বৃহস্পতিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

জলঙ্গীর সাগরপাড়ায় গড়ে উঠতে চলেছে পর্যটনকেন্দ্র

  সাগরপাড়া ঝিলকে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিলেন বিডিও কৌস্তভকান্তি দাস মহাশয়

ইত্যাদি নিউজ,জলঙ্গী:সরকারি ৩৩ একর এলাকা জুড়ে রয়েছে মস্ত বড় ঝিল । চারপাশে সবুজে ঘেরা মাঠ । ঝিলের পাড়ে নুইয়ে রয়েছে খেজুর গাছ । ঝিলের বুকে ভেসে বেড়াচ্ছে ছােট ছােট ডিঙি নৌকো । প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেন ঝিলের জলে খেলা করে । পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তােলার যাবতীয় সম্ভাবনা নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে । ' জুলঙ্গির সীমান্ত লাগােয়া সাগরপাড়া । এলাকায় মঙ্গলবেড়িয়া ঝিল । গ্রামের প্রবীণরা বলছেন , এক সময়ে ঝিলে ঝাঁকে ঝাঁকে আসত পরিযায়ী পাখি । শিকারিদের ভয় ছিল না । ফলে প্রতি বছর নিশ্চিন্তে পরিযায়ীরা খেলা করত ঝিলে । তারপর ওই ঝিলের পাড়ে পিকনিক করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা । মানুষের আনাগােনা বাড়ায় ঝিলে । কমতে শুরু করে পরিযায়ী পাখির ভিড় । বর্তমানে পরিযায়ী পাখিরা আসা প্রায় বন্ধই করে দিয়েছে ঝিলে । । | মৎস্য বিশেষজ্ঞ সূর্যেনারায়ণ । দে বলছেন , “ পাখির প্রধান খাদ্য ছােট মাছের সংখ্যা যেমন কমে গিয়েছে , তেমনি গেঁড়ি - গুগলি - পােকামাকড় নেই ঝিলে । কারণ , মাছ চাষ হয় । এছাড়া , মানুষের আনাগােনা ও শব্দদূষণ । আগের তুলনায় বেড়ে যাওয়ায় ঝিলের ঠিকানা বদলে পরিযায়ী পাখি নতুন জায়গা খুঁজে নিয়েছে । তবে পরিযায়ী পাখির সংখ্যা কমে যাওয়াও ওই পাখি আসার কারণ বলে তিনি জানান । | তবে এবার ওই ঝিল ঘিরে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তােলার দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা । তাঁদের দাবি , স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি
উদ্যোগী হলে ঝিলের পাড়কে কেন্দ্র করে সীমান্তের গ্রামে নতুন পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠতে পারে । পরিকল্পনা করে । ঝিলের পাড়ের সৌন্দর্যায়নের সঙ্গে গােটা এলাকা আলাে দিয়ে সাজালে মানুষের বেড়ানাের জায়গা হবে । এতে পঞ্চায়েতের আয় বাড়বে । সাগরপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান আমজাদ খান বলছেন , ওই এলাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি । প্রথমত দিঘির পাড় দিয়ে একটি রাস্তা তৈরির জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে । আর কিছু গাছপালা লাগিয়ে সৌন্দর্যায়ন করা হবে । ” এলাকার সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি পেলে এলাকার মানুষের বিনােদনের জায়গা হবে , তেমনি কর্মসংস্থানের নতুন দিক খুলে যাবে । কচিকাঁচাদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা বলতে সেই ৭০ কিলােমিটার দূরে লালবাগ । তাই সাগরপাড়ার হাসিবুল ইসলাম , জুলফিকার আলিরা বলছেন , সৌন্দর্যায়ন , আলােকসজ্জা , বসার জায়গা এবং ঝিলের জলে বােটিংয়ের ব্যবস্থা করলেই গােটা ঝিলের চেহারা পাল্টে যাবে । পিকনিক রে আদর্শ জায়গা হতে পারে এটি । ” | তাঁদের কথায় , প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর মঙ্গলবেড়িয়া ঝিল । সরকার একটু উদ্যোগী হলে সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র হতে পারে সেখানে । রাজ্য সড়ক থেকে ঝিল পর্যন্ত রাস্তাটি সংস্কার , আলাের ব্যবস্থা করলে মানুষের ভিড় বাড়বে সেখানে । ” । | জলঙ্গির বিডিও কৌস্তভকান্তি দাশ বলছেন , “ ইতিমধ্যে সাগরপাড়া । পঞ্চায়েত বিলটিকে নতুন করে গড়ে তােলার ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে । জলঙ্গিতে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে উঠুক , আমরাও চাই । এ ব্যাপারে প্রশাসন সবরকম ভাবে সহায়তা করবে । ”

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/ItyadiNewsMsd/ 

শনিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

জলঙ্গীতে প্রকাশিত হল "কথাআঁকা" সাহিত্য পত্রিকা-এর ভাষা দিবস সংখ্যা

আবারও জলঙ্গীর ধানিরামপুরের যুবরা নজির গড়ল "কথাআঁকা" সাহিত্য পত্রিকার ভাষাদিবস সংখ্যা প্রকাশ করে।

ইত্যাদি নিউজ:উন্মোচিত হলো কথাআঁকা ভাষাদিবস সংখ্যা।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস কে কেন্দ্র করে এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমাদের এই নিবেদন।সর্বমোট ৫০পাতার এই পত্রিকায় রয়েছে বেশ কিছু কবিতা,অনুকবিতা এবং গল্প-প্রবন্ধ।

২৩শে ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বেলা ১ঘটিকায় জ্বালাঙ্গীর ধানিরামপুরে পত্রিকার মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শুরু হয় এবং গান-গল্প-আবৃত্তি-আলোচনা-সাহিত্যআড্ডা'র মাধ্যমে শেষ হয় এই দিনের অনুষ্ঠান।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অনেকেই।ছিলেন  সুরাত আলী(Surat Ali),বিষ্ণু সরকারBishnu Sarkar Bishnu's),শশাঙ্ক কুমার সরকার,বিদেশ অধিকারী(Bidesh Adhikary),শুভ্রনীল চৌধুরী,শান্তনু চক্রবর্তী,সন্দীপ কুন্ডু মহাশয় এর মত ব্যক্তিবর্গ।এছাড়াও আমন্ত্রিত দের মধ্যে ছিলেন দিব্যেন্দু হালদার(সম্পাদক,শব্দলেখা),সামিরুল মন্ডল(সম্পাদক, আরশি),সাঈদ আফ্রিদি,নয়ন শর্মা ,সাহিন আক্তার সহ অনেকেই।পুরো অনুষ্ঠানটি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করেছেন সৌরভ সরকার।
কথাআঁকা'র এই নিবেদনের সম্পাদক-পারভেজ আহমেদ,কার্যকরী সম্পাদক-সাব্বির আহম্মেদ(অপু সরকার),সভাপতি-মাফিকুল ইসলাম(Mafikul Islam),যুগ্ম সভাপতি-অনিকেত সরকার(Aniket Sarkar)।এই সংখ্যা'র প্রচ্ছদ অঙ্কন করেছেন মাননীয় গোলাম কিবরিয়া মহাশয়(Golam Kibria)।এই সংখ্যার উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন-১.কৌস্তভ কান্তি দাস(সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক,জলঙ্গি ব্লক),২.বিপ্লব কর্মকার(ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক,জলঙ্গি থানা),৩.আব্দুর রাজ্জাক(বিধায়ক,জলঙ্গি),৪.ডঃ ওমর আলী(প্রধান শিক্ষক,কুমারপুর নেসারুদ্দিন হাই মাদ্রাসা),৫.দেবাশীষ মন্ডল(শিক্ষক,নবিপুর সরলাবালা উচ্চ বিদ্যালয়),৬.ডাঃ ইমাম গাজ্জালী(জেনারেল ফিজিশিয়ন,এম.বি.বি.এস,এম.ডি)৭.শশাঙ্ক কুমার সরকার(কবি-সাহিত্যিক-সমাজসেবী),৮.কৃষনা মন্ডল(শিল্পী-সাহিত্যিক)
এছাড়াও যাদের সাহায্য পরিশ্রমে এই সংখ্যা গড়ে উঠেছে-সাহিন আলম,সাহিন আক্তার,সৌরভ সরকার,দুলাল সুর সহ অনেকেই।

