আগেরদিন রোহিত শর্মা যদি ভারতের জয়ের নায়ক হন তাহলে এদিন সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে ভারতকে জেতালেন চারজন। প্রথমে ব্যাট হাতে শ্রেয়স আইয়ার ও লোকেশ রাহুলের ব্যাটিং ও তারপর বল হাতে দীপক চাহার ও শিবম দুবের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সিরিজ পকেটে পুড়ল ভারত। মাত্র ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিলেন চাহার। তারমধ্যে হ্যাটট্রিক নিলেন তিনি। একাই লড়লেন তরুণ মহম্মদ নঈম। কিন্তু পারলেন না। অভিজ্ঞতায় বাজি মারলেন রোহিত শর্মারা। প্রথম ম্যাচে হেরেও পরের দু’ম্যাচ জিতে টি ২০ সিরিজ জিতল টিম ইন্ডিয়া।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহমুদুল্লাহ রিয়াধ। প্রথমেই রোহিত শর্মার উইকেট হারায় ভারত। কিন্তু তারপর পার্টনারশিপ গড়েন শিখর ধাওয়ান ও লোকেশ রাহুল। প্রথমে হাত খুলে খেলা শুরু করেন ধাওয়ান। ১৯ রান করে আউট হন তিনি। তারপর রাহুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শ্রেয়স আইয়ার। এই জুটিই ভারতের রান সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। দারুণ ছন্দে খেলছিলেন দু’জন। ৩৩ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রাহুল। তারপরেই বড় শট খেলতে গিয়ে ৫২ রান করে আউট হন তিনি।
অন্যদিকে নিজের ব্যাটিং ঝড় জারি রাখেন শ্রেয়স। মনীশ পাণ্ডেকে সঙ্গে নিয়ে ভারতের রান দেড়শ পার করেন তিনি। মাত্র ৩৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলেন শ্রেয়স। মনীশ পাণ্ডেও করেন ২২ রান। ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ তোলে ভারত।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। পরপর দু’বলে চাহারের শিকার হন লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। কিন্তু একদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলছিলেন নঈম। মহম্মদ মিঠুনের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েন তিনি। যখনই দেখে মনে হচ্ছিল এই পার্টনারশিপ ভারতের জন্য ভয়ের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে তখনই ফের চাহারের হাতে বল তুলে দেন রোহিত শর্মা। মিঠুনকে ২৭ রানের মাথায় আউট করেন তিনি। খাতা না খুলেই ফিরে যান প্রথম ম্যাচের হিরো মুশফিকুর রহিম।
একাই লড়ছিলেন নঈম। হাফসেঞ্চুরি করেন তিনি। কিন্তু তাঁর লড়াই কাজে এল না। ৪৮ বলে ৮১ করে শিবম দুবের বলে আউট হন তিনি। তারপর সব দায়িত্ব ছিল অধিনায়ক মেহমুদুল্লাহর হাতে। কিন্তু চাহালের ৫০তম শিকার হন মেহমুদুল্লাহ। তিনি আউট হতেই বাংলাদেশের সব আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ১৪৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ৩০ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ৩.২ ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেন চাহার। তারমধ্যে রয়েছে একটি হ্যাটট্রিক। টি ২০ ক্রিকেটে সবথেকে ভাল বোলিং ফিগার হল চাহারের। শিবম দুবে নেন ৩ উইকেট।
দিল্লিতে প্রথম ম্যাচ জিতে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজ জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তারপর রাজকোট ও নাগপুরে পরপর দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিজেদের পকেটে পুড়ল রোহিত শর্মার ভারত। তবে সিরিজ জিতলেও ঋষভ পন্থের ফর্ম চিন্তায় রাখবে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন