বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১

NEET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে গ্রেপ্তার ৮, ৩০-৩৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চুক্তি, বড় পর্দাফাঁস

12 সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত NEET পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস (NEET 2021 Paper Leak) এর একটি ঘটনা জয়পুরে প্রকাশিত হয়েছে।  হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পেপার ফাঁসের ঘটনায় পুলিশ আটজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।  পেপার ফাঁসের মাস্টার মাইন্ড একজন কোচিং সেন্টারের অপারেটর।  পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে 35-35 লাখ টাকার চুক্তি করা হয়।  দুদিন আগে, পুলিশ জয়পুর এবং আজমির থেকে NEET পরীক্ষায় আসল প্রার্থীদের পরিবর্তে জাল প্রার্থীদের দলকেও গ্রেফতার করেছিল।  12 সেপ্টেম্বর জয়পুরে NEET পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কিছুক্ষণ আগে, পুলিশ তথ্য পেয়েছিল যে জয়পুরের রাজস্থান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি (RIET) NEET পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে পেপার ফাঁস করার ষড়যন্ত্র চলছে।  পুলিশ তাড়াহুড়ো করে এই কেন্দ্রের ভিতরে এবং বাইরে একটি ফাঁদ তৈরি করে।

এই কেন্দ্রের ৫ নম্বর কক্ষের তত্ত্বাবধায়ক রাম সিং NEET (NEET 2021) প্রশ্নপত্র খোলার সাথে সাথেই তার ছবি তোলেন এবং তার বন্ধু পঙ্কজ যাদবকে হোয়াটসঅ্যাপ করেন। পঙ্কজ ওই প্রশ্নপত্র সিকারে সন্দীপ নামে একজনের কাছে পাঠিয়েছিলেন।  তিনি প্রশ্নপত্র লিখে ফেরত পাঠালেন।  রাম সিংহ প্রশ্নপত্র সমাধান করে পরীক্ষার্থী ধনেশ্বরী যাদবকে পরীক্ষার হলে দিলেন।  ধনেশ্বরী শুধুমাত্র এই থেকে উত্তর লিখেছেন।  কাগজপত্র ফাঁস ও টাকা আদায়ের অভিযোগে ধনেশ্বরীসহ আটজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পরীক্ষার্থী ধনেশ্বরী যাদবের চাচা অনিল যাদব আলওয়ার বাঁশুরে রাইফেল ডিফেন্স একাডেমি পরিচালনাকারী নবরতন স্বামী, প্রতিবেশীর ই-ফ্রেন্ড অপারেটর অনিল যাদব এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের প্রধান রাম সিংয়ের সঙ্গে ৩৫ লাখ টাকায় চুক্তি করেছিলেন।


 

বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিজেপি বিরোধী মুখ মমতা, ভবানীপুরে কংগ্রেস প্রার্থী দেবে না সোনিয়ার নির্দেশে

 কলকাতা ও বহরমপুর: প্রদেশ নেতৃত্বের সিংহভাগের মত ছিল ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দলের প্রার্থী দেওয়া হোক। কিন্তু জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপির বিরোধিতায় অন্যতম মুখ তৃণমূল সুপ্রিমোকে এখন কোনওভাবে চটাতে রাজি হলেন না সোনিয়া গান্ধী। তাঁর অনুমোদনক্রমে দলের হাইকমান্ড ভবানীপুরে প্রার্থী না দেওয়ার নির্দেশ দিল অধীর চৌধুরী সহ প্রদেশ নেতৃত্বকে। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর প্রথমে টেলিফোনে এবং পরে ই-মেল করে শীর্ষ নেতৃত্বের এই নিদান জানিয়ে দিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। অধীর পরে বহরমপুরে সাংবাদিকদের তা জানিয়ে দেন। তবে জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ নিয়ে বেণুগোপাল কোনও নির্দেশ জানাননি অধীরদের।

হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে অধীর এদিন জানিয়ে দেন, ভবানীপুরে আমরা মমতার বিরুদ্ধে প্রচারও করব না। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তেই এমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে। ওই কেন্দ্র নিয়ে আমাদের দলের মধ্যে দু’রকম মত তৈরি হয়েছিল। আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার হাইকমান্ডের উপর ছেড়েছিলাম রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি জানিয়ে। তারপরই সেখান থেকে প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। বিজেপিকে সুবিধা করে না দিতেই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে তারা। এই উপলব্ধি কেন বিধানসভা ভোটের সময় হয়নি তা নিয়ে অধীর কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পরে তিনি বলেন, ভবানীপুরে বামফ্রন্ট প্রার্থী দিলে দলের ভোটাররা কী করবেন তা সেখানকার কর্মীরাই ঠিক করবে। 

এদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী না দিলেও সংযুক্ত মোর্চার অন্যতম শরিক বামফ্রন্ট ভবানীপুরে সে পথে হাঁটতে চায় না। এদিন বিকেলে ফ্রন্টের বৈঠকে এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফ্রন্টের তরফে সিপিএমের তরফেই প্রার্থী দেওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তবে মেজ শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক এই আসনে লড়তে আগ্রহী। কলকাতা জেলা বামফ্রন্টের বৈঠকে সে কথা তারা জানিয়েওছে। সিপিএম অবশ্য দু-তিনজন স্থানীয় পার্টি কর্মীর কথা ভেবে রেখেছে। আজ-কালের মধ্যে তা চূড়ান্ত হবে। দলের নেতা সুজন চক্রবর্তীও ভবানীপুরে বাম প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারটি চূড়ান্ত বলে জানান। এদিন ফ্রন্টের বৈঠকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বজায় রেখেই এই তিন কেন্দ্রের নির্বাচনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত করে ফ্রন্ট নেতৃত্ব। তবে তা নিয়ে বৈঠকে তিক্ততা তৈরি হয় ফরওয়ার্ড ব্লকের নেতৃত্বের অবস্থান ঘিরে। কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে বা সংযুক্ত মোর্চার ব্যানারে ভোটে লড়লে তারা তাতে অংশ নেবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয় এদিন। এনিয়ে বৈঠক গরম হলে দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায় ও অপর নেতা হাফিজ আলম সাইরানি মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। 

 এদিকে, আজ বুধবার থেকেই ভোটের প্রচারে নেমে পড়ছেন মমতা। চেতলার অহীন্দ্র মঞ্চে কয়েকজন শীর্ষ নেতার উপস্থিতিতে তিনি প্রথম কর্মিসভা করবেন আজ। দলের নেতৃত্ব এবারের ভোটে মমতার রেকর্ড মার্জিনে জয় নিয়ে আগাম নিশ্চিত রয়েছে। এই অবস্থায় দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, বিজেপিকে ঠেকানোর ইস্যুতে কংগ্রেস ও বামেদের এই ভোটে প্রার্থী দেওয়া উচিত নয়। গত ভোটের প্রেক্ষিতে তাদের সেই শিক্ষা নেওয়া দরকার। এদিন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মমতার সমর্থনে দেওয়াল লেখেন।

পুজো কমিটিগুলিকে এবারও ৫০ হাজার, ছাড় বিদ্যুৎ বিলে

 

: বাঙালির শ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গাপুজোর সঙ্গে রাজ্য সরকারের সম্পৃক্ত হওয়ার ধারাবাহিকতা এবারও বজায় রইল। মহাপুজোর আনন্দকে সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে রাজ্যের ৩৬ হাজার পুজো উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াল সরকার। এই তালিকায় রয়েছে মহিলা পরিচালিত ১ হাজার ৫০০ পুজোও। গতবারের মতো এবারও পুজো উদ্যোক্তাদের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থ সাহায্য করা হবে বলে মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সঙ্গে মিলবে বিদ্যুৎ বিলে ৫০ শতাংশ ছাড়। এমনকী দমকল, পুরসভা বা পঞ্চায়েত থেকে পুজোর অনুমতি নিতে আবশ্যিক যে ‘ফি’ ধার্য হয়, তা মকুব এবারও। সব মিলিয়ে গতবার কোভিড পর্বে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে গোটা দেশের সামনে তুলে ধরতে যে উদ্যোগ নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার, তা এবারও বহাল থাকল। 

মুর্শিদাবাদের দুই আসনের সাধারণ নির্বাচনের সঙ্গে ভবানীপুর কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে কমিশন। ভবানীপুরের প্রার্থী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। দিন ঘোষণার সঙ্গেই চালু হয়েছে নির্বাচনী বিধি। প্রতিশ্রুতি বিলিবণ্টন করার ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কমিশন। সেই নিষেধাজ্ঞা অক্ষরে অক্ষরে মেনেছেন মমতা। পুজো নিয়ে সরকারের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় ঘোষণা এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের মঞ্চ থেকে করেছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সভাস্থলে তখন ছিলেন না ভোট প্রার্থী-মুখ্যমন্ত্রী। পরে এসেছেন। আর বলেছেন, ‘ভোটের পর এই সভাটা করলে দেরি হয়ে যেত। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি নিয়ে এই মিটিং করা হচ্ছে।’ তাঁর কথায়, ‘নতুন কোনও ঘোষণা নয়, যা ছিল গতবার, বলবৎ থাকল এবারও।’ ভোট পর্বে রাজনীতিটা জরুরি! আর তাই মুখ্যমন্ত্রীর এই নিপাট সহজ বক্তব্যকে ‘বিধিভঙ্গে’র তকমা দিয়ে নির্বাচন কমিশনে ছোটাছুটি শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। 

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা নিয়ে মহাপার্বণ পালন। এই পর্বে যে যাবতীয় কোভিড প্রোটোকল মানতে হবে, তা ফের স্মরণ করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কোভিড সচেতনতার সঙ্গেই দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে উদ্যোক্তাদের। রাতের দিকে যেহেতু দশর্নার্থী বেশি হয়, তাই সেই সময় বিধিনিষেধে কতটা ছাড় দেওয়া যায়, সেটা আমরা অবশ্যই ভাবব।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন পর্ব চলবে। কোভিড পরিস্থিতি ঠিক থাকলে, ১৮ অক্টোবর দুর্গা কার্নিভাল করা যায় কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।’ 

কলকাতা তথা রাজ্যের দুর্গাপুজো ক্রমেই সমাদৃত হচ্ছে বিশ্ব আঙিনায়। সেই নিরিখে মমতা বলেন, ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইআইটি খড়্গপুর ও কুইন মেরি ইউনিভার্সিটি পুজো নিয়ে একটা সমীক্ষা করেছিল। তারা দেখেছিল, পুজোকে কেন্দ্র করে বাজারে অর্থের জোগান বাড়ে। ৩২ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকার ব্যবসা হয়। সামগ্রিক অর্থেই পুজোকে বিশ্বের এক নম্বর উৎসব বলে আমি মনে করি।’ এই প্রসঙ্গেই ইউনেস্কোর কাছে মুখ্যমন্ত্রীর আর্জি—মানবতা ও সংস্কৃতির এই মহান পরবকে ‘বিশ্ব উৎসব’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...