মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০

‘দু’দিন শুধু ফল খেয়ে হেঁটেছি বাড়ি ফিরব বলে’, বেদনা ঝরে পড়ল মুর্শিদাবাদের শ্রমিকের গলায়

“পেটের দায়ে ঘর ছেড়ে দূরে কাজে গিয়েছিলাম। খুব ভাল রোজগার না হলেও খেয়ে পরে সংসারটা চলে যাচ্ছিল। ছেলেমেয়েকে স্কুলে পড়াচ্ছি। আমার রোজগারের টাকা বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম। ওদেরও চলে যাচ্ছিল। কিন্তু আচমকাই লকডাউন সব লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে। এখন চাইলেও আর বাড়ি ফিরতে পারছি না। কতটা পথ পেরলে ঘরে ফেরা যাবে তাও বুঝতে পারছি না। টানা দুই দিন হেঁটেছি। খাবারটুকুও জোটেনি। কিন্তু হাঁটা থামেনি। পায়ে ফোস্কা পড়েছে। যন্ত্রণা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে কালনায় আটকে পড়েছি। কবে বাড়ি যেতে পারব, কীভাবেই বা যাব জানি না। মুর্শিদাবাদ জেলার লালগোলা থানার রাজনগরে বাড়িতে বাবা, মা, স্ত্রী ও এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তারাও খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছে আমাকে নিয়ে।” বলছিলেন সাবির উদ্দিন। আর পাঁচটা পরিযায়ী শ্রমিকের মতো লকডাউনে তিনিও দিশেহারা। করোনার থেকেও বাড়ি ফেরাটাই এখন তাঁর কাছে প্রধান চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

গ্রামে তেমন রোজগারের সুযোগ না থাকায় কখনও ভিনরাজ্যে, কখনও অন্য জেলায় গিয়ে গতর খাটিয়ে দুই-পয়সা রোজগার করতেন সাবির। করোনা ভাইরাস আতঙ্ক ধীরে ধীরে সারা দেশকে গ্রাস করেছে। তার পর আচমকাই লকডাউন শুরু হওয়ায় হাজার হাজার মানুষের মত সমস্যায় পড়ে যান সাবির, নাজিরুল, সাদ্দাম ও আসিকুল। লকডাউন ঘোষণার সময় হাওড়ার ভবানীপুর গ্রামে ছিলেন তাঁরা। কাজ বন্ধ। তাই রোজগার বন্ধ। কয়েকদিনের মত রসদ ছিল। তা নিয়েও কোনওক্রমে কয়েকদিন কেটে যায়। এর পর নিরুপায় হয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন সাবির ও তাঁর বন্ধুরা।

সাবির জানান, “গত শনিবার হাঁটা শুরু করি। প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে হেঁটে হাইরোডে আসি। সেখানে একটা গাড়ি পেয়ে তাতে করে মাত্র ৩০ কিলোমিটার যেতেই পুলিশ আটকে দেয়। তার পর ফের শুরু হয় হাঁটা। চৈত্রের তীব্র রোদ, সঙ্গে পায়ের ফোস্কা গলে ঘামে ভিজে যন্ত্রণা হচ্ছে। খিদেয় পেটে ছুঁচো যেন ডন মারছে। কিন্তু খাবার উপায় নেই। রাস্তায় কোনও দোকান খোলা নেই যে খাবার কিনে খাব। কলকাতার কাছে এসে এক ফল বিক্রেতাকে দেখতে পাই। চারজনে কলা আর লেবু কিনে খেয়েছি। তাতে কি আর খিদে কমে? ভাত-রুটি না পেলে? ওই অবস্থাতেই হেঁটেছি।”

তবে এ যাত্রাও সহজ হয়নি। রাস্তায় আরও অনেক বাধার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের। কখনও পুলিশ, কখনও স্থানীয় বাসিন্দারা আটকেছেন। করোনা আতঙ্কে অনেকে খারাপ ব্যবহারও করেছেন। ওইভাবেই সোমবার রাতে পূর্ব বর্ধমানের কালনায় পৌঁছন চার বন্ধু। পুলিশ সেখানেও তাঁদের আটকে দেয়। আপাতত কালনার আরএমসি মার্কেট কমপ্লেক্সে ঠাঁই হয়েছে তাঁদের। দুইদিন পর সোমবার রাতে ভাতের মুখ দর্শন হয়। এরপর কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। করোনার সন্ধান দেহে মেলেনি। তবে কোয়ারিন্টাইনে ১৪ দিন থাকতে হবে কালনাতেই। আপাতত সেখানে খাওয়া থাকার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে। এত কাঠখড় পুড়িয়েও শেষরক্ষা হল না। কথা বলতে বলতে চোখে জল এসে গিয়েছিল সাবিরের। কান্না ভেজা গলায় বললেন, “বাড়ির লোকজনের জন্য বেশি চিন্তা হচ্ছে। ওরা ফোন করে কান্নাকাটি করছে আমার জন্য। কোনও উপায় নেই। ১৪ দিন এখন এখানেই থাকতে হবে।”