এই দিন অনুষ্ঠানে জলঙ্গীর B.D.O কৌস্তভ কান্তি দাস মহাশয় বিশেষ কারণে যোগ দিতে না পারলেও,তিনি ফোনে "কথাআঁকা"-কে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়েছেন

সবশেষে কৃতজ্ঞতা লেখক ও পাঠক সমাজের প্রতি।এই সংখ্যাটি ভারতের যেকোনো প্রান্ত থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
https://www.facebook.com/ItyadiNewsMsd/

এই সংক্রান্ত আরও খবর জানতে ফেসবুক পেজ লাইক করুন facebook.com/ItyadiNewsMsd/ 


শুক্রবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

মুর্শিদাবাদের 75 জন স্টুডেন্ট খাদ্য বিষক্রিয়া হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভাইজাগ হাসপাতালে ভর্তি

ইত্যাদি নিউজ:
TARIFA MEMORIAL TEACHERS TRAING COLLEGE(হরিহরপাড়া ) এর 75 জন স্টুডেন্ট কে Berhampore এর SUBHO JATRA ট্রাভেল এজেন্সী VIZAG এ ট্যুর এ নিয়ে যাই l খাদ্যে বিষক্রিয়া হয়ে তাঁদের আজ তাঁদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতাল এ নিয়ে যাওয়া হয় l স্টুডেন্টদের দাবি এই ঘটনার জন্য SUBHO JATRA ট্রাভেল এজেন্সী দায়ী    l হাসপাতাল এ আসেন অন্ধ্রপ্রদেশ এর খাদ্যমন্ত্রী






সোমবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

'চোর ধরো, জেল ভরো’ স্লোগান তুলে রাস্তায় নামেন বামফ্রন্ট

কলকাতা: ব্রিগেড শেষের পরই কেন নাটকের অভিযান? সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে এবার সরাসরি প্রশ্ন তুললেন সূর্যকান্ত মিশ্র৷ সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও সরব হন তিনি৷ বলেন, ‘‘আপনি কেন হঠাৎ সিবিআই ধরতে গেলেন৷ আপনাদের নেতা-মন্ত্রীদের যখন ধরেছিল, তখন কেন যাননি৷’’ এদিন সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে মুখ খোলেন সূর্যকান্ত৷ বলেন, ‘‘চার বছর ধরে আপনা সময় পেলেন না, ঠিক ব্রিগেডের দিন কেন এই নাটক? এতদিন কী করছিলেন? আমরা কি কিছুই বুঝি না৷ আমরা সব দেখেছি৷’’ মুখ্যমন্ত্রীকে কঠগড়ায় তুলে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আপনিই তো চেয়েছিলেন, তদন্ত হোক৷ কিন্তু, কাল এমন কী হল, আপনাকে ছুটে যেতে হল৷’’ এদিন ব্যঙ্গ করে পেনড্রাইভ ও সারদার লাল ডাইরির প্রসঙ্গ তুলে সিবিআই ও রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করেন৷ ব্রিগেড থেকে অক্সিজেন পেয়ে সিবিআই-কলকাতা পুলিশ ইস্যুতে সোমবার পথে নামে সিপিএম নেতৃত্ব৷ দলের কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে সোমবার বিকেল পাঁচটায় মৌলালি পার্ক থেকে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়৷ চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ স্লোগান তুলে রাস্তায় নামেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান সহ সিপিএমের শীর্ষ বঙ্গ নেতৃত্ব৷ এদিন মিছিল শুরুর আগে সংবাদমাধ্যমে বিমান বসু বলেন, ‘‘তৃণমূলের ধর্নায় পুলিশ কর্তারা থাকবেন কেন? তাঁরা কী ওখানে যেতে পারেন৷ এটা কী হচ্ছে? আমরা কী বুঝি না!’’

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...