে বৃদ্ধ আত্ম হননের পথ বেছে নিল । এই ভাবে আর কত দিন ? প্রশ্ন টি রাখলাম এই সভ্য ও শিক্ষিত সমাজ ও সরকারের কাছে ! আমরা সকলেই মর্মাহত এমন বন্ধু ও বেকারত্বের লড়াই এর সহযােদ্ধাদের হারিয়ে । যাদের স্বপ্ন ছিল একটা চাকরি পেয়ে গরিব বৃদ্ধ বাবা মায়ের ও পরিবারের প্রত্যেকের মুখে হাসি ফোটানাের । কিন্তু তাঁদের থেমে যেতে হল জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে । জানিনা এই ভাবে আর কত মায়ের কোল খালি হবে স্বপ্ন ভঙ্গের অবসাদে । ”

বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

রক্তবর্ণ নদীর জল, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন পুতিন

 হটাৎ করেই নদীর জল হয়ে উঠেছিল রক্তবর্ণ। স্থানীয় লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। কী কারণে নদীর জলের এমন রং হল? পরে জানা যায়, জ্বালানি তেলের ট্যাংক ফেটে কুড়ি হাজার টন ডিজেল মিশে গিয়েছে নদীর জলে। সেই জন্যই নদীর জলের এমন রং। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সুমেরু অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। পরিবেশবিদরা মনে করছেন, ওই অঞ্চলে দীর্ঘময়াদী ক্ষতি হবে।

নরিলক্সে একটি থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে বিশালাকার একটি জ্বালানির ট্যাংকার ফেটে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। রাশিয়ার উত্তরাংশের শহর নরিলক্স। সুমেরু বৃত্তের ১৮০ মিটার ওপরে অবস্থিত এটি। খনন কাজের সঙ্গে যুক্ত একটি সংস্থা ডিজেল রেখেছিল বিরাট ট্যাংকে। সেই ট্যাংক আচমকা ফেটে বেশিরভাগ ডিজেল মিশে যায় নদীতে। তাইমিরশকি দলগ্যানোর জেলার একটি রিসার্ভারেও কিছুটা ডিজেল মিশে গিয়েছে।  আম্বার্নোয়া ও দাদিকান নদীতে মিশেছে বেশিরভাগ পেট্রোল। ফলে ওই নদীর জলের রং লাল হয়ে গিয়েছে।

দূষণের পরিমাণ এতটাই ভয়াবহ যে স্যাটেলাইট ছবিতেও ধরা পড়ছে। গুগল ম্যাপ ও ইয়ান্ডেক্স স্যাটেলাইট ছবিতেও নদীর জলের লাল রং ফুটে উঠেছে। ঘটনার পর দুদিন কেটে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন বুঝতে পারছে না যে ঠিক কী করা উচিত! পুতিন ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হলে দূষণ কিছুটা রোধ করা যেত বলে মনে করছেন অনেকে। আর তাই স্থানীয় প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন পুতিন।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...