সিল করা হল মুর্শিদাবাদ-নদীয়া জেলা সীমান্তে

 COVID-19 করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্য থেকে দেশ সমস্ত জায়গায় চলছে লকডাউন।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গৃহবন্দি হওয়া নিয়ে কখনো মুখ্যমন্ত্রী কখনো বা প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ ও আবেদন করেছে জনতার কাছে। বারবার বলা হয়েছে করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব ছড়াবেন না। গুজবে কান দেবেন না। আতঙ্কে থাকবেন না।

সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে ও সুস্থ রাখতে সিল করা হল মুর্শিদাবাদ নদীয়া জেলা সীমান্তে।

ডোমকল মহাকুমা পুলিশ অফিসার ফারুক MD চৌধুরী, ডোমকল মহাকুমা শাসক সন্দীপ ঘোষ, জলঙ্গি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক উৎপল দাস,ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক কৌস্তভ কান্তি দাশের উপস্থিতিতে সিল করা হল সীমান্ত।

মুর্শিদাবাদের সীমান্ত গোপালপুরঘাটে চলছে সিসিটিভির নজরদারিও।

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০

কালোবাজারি রুখতে রাস্তায় নামল জলঙ্গি থানার পুলিশ

কালোবাজারি রুখতে একাধিকবার রাস্তায় নামল জলঙ্গি থানার পুলিশ
বৃহস্পতিবার জলঙ্গি থানার বিভিন্ন এলাকায় সবজি বাজার, মুদিখান দোকান বিভিন্ন দোকানে মালের দাম বেশি নিচ্ছে কিনা তা খতিয়ে দেখলেন জলঙ্গি থানার ওসি উৎপল দাস।
https://www.facebook.com/ItyadiNewsMsd/

বুধবার, ২৫ মার্চ, ২০২০

লকডাউন না মানায় ৪৫ জনকে আটক করল জলঙ্গী থানা

লকডাউন না মানায় ৪৫ জনকে আটক করল জলঙ্গী থানা. লকডাউন অমান্য করায় জলঙ্গী থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে 45 জনকে আটক করল জলঙ্গি থানার ওসি উৎপল দাস.
https://www.facebook.com/ItyadiNewsMsd/

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০

করোনা, হান্টা ভাইরাসের পর এবার সুনামির সতর্কতা! কিসের সঙ্কেত?

সারা বিশ্বের মতাে করােনার প্রভাব বেশ ভালােভাবেই পড়েছে রাশিয়াতে । গােটা দেশে যাতে এই ভাইরাস সংক্রামিত না হয় , তার জন্য দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে পুতিন প্রশাসন । এরই মাঝে ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রাশিয়ার পূর্ব অংশ । রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ . ৫া রাশিয়ার পূর্বে কুরিল দ্বীপে ভয়াবহ প্রভাব পড়েছে এই ভূমিকম্পের । সূত্রের খবর , রাশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরে | ভূমিকম্পটি হয় । যদিও ভয়াবহ এই ভূমিকম্পের ফলে কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বা কত মানুষের প্রাণহানি হয়েছে সেটা এখনও জানা যায়নি । এই ভূমিকম্পের পরেই | জারি হয় সুনামি সতর্কতা । হাওয়াই দ্বীপে সুনামি | সতর্কতা জারি করে মার্কিন প্রশাসন । যদিও কিছু পরেই সেই সতর্কতা তুলে নেওয়া হয় ।

ভূমিকম্পের উৎসস্থল খুব সম্ভবত কুরিল দ্বীপ থেকে ২১৯ কিলােমিটার দূরে , প্রশান্ত মহাসাগরে । মার্কিন জিওলজিক্যাল সার্ভের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয় এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ . ৮ | পরে বলা হয় ৭ . ৫ । অন্যদিকে রাশিয়ান জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে এই কম্পনের মাত্রা ৭ . ২ । প্রসঙ্গত , রাশিয়ার ওই অঞ্চলটি বেশ ভূমিকম্প প্রবণ । কয়েকদিন আগেই কামচটকা অঞ্চলে ৪ . ২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছিল । 

বড় খবর:পুরো দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর, আজ থেকে কার্যকর

করোনা আতঙ্ক কাটাতে সতর্কতা জারির উদ্দেশ্যে গত সপ্তাহেই বিশেষ বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ডাক দিয়েছিলেন জনতা কারফিউর। বিশেষ সাড়াও ফেলেছিল সেই আহ্বান। সচেতনতার ধারা অব্যাহত রেখে মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী। করোনা মোকাবিলায় কড়া সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকেই গোটা দেশে জারি হবে লক ডাউন। এটাও যে একপ্রকার কারফিউ, তাও বললেন প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার নির্ধারিত সময়ে জনগণের উদ্দেশ্যে প্রথমেই রবিবারের জনতা কারফিউর প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, 'রবিবার জনতা কারফিউর যে আহ্বান দিয়েছিলাম, তা ভারতবাসী সমর্থন করেছেন। আট থেকে আশি পাশে দাঁড়িয়েছেন।' এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'যখন দেশে সঙ্কট দেখা দেয়, যখন মানবিকতার সঙ্কট দেখা দেয়, তখন কীভাবে লড়াই করতে হয়, তা দেখিয়েছে ভারতবাসী।' করোনা এত দ্রুত ছড়াচ্ছে যে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশও এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণরূপে দাঁড়াতে পারছে না। এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতার প্রয়োজন। করোনা মোকাবিলার জন্য সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের কথা শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রীর মুখে। তিনি বলেন, 'সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং শুধুমাত্র আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য বলেই মনে করেন অনেকে। আসলে এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। সোশ্যাল ডিসট্যান্সিং সবার জন্যই দরকার। এমনকী, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রেও এটা প্রয়োজনীয়।' তিনি সতর্ক করে বলেন, 'এই ধরনের ভুল ধারণা আমাদের মধ্যে থাকলে ভারতকে অনেক খেসারত দিতে হবে। কতটা মূল্য চোকাতে হবে, তার কোনও ধারণা নেই।' এই কারণেই জারি হতে চলেছে লক ডাউন। মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকেই চালু হবে লক ডাউন। গোটা দেশে। তাঁর কথায়, 'ভারতকে বাঁচানোর জন্য, নাগরিকদের বাঁচানোর জন্য আজ রাত ১২টা থেকে ঘর থেকে বাইরে বেরনোর ক্ষেত্রে জারি হবে লক ডাউন। এটা একপ্রকার কারফিউই। জনতা কারফিউর চেয়ে এটা বড় কারফিউ।'
 

করোনার মাঝে ‘হান্টা ভাইরাসে’ প্রথম মৃত্যু চিনে, ইঁদুরবাহিত রোগে তোলপাড় বিশ্ব

সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯ নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে চীনে আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল। তবে এবার করোনা নয়। চিকিৎসকদের দাবি, হান্টা ভাইরাসের সংক্রমণের মৃত্যু হয়েছে চীনের ওই ব্যক্তি। চীনের গ্লোবাল টাইমসের টুইটে জানা গেছে তথ্যটি।
চীনের ইউনান শহরের বাড়ি এক ব্যক্তি গত সোমবার কাজ থেকে ফিরছিলেন শানডং শহর থেকে। ফেরার পথেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন বলে সূত্রের খবর। শুধু তা-ই নয়, যে বাসে তিনি ফিরছিলেন, সেখানের যাত্রীদের ৩২ জনের মধ্যেও পজিটিভ ধরা পড়েছে হান্টা ভাইরাস।
হান্টা ভাইরাস কী?
সেন্টার অফ ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের তরফে বলা হয়েছে,  এটি একটি ইঁদুরবাহিত রোগ। এই ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে একাধিক রোগ ভুগতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি। হান্টা ভাইরাস পালমোনারি সিন্ড্রোম (এইচপিএস) এবং হেমরহ্যাজিক ফিভার উইথ রেনাল সিন্ড্রোম (এইচএফআরএস) ঘটাতে পারে এই সংক্রমণ।
কীভাবে সংক্রমণ হয়?
গবেষকদের দাবি, এটি বায়ুবাহিত রোগ নয়। বরং ইঁদুরের মল, মূত্র, লালা থেকে ছড়াতে পারে এই রোগ।
উপসর্গ: হান্টা ভাইরাস পালমোনারি সিন্ড্রোম-এর ক্ষেত্রে ক্লান্তি, জ্বর, পেশির ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, মাথা ঘোরা, ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে সংক্রামিত ব্যক্তির। আর হেমরহ্যাজিক ফিভার উইথ রেনাল সিন্ড্রোম-এর ক্ষেত্রে আগের রোগটির মতোই উপসর্গ দেখা যায়। তবে তার সঙ্গে রক্তচাপ হ্রাস পাওয়া এমনকী, কিডনির মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
গোটা বিশ্বে করোনা ভাইরাস কোভিড ১৯-এর জেরে হাজার হাজার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে খোদ বাংলায় সোয়াইন ফ্লু-র আতঙ্ক তৈরি হচ্ছিল কিছুদিন আগেই। সেই পরিস্থিতিতে চীনে হান্টা ভাইরাসের সংক্রমণে মৃত্যুর ঘটনা গোটা পৃথিবীর মানুষকেই আবার নতুন করে আতঙ্কে ফেলছে।

গোটা রাজ্যে লকডাউন সময়সীমা বেড়ে ৩১ মার্চ করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার

আজ বিকাল ৫টা থেকে গোটা রাজ্যে লকডাউন, সময়সীমা বেড়ে ৩১ মার্চ

লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মঙ্গলবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, পরিস্থিতি বিচার করে কলডাউনের মেয়াদ ৩১ তারিখ পর্যন্ত করা হল। কার্যকর হচ্ছে আজ বিকেল থেকেই। এদিন মমতা বলেন, পরিস্থিতির অস্বাভাবিকতাকে লক্ষ্য করে আজ বিকেল ৫ টা থেকে সর্বত্র রাজ্যের সর্বত্র লকডাউন। ৩১ মার্চ পর্যন্ত। কেস স্টাডি করে দেখলাম, এক লক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করতে ৬৭ দিন টাইম নেয়। পরের একলক্ষ মানুষকে আক্রান্ত করতে ৪ দিন সময় নেয়।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, সবার ভালর কথা মাথায় রেখেই এই লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, যাতে সকলে ভাল থাকে, একটু কষ্ট করতে হবে। দুর্ভোগে সামিল হয়েই কাজ করতে হবে। ফ্রি রেশন বলে দিয়েছি আগামী ছ মাস। যারা অসংগঠিত ক্ষেত্রে আছে দিন আনি দিন খায়, তাদের জন্য নতুন স্কিম- প্রচেষ্টা। ১৫-৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দেওয়া হবে। ১ হাজার টাকা করে সরকার দেবে।

শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই ভিন রাজ্য থেকে ডোমকলে ফিরল কয়েক হাজার শ্রমিক ! আতঙ্ক এলাকায় !


#মুর্শিদাবাদ: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের আতঙ্ক দেশজুড়ে। ভিনরাজ্যে কাজ করা ডোমকল এলাকার কয়েক  হাজার শ্রমিক ইতিমধ্যেই করোনা এর ভয়ে ফিরে আসছেন বাড়িতে। কেরালা, দিল্লি, সুরাট, বেঙ্গালুরু থেকে দলে দলে ডোমকলে আসছে শ্রমিকরা। ডোমকলে ফিরে আসা এই সব শ্রমিকরাই এখন মাথাব্যথা হয়ে উঠেছে অনেকের।কয়েকদিন ধরে  রাতে ডোমকল বাসট্যান্ডে  বিদেশ থেকে শ্রমিকরা আসছেন । ব্যাসট্যান্ডে নেমে সটান গাড়ি করে চলে যাচ্ছেন গ্রামে। কোনও পরীক্ষা না করেই গ্রামে যাচ্ছেন বিদেশ ফেরত শ্রমিকরা।  তারা কেউই কোনোওরকম শারীরিক পরীক্ষা করাননি।
অন্যদিকে, ব্লক প্রশাসনের এই নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই বললেই চলে। গভীর রাতে বিদেশ থেকে শ্রমিকরা নেমে সোজা গ্রামে চলে যাচ্ছেন কোনোও পরীক্ষা ছাড়াই। প্রশ্ন উঠছে, অসচেতনতা  ফলেই করোনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় !  পরীক্ষা না করিয়ে কেন গ্রামে ঢুকছে ভিন রাজ্য ফেরতরা? যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে অঘটন। হাসান মন্ডল বলেন, কেরলের রাজমিস্ত্রির শ্রমিকের কাজ করতাম। করোনা আতঙ্কের জন্য বাড়ি ফিরে আসছি। কোথাও শারীরিক পরীক্ষা হয়নি। একই কথা বলেন নিত্য কুমার মন্ডল। বলেন, আমরা সাঁতরাগাছি স্টেশনে নেমে চলে এসেছি। তবে প্রশাসনের লোক যদি বলে তাহলে আমরা শারীরিক পরীক্ষা করিয়ে নেব । স্থানীয় টোটো চালক রমজান শেখ বলেন, প্রতিদিন রাতে ভিন রাজ্য থেকে শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসছে। আমরা আতঙ্কিত। যদিও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসছেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খবর নিচ্ছেন আশা কর্মীরা। স্বাস্থ্য কর্মীরা তাদের ওপর নজর রাখছেন। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নাই।

মুর্শিদাবাদের জলঙ্গি বাজার পরিদর্শন করলেন জলঙ্গি থানার ওসি উৎপল দাস

 করোনার আতঙ্কে বাজারের দোকানের মাল বেশি দামে বিক্রি করছে কিনা তা খতিয়ে দেখলেন শনিবার ওসি উৎপল দাস, পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিলেন বাইরে থেকে যে সমস্ত শ্রমিকরা বাড়ি ফিরছেন তাদেরকে অতিসত্বর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করে বাড়ি যাওয়ার পরামর্শ দেন, একসঙ্গে কোন জায়গায় গ্যাদারিং করা যাবে না বলেন ওসি উৎপল দাস,

করোনা সর্তকতা হিসেবে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা সর্তকতা হিসেবে এবার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা করল রাজ্য সরকার৷ আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ ২৩ , ২৫ ও ২৭ তারিখ যে তিনটি পরীক্ষা বাকি ছিল, সেই পরীক্ষাগুলি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখা হচ্ছে৷ এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।
ইতিমধ্যেই ৭ দিন ধরে পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গিয়েছে৷ এখনও বাকি ৩ দিনের পরীক্ষা৷ ২৩, ২৫, ২৭ এপ্রিল পরীক্ষা হওয়ার কথা৷ কিন্তু, সেই পরীক্ষাগুলি আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা করা করা হয়েছে৷ আজ দুপুরে করোনা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷
আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত রাখার নির্দেশও দিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ৷ ১৫ এপ্রিলের পর পরবর্তী পরীক্ষা সূচি ঘোষণা করা হবে৷ তবে যে পরীক্ষাগুলি হয়েছে গিয়েছে, সেগুলির কোনও পরিবর্তন করা হবে না বলে খবর৷ এছাড়া আজ থেকে সমস্ত রেস্তোঁরা থেকে শুরু করে নাইটক্লাব, ডান্সবার থেকে পাব, ম্যাসাজ পার্লার সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ 
দিও শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত করা হবে না৷ সিবিএসই ও আইসিএসই বোর্ডের পথে হাঁটবে না পশ্চিমবঙ্গ উচ্চমাধ্যমিক সংসদ। নির্ধারিত পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী ২৭ মার্চ পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে৷ সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ‘‘চারটি পরীক্ষা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে৷ তাই এখন আর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা স্থগিত করা সম্ভব নয়৷ খুব প্রয়োজন না হলে নির্ধারিত সূচি মেনেই চলবে উচ্চমাধ্যমিক৷” কিন্তু, শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার আগেই স্থগিত রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা৷

করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি তুলতে থাকেন শিক্ষকদের একাংশ৷ শিক্ষক মহলের সেই দাবি নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে আজ বিকেল ডট কম৷ শিক্ষক সংগঠনের তরফেও শিক্ষামন্ত্রীর কাছেও চিঠি পাঠানো হয়৷ কিন্তু, সেই সমস্ত দাবি উড়িয়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী৷ শক্রবার শিক্ষামন্ত্রী জানান, কোনও ভাবেই পরীক্ষা স্থগিত করা হবে না৷ সেই ঘোষণা পর এবার রাজ্যের তরফে পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা করা হয়েছে৷ 

সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০২০

করোনা রুখতে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ক্রমেই আতঙ্ক বাড়াচ্ছে মারণ করোনা। দেশজুড়ে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এরাজ্যেও করোনার সংক্রমণ রুখতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগেই ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সব সরকারি, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যে সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনায় এবার ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যের সব অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

বেড়েই চলেছে আতঙ্ক। এরাজ্যে ইতিমধ্যেই ৫৯ জনের করোনা সংক্রমণের পরীক্ষা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্যে কারও করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েনি। সোমবার নবান্নে করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই করোনা মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।



সোমবার বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে মুখ্যমন্ত্রীর রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। করোনার সংক্রমণ রুখতে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপাতত ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে। তবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বাচ্চাদের জন্য চাল-ডাল তাদের বাড়িতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।


ইতিমধ্যেই রাজ্যের ৩ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষের স্ক্রিনিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরই পাশাপাশি আরও ৫ হাজার মানুষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে করোনা মোকাবিলায় ২০০ কোটি টাকার তহবিল গড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার করোনা নিয়ে নবান্নে বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অযথা করোনা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। তবে গুজবে কান দেবেন না। আত্মসন্তুষ্টি থাকা ঠিক নয়।’ এদিন ইতালি, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশের করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খতিয়ান পেশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।

করোনার সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই কল সেন্টার চালু করেছে রাজ্য সরকার। কল সেন্টারে ইতিমধ্যেই ৫ হাজার ফোন এসেছে। করোনা নিয়ে কেউ জানতে চাইলে তাঁকে পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। করোনার সংক্রমণ রুখতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলিকেও জমায়েত এড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সিনেমা হল, রিয়েলিটি শোগুলিও ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখতে আবেদন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০২০

৫ গুণ দামে বিকোচ্ছে সাধারণ মাস্ক, নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে হিমশিম আমজনতা

N95 মাস্ক বাজারে অমিল। সাধারণ মাস্কই বিক্রি হচ্ছে পাঁচগুণ অতিরিক্ত দামে। করোনা আতঙ্কে এমনই পরিস্থিতি দুর্গাপুরে। ফলে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে সাধারণ মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়ছে। আতঙ্ক ছড়াতে না ছড়াতেই মাস্কের কালোবাজারি শুরু হয়ে গিয়েছে এখানে। তা রুখতে পুলিশ ও প্রশাসন যেন এখনই আসরে নামে, এমনই আবেদন শিল্পাঞ্চলবাসীর। পুলিশের আশ্বাস, শিগগিরই এনিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলবে অভিযান।

দুর্গাপুর নগর নিগম থেকে রাজ্য সরকারের করোনা সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধির প্রচার শুরু হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিংবা ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে মাস্ক বিলিও শুরু হয়েছে। কিন্তু মাসখানেক ধরেই দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে অমিল মাস্ক। হাতে গোনা কয়েকটি দোকানে খুবই সাধারণ মানের মাস্ক পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু তার দাম শুনেই ওষুধের দোকান থেকে পালিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা। অভিযোগ, বেনাচিতি এলাকার কয়েকটি ওষুধের হোলসেলার ১২ থেকে ১৫ টাকা দামের সাধারণ মাস্ক বিক্রি করছেন ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। আর ওষুধের দোকানে তা আরও চড়া দরেই বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।সম্প্রতি একটি ক্লাবের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ নিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে দুর্গাপুরের ২ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমাপ্রসাদ হালদারের। সাধারণ মাস্কই হোলসেলারের কাছ থেকে কিনতে তাঁকে ৫০ টাকা খরচ করতে হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। রমাপ্রসাদবাবুর আরও অভিযোগ, “মানুষ ও দেশের বিপদের সময়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী মানুষকে প্রতারিত করবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। কৌশলে আরও আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে মানুষকে। আমি মহকুমাশাসক ও পুলিশের কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানাব।” এই বিষয়ে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক অনির্বাণ কোলে জানান, “যারাই এই মাস্ক নিয়ে কালোবাজারি করবে, তাদের বিরুদ্ধেই আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ আমি পুলিশকে এখনই দিচ্ছি।” আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি–১ (পূর্ব) অভিষেক মোদি জানান,“আমরা বিষয়টি দেখছি। কোনওভাবেই বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না।”

সাম্প্রতিক করোনা পরিস্থিতির জেরে মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজারকে ‘অত্যাবশকীয় পণ্য’ বলে ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। তারপরও চলছে কালোবাজারি । এই ব্যাপারে ‘বেঙ্গল কেমিস্ট ও ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর দুর্গাপুর শাখার সভাপতি জয়দেব কুণ্ডু জানান,“এই পণ্যগুলি আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। প্রতিটি সদস্যকে নির্দেশ হয়েছে, বেশি দাম নেওয়া যাবে না। সার্কুলারও জারি করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অতিরিক্ত দামে মাস্ক বিক্রি করা হলে, খোঁজ নিয়ে দেখব।” সরকারের তরফে অভিযান কিংবা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে তা নিয়ন্ত্রণ করার কাজ যতদিন না শুরু হয়, ততদিন সাধারণ মানুষকে মাস্ক কিনতে গিয়ে ভোগান্তির মুখে পড়তে হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছেই।

শুক্রবার, ১৩ মার্চ, ২০২০

করোনার কোপে স্থগিত করে দেওয়া হল IPL

হাজার পরিকল্পনা করেও নির্ধারিত দিনে আইপিএল (IPL) শুরু করা সম্ভব হল না। করোনার প্রকোপ যেভাবে প্রকট হচ্ছে এই দেশে, তাতে শেষমেশ টুর্নামেন্ট পিছিয়ে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই (BCCI)।
বিশ্বের একশোরও বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ COVID-19 ভাইরাস। চিন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস ঢুকে পড়েছে ভারতেও। ইতিমধ্যেই কর্ণাটকে করোনায় আক্রান্ত বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে স্থগিত করা হচ্ছে একের পর এক স্পোর্টস ইভেন্ট। ইতিমধ্যেই ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, চলতি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজ দর্শকশূন্য মাঠে আয়োজিত হবে। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, একইভাবে দর্শকের উপস্থিতি ছাড়াই হবে আইপিএলও। কিন্তু এই টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে আপত্তি তোলে মহারাষ্ট্র-দিল্লি-সহ একাধিক রাজ্য। ফলে শেষমেশ ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আইপিএল স্থগিতেরই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই।

লিগের প্রাক্তন চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা আগে জানিয়েছিলেন, সমস্ত নিয়মাবলি মেনে নির্ধারিত দিনেই আইপিএল হবে। জারি করা হবে বিশেষ সতর্কতাও। কিন্তু শুক্রবার বোর্ডের এক আধিকারিক নিশ্চিত করলেন যে ২৯ মার্চ আইপিএল ১৩ মরশুম শুরু হচ্ছে না। তিনি জানান, ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এ দেশে বিদেশিদের প্রবেশ নিষেধ। যে কারণে বাইরের দেশের কোনও ক্রিকেটারকে পাবে না ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। সেই জন্যই ঠিক হয়েছে, ১৫ এপ্রিল টুর্নামেন্ট শুরু হবে। সমস্ত ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলিকেও এ খবর জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে বলা হয়, “হ্যাঁ, আমরা ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছি যে ১৫ এপ্রিল আইপিএল শুরু হবে। তবে বিদেশি তারকাদের কবে পাওয়া যাবে সে বিষয়ে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। কারণ দলে চারজন বিদেশি না থাকলে আইপিএল তার জ্বেল্লা হারাবে।”
যদিও বিসিসিআইয়ের তরফে এ বিষয়ে সরকারিভাবে এখনও কিছু ঘোষণা করা হয়নি। শনিবার বৈঠকে বসবে আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। উপস্থিত থাকবেন বিসিসিআইয়ের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতিনিধিরা। বৈঠকের পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের কথা জানানো হবে।

এদিকে, করোনার কোপে স্থগিত করে দেওয়া হল রোড সেফটি ওয়ার্ল্ড সিরিজও। শচীন-যুবরাজ-ইরফান পাঠানের মতো প্রাক্তন তারকারা ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্ট জমিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু পাঁচ দেশ নিয়ে আয়োজিত সিরিজ আপাতত স্থগিতেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

রবিবার, ৮ মার্চ, ২০২০

বৃষ্টির মধ্যে আকাশ থেকে ধেয়ে আসছে জ্বলন্ত গোলা! আতঙ্ক গাজিয়াবাদে

আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে আগুনের গোলা! যা দেখে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। বেনজির ঘটনা ঘটেছে গাজিয়াবাদে।

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, বুধবার প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই মানুষ দেখতে পান, আকাশ থেকে এক বিরাট আগুনের গোলা আকাশ থেকে ধেয়ে আসছে। রেল স্টেশনের কাছে তা বিকট শব্দে আছড়ে পড়ে।

দমকলকে খবর দেওয়া হয়। সেখানে অভিযোগ করা হয়, একটা উল্কা মাটিতে আছড়ে পড়েছে। পরে, দমকল সেখানে পৌঁছয় এবং বস্তুটিতে পরীক্ষা করে।

প্রথম জ্বলন্ত বস্তুটিকে বেশ কিছুক্ষণের চেষ্টায় নেভাতে সক্ষম হয় দমকল। পাশাপাশি, জেলাশাসকের দফতর থেকে খবর পাঠানো হয় ভূতত্ত্ববিদ এস সি শর্মার কাছে। তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বস্তুটি পরীক্ষা করেন।

পরে আধিকারিকরা  জানান, ওই বস্তুতি প্রধানত সোডিয়াম মৌল দিয়ে তৈরি।  বলা হয়, জলের সংস্পর্শে এসেই তা জ্বলতে শুরু করে। বস্তুটির নমুনা লখনউয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।

তবে, গোটা ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার, ৬ মার্চ, ২০২০

ফের যেন নোটবন্দি! বলছেন ক্ষুব্ধ গ্রাহক

সেই ২০১৬ সালে নোটবন্দির পরে দেখা গিয়েছিল টাকা তোলার লম্বা লাইন। শুক্রবার দেশ জুড়ে ফিরে এল সেই স্মৃতি। যখন ইয়েস ব্যাঙ্কের একের পর এক এটিএম ও শাখার সামনে একরাশ হতাশা আর অসহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল সাধারণ মানুষকে। লাইনে দাঁড়িয়েও যে সব জায়গায় এটিএম থেকে গ্রাহকেরা টাকা তুলতে পেরেছেন, তা নয়। কিছু এটিএম অচল ছিল। কোনওটিতে আবার টাকা ছিল না। অনেকেই খুঁজে বেরিয়েছেন ইয়েস ব্যাঙ্কের অন্য কোনও এটিএম। আর ক্ষোভে ফেটে পড়তে পড়তে গ্রাহক মন্তব্য করেছেন, ‘‘মনে হচ্ছে দ্বিতীয়বার নোটবন্দির ফেরে পড়লাম।’’ মোদী সরকার পুরনো পাঁচশো, হাজারের নোট বাতিলের পরে যখন টাকা তোলার জন্য হন্যে হয়ে এমনই জেরবার হতেন আমজনতা।

পরিচালন পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার পরে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক ক্লিয়ারিংও বন্ধ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সব ব্যাঙ্কের কাছে নোটিস পাঠিয়ে নির্দেশ দিয়েছে, এই ব্যাঙ্কের চেক আপাতত ক্লিয়ার না-করতে। ফলে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক পেলে কেউ যেমন এখন তা ভাঙাতে পারবেন না, তেমন এই ব্যাঙ্কের গ্রাহক চেক কাটতেও পারবেন না। জারি হয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক থেকে নেট মারফত টাকা মেটানোর ব্যবস্থা, আরটিজিএস এবং নেফ্ট করায় নিষেধাজ্ঞা। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, তিনি মেনেছেন এই দুরবস্থার কথা। সেই সঙ্গে আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা বলে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হচ্ছে। চিকিৎসা বা বিয়ের মতো খরচের জন্য বড় অঙ্কের টাকা তুলতে হলে অবশ্য ব্যাঙ্কের নতুন বোর্ড বা আরবিআইয়ের কাছে আবেদন করতে হবে বলে জানান তিনি। যদিও সেটা কী ভাবে করা হবে, তা স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

ব্যাঙ্কটির নতুন অ্যাডমিনিস্ট্রেটর প্রশান্ত কুমার জানান, ‘‘গ্রাহক স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই ‘মোরাটোরিয়াম’ বা ৩ এপ্রিল পর্যন্ত টাকা তোলার অঙ্ক ৫০ হাজারে বাঁধা হয়েছে। পরিকল্পনা এমন ভাবে তৈরি হচ্ছে যাতে ব্যাঙ্কটি মোরাটোরিয়ামের সময়সীমা শেষের অনেক আগে চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে।’’ 
টাকা তোলায় যে রাশ টেনেছে আরবিআই, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে ধন্দ। অনেকেরই জিজ্ঞাসা, অ্যাকাউন্ট থেকে প্রতি মাসে ইসিএসের (নির্দিষ্ট দিনে সংশ্লিষ্ট খাতে টাকা কাটার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা) মাধ্যমে মেটাতে হয় গাড়ি-বাড়ির ইএমআই, এসআইপির কিস্তি। ৫০ হাজারের হিসেবে কি এগুলিও ধরা হবে? সেটা হলে সমস্যা চরমে উঠবে, আশঙ্কা তাঁদের। তবে এ দিন ইয়েস ব্যাঙ্কের বিবাদী বাগ শাখার এক অফিসার জানান, ‘‘ইসিএস নিয়ে নোটিস পাইনি। তা না-এলে ইসিএসের ক্ষেত্রে অসুবিধা না-হওয়ারই কথা।’’
এটিএমে টাকা না-পাওয়ায় বেশ কিছু জায়গায় গ্রাহকেরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। মুম্বইতে অবস্থা এতটাই চরমে ওঠে যে, মুম্বইয়ে পুলিশের সদর দফতর থেকে সব থানায় জরুরি নির্দেশ পাঠিয়ে বলা হয়, শহরে ইয়েস ব্যাঙ্কের সব এটিএমের উপর নজর রাখতে।

ইয়েস ব্যাঙ্কে নিয়ন্ত্রণ চাপানোর প্রভাব সহায়কমূল্যে ধান কেনায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা খাদ্য দফতরের। পূর্ব বধর্মান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে চাষিদের থেকে ধান কিনে ইয়েস ব্যাঙ্কের চেক দিয়েছে খাদ্য দফতর ও তাদের একাধিক এজেন্সি। খবর, শুধু পূর্ব বর্ধমানেই এই চেক পেয়েছেন প্রায় ৯০ হাজার চাষি। এর কতগুলি ‘ক্লিয়ারেন্স’ পেয়েছে, সেই তথ্য দফতরের কাছে নেই। শুক্রবার জেলা প্রশাসন ও খাদ্য দফতর তাই যৌথ ভাবে ঠিক করেছে, শিবির খোলা থাকলেও ধান কেনার কাজ আপাতত বন্ধ থাকবে। তবে কেউ চেক না-নিয়ে ধান দিতে চাইলে দফতর ধারে কিনবে। এ নিয়ে আতঙ্কিত হতে নিষেধ করে রাজ্যের খাদ্য কমিশনার মনোজ আগরওয়াল বলেন, “কত চেক বাইরে পড়ে, তা দেখা হচ্ছে। দরকারে সেগুলি তুলে অন্য ব্যাঙ্কের চেক দেওয়া হবে চাষিদের। টাকা মার যাবে না।’’


বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০২০

হটাৎ বহরমপুরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী

 মালদা থেকে কলকাতা ফেরার পথে মুর্শিদাবাদের বহরমপুর স্টেডিয়ামে নামলেন মুখ্যমন্ত্রী, হেলিপ্যাডে ও বসেই মিটিং করলেন প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে তারপর রওনা দিলেন কলকাতার উদ্দেশ্যে। 

পার্লামেন্টে ঢুকতে দেওয়া হল না অধীর বাবুর গাড়ি

পার্লামেন্টে ঢুকতে দেওয়া হল না অধীর বাবুর গাড়ি।আজ দুপুর 1 টা বেজে পার্লামেন্ট যাওয়ার পথে গাড়ী আটকায় দিল্লি পুলিশ 'তার কারণ রালিড 2020 স্টিকার লাগানো নেই তার গাড়িতে' কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী 2019 নোটিফিকেশনে বলা রয়েছে 2019 এর স্টিকার 31শে মার্চ 2020 পর্যন্ত valid।কিন্তু দিল্লী পুলিশ কোনো কোথায় শুনতে রাজী হয়নি ,বিরোক্তি হয়ে অধীর বাবু গাড়ী থেকে নেমে পায়ে হেটে পার্লামেন্ট পৌঁছালেন।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...