আচমকাই বনধ (Bengal Strike) ডেকেছে বামেরা। তার জেরে শুক্রবার সকাল থেকে চরম ভোগান্তির মুখে পড়তে হল পরীক্ষার্থীদের। কোথাও রেল অবরোধ, কোথাও আবার আটকানো হয়েছে বাস, অটো। উদ্বেগে-আশঙ্কায় কোথায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তাঁরা। আবার কোথায় কিনারা খুঁজে না পেয়ে কেঁদে ভাসালেন। অন্যদিকে এদিন থেকেই আবার রাজ্যে স্কুল খুলেছে। কিন্তু একাধিক জায়গায় স্কুল অবধি পৌঁছতেই পারেনি পড়ুয়ারা। স্কুলের সামনে বনধ সমর্থনকারীদের পিকেটিংয়ের কারণে ফিরেও যেতে হয়েছে কোথাও।
বামেদের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধের জেরে সকাল থেকেই হুগলির পাণ্ডুয়া স্টেশনে আপ ও ডাউন লাইনে রেল অবরোধ চলে। তার জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন বহু পরীক্ষার্থী। স্টেশনে দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কেঁদে ফেললেন কেউ কেউ। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। এক পরীক্ষার্থীর কথায়, যে শিক্ষার দাবিতে বৃহস্পতিবার পথে নেমেছিল বাম যুবরা। শুক্রবার সেই শিক্ষার্থীদেরই চরম নাকাল হতে হল বনধের জেরে। ওই পরীক্ষার্থী বর্ধমানে যাচ্ছিলেন। আইটিআই কলেজে প্র্যাক্টিকাল পরীক্ষা রয়েছে তাঁর।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের এদিন চৌপথিতে অবরোধ করেন বনধ সমর্থকরা। রীতিমতো রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান বাম কংগ্রেস কর্মীরা। এর জেরে আটকে পড়ে একের পর এক বাস। এদিন আবার আইটিআই ও ইগনুর পরীক্ষা। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোই চ্য়ালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায় পরীক্ষার্থীদের কাছে।
এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা। একদিকে যেমন বনধ সমর্থনকারীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, একইভাবে সরকারি সহযোগিতা না পাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। যদিও পরে যুব কংগ্রেসের কর্মীরা এগিয়ে আসেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। তাঁদের ব্যবস্থা করা বাসেই কোচবিহারে পরীক্ষা দিতে যান পরীক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে চুঁচু্ড়ার দেশবন্ধু স্কুলের সামনে এসএফ আইয়ের পিকেটিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ছাত্রদের স্কুলে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। প্রায় ১১ মাস পর এদিন স্কুল খুললেও বাধ্য হয়েই বাড়ি ফিরে যেতে হয় তাদের। শিলিগুড়ি গার্লস স্কুলেও বনধ সফল করাতে বনধ সমর্থক পৌঁছে যায় বলে অভিযোগ। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রবল তর্কাতর্কি হয়। পরে বনধ সমর্থকদের বের করে দেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। যদিও এ নিয়ে এসএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, কোথাও কোনও জোরাজুরি করা হয়নি। মানুষকে আবেদন করা হয়েছিল। অনেকেই সে ডাকে সাড়া দিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন