ভারত এমন একটি দেশ যেখানে শিক্ষা কে জ্ঞানের মুহূর্তের চেয়ে ব্যবসায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে বেশি দেখা হয়। আজকাল শিক্ষা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, এজন্য আজকাল অনেক মানুষ কোচিং সেন্টার চালিয়ে কোটিপতি হয়ে গেছে। কিন্তু, কিছু অল্প সংখ্যক মানুষ এমনও আছে যারা কাছে শিক্ষার মাধ্যম সমান। আজ এমন একজন শিক্ষকের কথা বলব, যিনি প্রতিবছর 30 জন গরিব ছাত্র ছাত্রী কে বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করেন। বর্তমানে তার এই জীবন কাহিনীর উপর ভিত্তি করে একটি সিনেমা রিলিজ হতে চলেছে, যার নাম হল SUPER 30.
আনন্দ কুমারের জন্ম বিহারের পাটনা শহরে হয়, তার বাবা ডাক বিভাগে একজন ক্লার্ক হিসেবে কাজ করে। আনন্দ কুমার ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুবই ভালো। আনন্দ কুমার যিনি সুপার 30 নামক একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালানোর জন্য পরিচিত। এই প্রোগ্রাম টি শুরু হয় 1992 সালে, মাত্র 500 টাকা দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর ভাড়া নেয় গণিত পড়ানোর জন্য। প্রথমে তিনি দুজন ছাত্র কে নিয়ে শুরু করেন এই কোচিং সেন্টার, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দুজন ছাত্র থেকে 500 জন ছাত্রের পরিণত হয়। আনন্দ কুমারের জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু 3 আগস্ট, 1994 এ আনন্দ কুমারকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানে অধ্যয়ন করার জন্য তাঁর কাছে এত টাকা ছিল না।
2002 সালে এক ছাত্র আই আই টি পড়ার জন্য আনন্দ কুমার এর কাছে কিছু টাকা সাহায্য হিসেবে চেয়েছিল কিন্তু আনন্দ কুমার এর কাছে ওকে দেওয়ার মতো টাকা ছিল না, ঘটনাটা দেখে ওর ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। তারপর তিনি কিছু টাকা দিয়ে সুপার 30 প্রোগ্রামটি শুরু করে। রামানুজন স্কুল অফ ম্যাথামেটিক্স স্কুল থেকে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা নেওয়া হয়, আর ওখান থেকে গরিব 30 জন ছাত্রছাত্রীকে ফ্রি তে পড়াশোনা দেওয়া হয়, এমন কি ওদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা ফ্রী তে দেওয়া হয়। সুপার 30 প্রোগ্রামটি চালানোর জন্য সমস্ত খরচ রামানুজের স্কুল অফ ম্যাথামেটিক্স ই প্রদান করে। সুপার থার্টি এই প্রোগ্রামটির জনপ্রিয়তা দেখে ডিসকভারি চ্যানেল 30 মিনিটের একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও বানায়। আনন্দ কুমার এর মত শিক্ষক ভারতে শুধুমাত্র একজন শিক্ষক নয়, ভারতকে শিক্ষিত করে তোলার নতুন দিশারী।
আনন্দ কুমারের জন্ম বিহারের পাটনা শহরে হয়, তার বাবা ডাক বিভাগে একজন ক্লার্ক হিসেবে কাজ করে। আনন্দ কুমার ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনায় খুবই ভালো। আনন্দ কুমার যিনি সুপার 30 নামক একটি প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম চালানোর জন্য পরিচিত। এই প্রোগ্রাম টি শুরু হয় 1992 সালে, মাত্র 500 টাকা দিয়ে ছোট্ট একটি ঘর ভাড়া নেয় গণিত পড়ানোর জন্য। প্রথমে তিনি দুজন ছাত্র কে নিয়ে শুরু করেন এই কোচিং সেন্টার, কিন্তু কিছুদিনের মধ্যেই দুজন ছাত্র থেকে 500 জন ছাত্রের পরিণত হয়। আনন্দ কুমারের জীবনে সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু 3 আগস্ট, 1994 এ আনন্দ কুমারকে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত সেখানে অধ্যয়ন করার জন্য তাঁর কাছে এত টাকা ছিল না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন