মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ইভাঙ্কার সিল্কের শেরওয়ানিতে রইল মুর্শিদাবাদের ছোঁয়া

ঝকঝকে সাদা জাম্পস্যুটে গতকালই মাত করেছিলেন মার্কিন ফার্স্টলেডি মেলানিয়া। ভারত সফরের দ্বিতীয় দিনে তাঁকেই অনুসরণ করলেন ট্রাম্প কন্যা ইভাঙ্কা। তবে পশ্চিমী পোশাক নয়, মঙ্গলবার একেবারে ভারতীয় পোশাকে ক্যামেরার সামনে ধরা দিলেন তিনি। আজ তিনি যে শেরওয়ানি পরেছিলেন তাতে ছিল এ রাজ্যের ছোঁয়া।


রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ এবং তাঁর স্ত্রী সবিতা কোবিন্দ এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে ট্রাম্প পরিবারকে স্বাগত জানান। সেখানে যাওয়ার জন্য অনিতা দোঙ্গরের তৈরি বন্ধ গলা, সাদা শেরওয়ানি বেছে নেন ইভাঙ্কা। তবে দুধসাদা নয়, এ দিন ক্রিস্‌প হোয়াইট রঙ বেছে নেন তিনি।

মুর্শিদাবাদের শিল্পীদের হাতে বোনা সিল্ক দিয়ে ইভাঙ্কার জন্য ওই শেরওয়ানি তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিজাইনার অনিতা দোঙ্গরে। তিনি বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ থেকে আনা হাতে বোনা সিল্ক দিয়ে ইভাঙ্কার জন্য ওই পোশাক তৈরি করেছি আমরা। ২০ বছর আগে শেরওয়ানির এই ডিজাইন তৈরি করি আমরা, তবে আজকের দিনেও তা প্রাসঙ্গিক।’’

সোমবার ফ্লোরাল প্রিন্টের ফ্রকের সঙ্গে মানানসই স্টিলেটো পরেছিলেন ইভাঙ্কা। তবে এ দিন হাই-হিলের ধার মাড়াননি তিনি। তার বদলে বেছে নিয়েছিলেন অল্প উঁচু পয়েন্টেড টো হিলস। সঙ্গে গাঢ় খয়েরি লিপস্টিক এবং মানানসই মেকআপ। গতকালের মতো এ দিনও চুল খোলাই রেখেছিলেন ইভাঙ্কা।

তবে স্ত্রী ভারতীয় পোশাক বেছে নিলেও, দ্বিতীয় দিনেও সাদা শার্ট, খয়েরি টাই এবং গাঢ় নীল রঙের কোট-প্যান্ট বেছে নিয়েছিলেন ইভাঙ্কার স্বামী জ্যারেড কুশনার।

সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

মুম্বইয়ে প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল,মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬১

প্রয়াত অভিনেতা তাপস পাল। ভোররাতে মুম্বইয়ের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু। বয়স হয়েছিল ৬১ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে স্নায়ুর রোগে ভুগছিলেন এই অভিনেতা। কথা বলা ও চলা-ফেরায় সমস্যা ছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বান্দ্রার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিনি ভেন্টিলেশনে ছিলেন। ৬ ফেব্রুয়ারি ভেন্টিলেশন থেকে বের করা হয়। গতকাল রাতে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন তাপস পাল। রাত ৩টে ৩৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।

১৯৫৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর হুগলির চন্দননগরে জন্ম তাপস পালের। ছোটবেলা থেকেই অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ। কলেজে পড়াকালীন নজরে পড়েন পরিচালক তরুণ মজুমদারের। ২২ বছর বয়সে মুক্তি পায় প্রথম ছবি ‘দাদার কীর্তি’। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাপস পালকে। একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। উল্লেখযোগ্য ছবিগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সাহেব’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘ভালোবাসা ভালোবাসা’। ‘সাহেব’ ছবির জন্য পান ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার। বাংলার পাশাপাশি তাপস পাল অভিনয় করেছেন হিন্দি ছবিতেও। মাধুরী দীক্ষিতের বিপরীতে অভিনয় করেন ‘অবোধ’ ছবিতে।
পরে রাজনীতিতে আসেন তাপস পাল। ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ হন। নাম জড়ায় চিটফান্ডকাণ্ডেও। ২০১৬-র ডিসেম্বরে রোজভ্যালিকাণ্ডে তাপস পালকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ২০১৮-র ফেব্রুয়ারিতে রোজভ্যালি মামলায় তিনি জামিন পান।

বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

দেশজুড়ে ঝাড়ু ঝড়, ২৪ ঘণ্টায় আপে যোগ দিলেন ১১ লাখ নতুন সদস্য

 এযেন এক নিঃশব্দ বিপ্লবের গল্প! ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর রাতারাতি বিজেপির সদস্য সংখ্যা বেড়েছিল কয়েকগুণ। এবার আপে সেই জোয়ার। দিল্লির তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরার পরই আপে যোগ দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। দলের টুইটার হ্যান্ডেলে দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় আম আদমী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন ১১ লাখ সদস্য। প্রসঙ্গত, দলের ব্যানারে একটি মোবাইল নম্বর দেওয়া ছিল। তাতে মিসড কল দিলেই আপে যোগ দেওয়া যাবে। তাতেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে।
https://twitter.com/AamAadmiParty/status/1227805028917731329?s=20


1,018 people are talking about this
এ প্রসঙ্গে পরপর কয়েকটি টুইট করে আপ। তাতেই নিজেদের সাফল্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন তাঁরা। প্রথম টুইটটিতে আপ লেখে, “আমাদের বিপুল জয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১ মিলিয়নের বেশি সদস্য আপে যোগ দিয়েছেন।” হিন্দিতে আরও একটি টুইট করা হয়। তাতে তিনি লেখেন, জয়ের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সারা দেশ থেকে ১১ লাখ সদস্য আপ যোগ দিয়েছেন।”

২০১০-১৫, ২০১৫-২০, দুই দফায় রাজধানীর রাজ্যপাট সামলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃ্ত্বাধীন আম আদমি পার্টি। ২০১৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৭০ এর মধ্যে ৬৭টি আসন নিয়ে সরকারে বসেছিল আপ। মাত্র ৩ জন বিজেপি বিধায়ক কার্যত কোণঠাসা ছিলেন। এবারের ভোটে বিজেপির সেই অবস্থার কিঞ্চিৎ উন্নতি হয়েছে। তিন থেকে বেড়ে ৭ হয়েছে তাদের বিধায়ক সংখ্যা। তবে হাই প্রোফাইল কেন্দ্রগুলিতে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, স্রেফ অন্ধ বিরোধিতা নয়, আপের উন্নয়নের জেরেই দিল্লি জয় করেছেন কেজরিওয়াল। এবার সেই মডেলই দেশবাসীর যে মন মজেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

জলঙ্গী নদীকে বাঁচাতে সেভ জলঙ্গীর আহব্বানে কৃষ্ণনগরে মানববন্ধন

ভেনডেন ব্রুক তাঁর লেখায় দ্য গলগ্যাটসি স্প্রুইস বলেছেন। আদ্যন্ত নদিয়ার নদী জলঙ্গি ছিল নদিয়ার প্রধান বাণিজ্য পথ আর সেটাই তার কাল হয়েছিল। ব্রিটিশ শাসকেরা নদীর বাঁক ছেঁটে বাণিজ্যপথ আরও প্রশস্ত করতে নদীর মৃত্যুর পথটাই বেশ কিছুটা প্রশস্ত করে দিয়েছিল। মানুষের লোভ আর প্রশাসকের উদাসীনতা এই দুইয়ে মিলে একটু একটু করে হারিয়ে যেতে বসেছে জলঙ্গি নদী।

যার মূল দৈর্ঘ্য ২২০.৫ কিমি, যার মধ্যে ৪৮ কিমি আজ আর নেই। কোথাও চাষের জমি তো কোথাও রাজ্যসড়ক খেয়ে ফেলেছে জলঙ্গিকে। অবশিষ্ট ১৭২.৫ কিমিও বড় বিপন্ন। বিশেষ করে ইটভাটা, মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, উন্নয়নমূলক নির্মাণ এবং অত্যধিক পরিমাণে নদী থেকে জল তুলে নেওয়া–এইসবের কারণে নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে চলেছে জলঙ্গি । কিছুদিন ধরেই জলঙ্গিতে পলি জমা, কচুরিপানায় ভরতি হওয়া, কালো রঙের জলে দুর্গন্ধ, মাছের মৃত্যু ঘিরে জেলাজুড়ে মৎস্যজীবী, কৃষিজীবী থেকে নদিয়াবাসী এক ঘোরতর সমস্যার সম্মুখীন।

বিষয়টি যে প্রবল উদ্বেগের, সে কথা প্রশাসনিক কর্তারাও স্বীকার করছেন। এ হেন জলঙ্গির কঙ্কালসার শরীরকে সুস্থ করার জন্য বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টে পৌরসভা থেকে পোস্ট অফিস মোড় ‘সেভ জলঙ্গী’র উদ্যোগে নদীকে বাঁচাতে, প্লাস্টিক বর্জন করতে, সমাজ কর্মীদের ওপর আক্রমনের প্রতিবাদে হলো মানববন্ধন। এই অনুষ্ঠানে কৃষ্ণনগর ও কৃষ্ণনগরের বাইরের অনেক পরিবেশ সংগঠন অংশ নেন। ব্যাক্তিগত স্বার্থে নয়, শহরের স্বার্থে আসুন, শহর ভালোবেসে আসুন। এই শহরটা আমাদেরও।প্রতিবাদে সামিল ছিলো ৮ থেকে ৮০ বছর বয়সের প্রত্যেক স্তরের মানুষ। জলঙ্গী বাঁচাতে ও প্লাষ্টিক বর্জন করতে শহরের সকল মানুষ হাতে হাত ধরে মানববন্ধনে অংশ নেয়। চলে পথ নৃত্য, পরিবেশ কর্মীদের বক্তব্য পাঠ। মানববন্ধনে শহরের মানুষের অংশগ্রহন চোখে পড়ার মতো।


বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

এবার তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে পশ্চিমবঙ্গকে টার্গেট করল আপ! জোর জল্পনা!

রাজনীতিতে সব সম্ভব। কখন কে কার বিরোধী, আর কে কার পক্ষে থাকবে, তা বলতে পারবেন না কেউ। জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে কুপোকাত করতে, তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতার সুসম্পর্কের কথা কারোরই অজানা নয়। সম্প্রতি দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের ফলাফল বেরোনোর সাথে সাথে জয়ের জন্য সেই দিল্লির অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।কিন্তু এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যেই কি পা রাখতে চলেছে আম আদমি পার্টি!

জানা গেছে, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলায় লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে দিল্লির শাসক দল। যা নিয়ে এখন নানা মহলে ছড়িয়ে পড়েছে জল্পনা। অনেকে বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি কুপোকাত করতে তৈরি। কিন্তু সেদিক থেকে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বন্ধু অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দল পশ্চিমবঙ্গে লড়াইয়ের জন্য যদি তৈরি হয়, তাহলে সেই লড়াই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে করতে হবে। সেদিক থেকে ভোট কাটাকাটিতে বিজেপির অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

কিন্তু যখন বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো হাতে হাত বাঁধার চেষ্টা করছে এবং বিজেপিকে কুপোকাত করার চেষ্টা করছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে এখানে কি আম আদমি পার্টি দেবে! এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের আম আদমি পার্টি রাজ্য ইউনিটের সম্পাদক জর্জ গোমস বলেন, “সংগঠন নেই বলে শুধু অজুহাত দিলে চলে না। লোকবল, অর্থবল নেই এসব বললে হয় না। আমরা মনে করি, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। দিল্লির ভোটের ফলাফলে তা আরও বাড়ল। সেজন্য আমরা কিছু আউটলাইন পরিকল্পনা করেছি।যদিও সেগুলি প্রাথমিক স্তরে আছে। সব ঠিক মত চললে আমরা 2021 এর বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দিতায় যেতে পারব। এবছর পৌরসভা লড়ব। আমাদের প্রথম লক্ষ্য হাওড়া পৌরসভা। পাশাপাশি যে পৌরসভাগুলোতে লড়াই করা সম্ভব, সেখানে আমরা প্রার্থী দেব।”

কিন্তু যেখানে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সখ্যতা রয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের, সেখানে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে এসে লড়াই করার ব্যাপারে কি রাজি হবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী! এদিন এই প্রসঙ্গে আম আদমি পার্টির পশ্চিমবঙ্গে ইউনিটের সম্পাদক জর্জ গোমস বলেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝাপড়া রয়েছে, তা সঠিক নয়। কিন্তু যারা ধর্মীয়, সংকীর্ণ এবং সংখ্যাগুরু ভোটের রাজনীতি বা শর্টকাট রাজনীতিতে বিশ্বাস করে, আমরা তাদের সঙ্গে থাকতে পারি না। এদের বাদ দিয়ে বাকি নেতৃত্বের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সম্পর্ক ভালো‌। ইস্যুভিত্তিক সমর্থন হতেই পারে।” রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, যদি পৌরসভা ভোটে সত্যি সত্যি আম আদমি পার্টি প্রার্থী দেয়, তাহলে তারা কিছু ভোট নিজেদের দিকে টানবে। আর পরবর্তীতে পৌরসভার পর যদি বিধানসভাতেও এই আম আদম পার্টির লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হয়, তাহলে ভোট কাটাকাটিতে তৃণমূলের অস্বস্তি অনেকটাই বাড়বে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

অসমের এনআরসি তালিকা গায়েব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি যান্ত্রিক ত্রুটি

অসমের এনআরসি তালিকা গায়েব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি যান্ত্রিক ত্রুটি

সূত্রের খবর, যে সার্ভারের আওতায় এই সব তথ্য রাখা হয়েছিল সেই সার্ভারের সাবস্ক্রিপশন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তা রিনিউ না করায় তথ্য গায়েব হয়ে গিয়েছে। এই সার্ভারকে পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একবার সার্ভার চালু হয়ে গেলেই ফের সেই তথ্য দেখা যাবে বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

গত বছর অগস্ট মাসে অসমের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি তালিকা প্রকাশ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস ( এনআরসি ) ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখা যাচ্ছিল এই তালিকা। সেই তালিকা গায়েব হয়ে গিয়েছে ওয়েবসাইট থেকে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটে গেলে আর কোনও তালিকা দেখা যাচ্ছে না। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, যান্ত্রিক ত্রুটির ফলেই এই তালিকা এই মুহূর্তে দেখা যাচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানের কাজ করা হচ্ছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা ঠিক করা হবে।
জানা গিয়েছে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের হয়ে এই তথ্যকে তালিকা আকারে প্রকাশ করার দায়িত্ব ছিল উইপ্রোর। কিন্তু এই ঘটনার পরে উইপ্রোর সঙ্গে চুক্তি ছিন্ন কর‍তে চাইছে এনআরসির কাজে যুক্ত আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় মোদী সরকারের দিকেই আঙুল তুলেছে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, কোনও বিশেষ অভিসন্ধি থেকেও এই কাজ হয়ে থাকতে পারে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরে এই এনআরসি তালিকায় কারা অন্তর্ভুক্ত ও কারা অন্তর্ভুক্ত নন, তার পুরো তালিকা অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ‘www.nrcassam.nic.in’-এ আপলোড করে এনআরসি কমিটি। গত বছর ৩১ অগস্ট এই তালিকা প্রকাশ করা হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার তরফে এই তালিকায় সম্মতি দেওয়া হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যেই সেই সম্মতি নিয়ে ফাইনাল তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল। তার আগেই এই ঘটনা ঘটল।
প্রাথমিকভাবে যে এনআরসি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে ১৯ লক্ষের বেশি মানুষের নাম বাদ পড়ে। কিন্তু কেন্দ্র জানিয়েছিল, যাঁদের নাম এই তালিকায় নেই, তাঁদের সব তথ্য দেখে ও আইনি কাজকর্মের পরেই তাঁকে বিদেশি বলা যাবে, তার আগে নয়।
এই তথ্য গায়েব হওয়ার পর অসম বিধানসভার বিরোধী নেতা দেবব্রত সাইকিয়া রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে চিঠি লিখে এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “হঠাৎ করে সব তথ্য এভাবে গায়েব হয়ে যাওয়া একটা রহস্য। এখনও পর্যন্ত এই তালিকা নিয়ে অনেক মানুষের অনেক অভিযোগ রয়েছে। এই তালিকা আধিকারিকদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তাই কি এভাবে তথ্য গায়েব হল?” দেবব্রতবাবু আরও বলেন, “আর সেই কারণেই এই তথ্য গায়েব হওয়ার পর প্রশ্ন উঠছে। এই এনআরসি তালিকার বিরুদ্ধে আবেদন শুরু হওয়ার কথা ছিল। তার ঠিক আগেই এই ঘটনা ঘটল। এগুলো কি সব কাকতালীয়। না এর পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পর্যন্ত অবমাননা করা হচ্ছে।”
সূত্রের খবর, যে সার্ভারের আওতায় এই সব তথ্য রাখা হয়েছিল সেই সার্ভারের সাবস্ক্রিপশন শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও তা রিনিউ না করায় তথ্য গায়েব হয়ে গিয়েছে। এই ঘটনার পর উইপ্রোর দিকেই আঙুল তুলেছেন এনআরসি আধিকারিকরা। তাই উইপ্রোর সঙ্গে আর চুক্তি বাড়াতে চান না তাঁরা। এই সার্ভারকে পুনরায় চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। একবার সার্ভার চালু হয়ে গেলেই ফের সেই তথ্য দেখা যাবে বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা।
সার্ভার মেরামত হয়ে যদি এনআরসি তালিকা ফের দেখাও যায়, তাও এই ঘটনার পর কেন্দ্রের মোদী সরকারের দিকেই আঙুল তুলছেন বিরোধীরা। এই ঘটনায় চিন্তায় রয়েছেন অসমের মানুষও। ইতিমধ্যেই এই এনআরসি তালিকাতে দেখা গিয়েছে, একই পরিবারের কারও নাম আছে, তো কারও নেই। এরপর যদি আবার কিছু গণ্ডগোল হয়, সেই আতঙ্কেই রয়েছেন অসমবাসী।

শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

অপরাধে রাশ টানতে জলঙ্গী ভেঙে সাগরপাড়া নয়া থানা,আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি নতুন থানার উদ্বোধন

বহরমপুর : জলঙ্গীতে অপরাধমূলক ঘটনার রাশ টানতে এমাসেই আরও একটি থানা চালু হচ্ছে । সব কিছু ঠিক থাকলে ৫ ফেব্রুয়ারি সাগরপাড়ায় নতুন থানার উদ্বোধন হবে । থানার ভবন তৈরির কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে । পুলিস সুত্রে জানা গিয়েছে , জলঙ্গিকে ভেঙে দু ' টি থানা তৈরির পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের অনেক আগে থেকেই ছিল । সেই মতাে বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু হয় । থানা আগেই চালু হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায় । কিন্তু , সম্প্রতি জলঙ্গি থানা এলাকায় বাইরের বিভিন্ন শক্তি উস্কানি দিয়ে অশান্তি পাকানাের চেষ্টা করায় প্রশাসন আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না । বুধবার সাহেবনগরে বড় অশান্তি হয়েছে । জলঙ্গি থানা এলাকা অনেকটা বড় হওয়ায় সব জায়গায় পুলিসের নজরদারি চালানাে সম্ভব হচ্ছিল না বলে আধিকারিকদের দাবি । নতুন থানা চালু হয়ে গেলে পুলিস আরও ভালােভাবে কাজ করতে পারবে বলে আধিকারিকদের মত । মুর্শিদাবাদের পুলিস সুপার অজিত সিং যাদব বলেন , সাগরপাড়ায় দ্রুত থানা চালু হয়ে যাবে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে , সীমান্ত লাগােয়া এলাকা হওয়ায় চোরাচালানের রমরমা এখানেই তা ঘিরেই এখানে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে এলাকা । যখন যারা দখলে থাকে তখন সে চোরাচালানের গণস নিয়ন্ত্রণ করে । চোরা চালান কারবারিদের পাশাপাশি এবার ভিন রাজ্যের বিভিন্ন সংগঠন এখানে মাথা তােলার চেষ্টা করছে । তারফলে পরিস্থিতি আরও ঘােরালাে হতে শুরু করেছে । জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন , সাগরপাড়ায় অনেক আগেই থানা তৈরির দরকার ছিল । স্থানীয় লােকজনও এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে দীর্ঘদিন ধরেই নতুন থানার দাবি জানিয়ে আসছেন । থানা চালু হয়ে গেলে এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন । প্রসঙ্গত , মুর্শিদাবাদ জেলায় এখন মােট ২৭টি থানা রয়েছে । সাগরপাড়ায় থানা চালু হলে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াবে ২৮ । কোন কোন পঞ্চায়েত এলাকা নিয়ে এই থানা । গঠিত হবে তা দু ' - একদিনের মধ্যেই ঘােষণা হয়ে যাবে বলে পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে ।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...