মাটির নিচের জলস্তর শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকার সবকটি টিউবওয়েল বিকল হয়ে গিয়েছে। জীবন বাঁচানোর একমাত্র উপায় সরকারি ট্যাপ থাকলেও সেটিও গত দুইদিন ধরে বন্ধ। দূর থেকে জল এনে কোনমতে তৃষ্ণা মেটাতে হচ্ছে। প্রশাসনের তরফে সমস্যার সমাধানের চেষ্টায় এলাকায় চার বছর আগে পিএইচই’র জলাধার তৈরি করা হলেও আজ অবধি তা চালুই করা হয়নি। এমনই নিদারুণ জলকষ্টে ভুগছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের দৌলতপুর এলাকার বাসিন্দারা।
জলের দাবিতে বৃহস্পতিবার বাধ্য হয়েই জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখলেন মহিলারা। দৌলতপুর বাসস্ট্যান্ডের নিকট বালতি ড্রাম কলসি নিয়ে ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কে বসে থাকেন তাঁরা। তাঁদের দাবি অবিলম্বে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি এলাকায় মাৰ্কটু টিউবওয়েলের ব্যবস্থা করতে হবে।
শুধু দৌলতপুরেরই নয় বংশীহারি ব্লকের মহম্মদপুর সহ আশেপাশের আরও পাঁচটি গ্রামের মানুষ এই অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালেও প্রথমাবস্থায় অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়। পরে ব্লক আধিকারিক গেলে তাঁকেও ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান মহিলারা। এদিকে জাতীয় সড়কে দীর্ঘক্ষণের অবরোধের জেরে প্রচুর বাস লরি ও অন্যান্য যানবাহন আটকে পড়ে। সমস্যায় পড়েন যাত্রী সাধারণ। ব্লক আধিকারিকের প্রচেষ্টায় প্রায় ঘণ্টা তিনেক পড়ে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।
স্থানীয় বাসিন্দা সুতপা বাগচী ক্ষোভের সঙ্গে জানান, বহুদিন ধরেই এলাকার টিউবওয়েলগুলি দিয়ে জল উঠছে না। এমতাবস্থায় টাইম কলের ট্যাপের জলই তাঁদের একমাত্র ভরসা। কিন্তু গত দুইদিন যাবত সেই জলও তাঁরা পাচ্ছেন না। জলের কষ্টে খুবই অসহায় অবস্থার মধ্যে তাঁদের দিন কাটাতে হচ্ছে।
এদিকে বংশীহারির ব্লক আধিকারিক শুভদীপ দাস জানিয়েছেন, জলস্তর নেমে যাওয়ার কারণেই এই জলসংঙ্কট। এরই মধ্যে দুইদিন ধরে পিএইচইর পাম্প মেশিনের বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যা থাকায় ট্যাপের জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। এদিন তিনি নিজে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলে সেই সমস্যার সমাধান করে জল সরবরাহ স্বাভাবিক করে দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন