আলোর রোশনাইয়ের সঙ্গে সানাই বাজছে। গোটা বাড়িতে হইহই। নববধূও সেজেগুজে নিজের আসনে। আর অতিথি আপ্যায়নে ব্যস্ত সদ্য বিবাহিত সৌম্য। হঠাৎ বৌভাত বাড়িতে সদলবলে হাজির পুলিশ।
আনন্দ মাথায় তখন সবার। একে অন্যের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। পুলিশ কেন! সিনেমায় এমন অনেক ঘটনা ঘটে। কিন্তু বাস্তবে পুলিশ দেখে অনেকেই ঘাবড়ে যান।
পুলিশও কারও সঙ্গে কোনও কথা না বলে সোজা সিঁড়ি দিয়ে উঠে চলে যান নববধূর কাছে। বাড়ির লোকেরা ডেকে আনেন সৌম্যকে। নবদম্পতিকে পাশপাশি দাঁড় করায় পুলিশ। গোটা বাড়ি তখন যেন টানটান থ্রিলার দেখছে। এরপর পুলিশের পক্ষ থেকে নবদম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুলের তোড়া। আর বাক্স থেকে বার করে উপহার দেওয়া হয় এক জোড়া হেলমেট।
বীরভূম ট্রাফিকের পক্ষ থেকে এমনই অভিনব কায়দায় সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফের প্রচার সারা হয় শনিবার। ঘটনাটি বীরভূমের সিউড়ির কালিপুরের। উত্তরপাড়ার সায়ন্তীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সিউড়ির সৌম্যর। নবদম্পতিও পুলিশের এমন কাণ্ডে অবাক।
সৌম্য বলেন, “পুলিশের সারপ্রাইজ ভিজিটে হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফের জন্য পুলিশের এমন উদ্যোগ অভাবনীয়। পুলিশের কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে আমি খুব খুশি এবং প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যখনই বাইক নিয়ে বের হবো নিজে অথবা স্ত্রীকে নিয়ে অবশ্যই হেলমেট পড়বো দুজনে।”
নববধূ সায়ন্তী জানান, “উপহার হিসেবে আজ হেলমেট পেলাম পুলিশের থেকে। বাইকে যাতায়াতের সময় এটি খুবই প্রয়োজন নিজেদের সুরক্ষার জন্য। আমি তো আমার স্বামীকে বলবো বাইক চালানোর সময় সব সময় হেলমেট ব্যবহার করতে।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন