রবিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৯

মুর্শিদাবাদে ইউনিভার্সিটি হয়নি, লোকসভায় ইস্যু করছে না তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি কোন রাজনৈতিক দলই

 মুর্শিদাবাদ: ৭৫ লক্ষ জনসংখ্যা বিশিষ্ট মুর্শিদাবাদ জেলায় নেই বিশ্ববিদ্যালয়। ভোটের আগে বুলি আউড়ালেও এবারের লোকসভায় তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি বামফ্রন্ট কোনো রাজনৈতিক দলেরই ইশতেহারে উঠে আসেনি মুর্শিদাবাদে বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ! স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই কি নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গলা ফাটাচ্ছে?
      উল্লেখ্য, ৭৫ লক্ষ জনসংখ্যা বিশিষ্ট মুর্শিদাবাদ জেলায় একটিও পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় নেই। দীর্ঘদিন ধরে জেলাবাসী আন্দোলন করে আসলেও  জেলার শিক্ষা আন্দোলন নিয়ে সরকারের কোনো  ভ্রূক্ষেপ নেই। ছাত্র আন্দোলনের চাপে পড়ে ২০১৮ সালের ২৮ শে ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষণা দিলেও এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থেই কি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘোষনা দিয়েছিল সরকার? জেলার প্রতি সরকারের এই দ্বিচারিতায় ক্ষুব্ধ জেলার আপামর জনতা। জলঙ্গী থেকে ফারাক্কা জেলার সর্বত্রই জনতা চাইছেন প্রতারক তৃণমূল, কংগ্রেস, বিজেপি, সিপিআইএম কে উচিত শিক্ষা দিতে।
        জঙ্গিপুরের এক বাসিন্দা মোবারক কারীম জানান, আমাদের সাথে প্রতারনা করার জন্যই সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে টালবাহানা করছে। সব দল ভোটের আগে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে চেঁচামেচি করলেও নির্বাচনী ইশতেহারে বিশ্ববিদ্যালয় করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কেউই রাখেনি। যা দুর্ভাগ্যজনক। ডোমকলের আব্দুস সাত্তার, ফারাক্কার শহিদুল আলম, বহরমপুরের প্রবীর চৌধুরী সকলেরই মত, জেলাবাসীকে ৭০ বছর থেকে বঞ্চিত করে রেখে জেলাবাসীর সাথে
প্রতারনা করছে সব রাজনৈতিক দল।

শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯

নাম পরিবর্তন: কংগ্রেস ত্যাগ করে এখন থেকে শুধুই "তৃণমূল", নির্বাচন কমিশনে পুরানো নাম বহাল থাকছে

ইত্যাদি নিউজ : দু ’ দশক বাদে । নাম বদলাল তৃণমূলের ( TMC ) । এখন থেকে শুধুই তৃণমূল । নামের সঙ্গে থাকা কংগ্রেস ( Congress ) শব্দটি আর ব্যবহার করবে না তৃণমূল । দলের ব্যানার থেকে শুরু করে পােস্টার সব জায়গাতেই থাকবে শুধু তৃণমূল কথাটি । কিন্তু নির্বাচন কমিশনে এখনও নিজেদের পুরনাে নাম ( সর্ব ভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ) - ই রাখছে জোড়া ফুল শিবির । নয়ের দশকের শেষে কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা দল গড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সে সময় লােকসভা নির্বাচন দিয়েই যাত্রা শুরু হয় দলের । তারপর একে একে অন্য নির্বাচনেও লড়তে থাকে তৃণমূল । ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল ।এই দীর্ঘ সময় নিজেদের নামের সঙ্গে কংগ্রেস শব্দটি ব্যবহার করে এসেছে ।তৃণমূল ।এবার আর তা হবে না ।এখন থেকে শুধুই তৃণমূল ।নামের সঙ্গে সঙ্গে দলের লােগােতেও বদল এসেছে ।নতুন লােগােটিতে সবুজের পাশাপাশি নীল রঙ থাকছে ।তৃণমূল কথাটি লেখা হয়েছে সবুজ রঙ দিয়ে ।গত এক সপ্তাহের কিছু বেশি সময় ধরে নতুন লােগাের ব্যবহার হয়ে আসছে ।দলের সােশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টেও এই বদল চোখে পড়বে ।দলের শীর্ষ নেতারাও নিজেদের অ্যাকাউন্টে নতুন লােগােকে স্থান দিতে শুরু করেছেন ।

দিদি আপনাকে চাকরি দিয়েছেন? প্রতারণা করেছে: রাহুল গান্ধী


ইংরেজবাজার: বাংলায় দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী৷ শনিবার চাঁচলে মহাজোটের স্বপ্ন ভেঙে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেনজরির আক্রমণ করেন রাহুল৷ বলেন, ‘‘মোদি যেখানে সেখানে গিয়ে মিথ্যা কথা৷ এখানে মুখ্যমন্ত্রী কী করেন তা আপনারা জানেন৷’’
এদিন তিনি বলেন, ‘‘সিপিএমের আমলে যেমন অত্যাচার হয়েছে,  এখন মমতা দিদির আমলেও একই ভাবে অত্যাচার হয়েছে৷’’ এদিন বাংলার কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠ গড়ায় তোলেন রাহুল৷ বলেন, ‘‘মোদি আজ দু’কোটি চাকরি খেয়েছে৷ দিদি এই নিয়ে বড়বড় কথা বলছে৷ আপনারা বলুন, দিদি কি আপনাকে চাকরি দিয়েছে? চাকরির নামে প্রতারণা করছে এই সরকার৷’’ দিল্লিতে রাহুল গান্ধীদের দল ক্ষমতায় এলে নূন্যতম আয়ের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান সোনিয়া পুত্র৷ এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কৃষি ঋণ মকুব নিয়েও কটাক্ষ করেন৷ বলেন, ‘‘কংগ্রেস সরকার কৃষকদের ঋণ মকুব করে দিয়েছে৷ কিন্তু, মমতাজি করেছে কী? আমরা দেশে ক্ষমতায় এলে কৃষকদের ঋণ মকুব করে দেব৷’’

এদিন কংগ্রেস সভাপতির সভার আগেই চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়৷ মালদহের চাঁচলের কলমবাগানের মাঠে কংগ্রেস কর্মীদের তাণ্ডবের অভিযোগ ওঠে৷ ভিআইপি ব্যারিকেড ভেঙে উৎসাহী জনতার ঢুকে পড়েন৷ একে অপরের উপর চেয়ার ছুঁড়তে থাকেন৷ ভেঙে দেওয়া হয় ব্যারিকেড৷ ঘটনায় জখম হয় বেশ কয়েকজন৷

জনতার হুড়োহুড়ি সামাল দিতে কার্যত দর্শকের ভূমিকা নিতে দেখা যায় পুলিশ কর্মীদের৷ কেননা, সভাস্থলে এতটাই ভিড় ছিল যে পুলিশ কর্মীদের তরফে তা সামাল দেওয়া যায়নি৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে মাইক হাতে জনতাকে শান্ত হতে বলেন প্রদেশ নেতৃত্ব৷ কি কে শোনে কার কথা! বাঁশের ব্যারিকেড ভেঙে জলপ্লাবন ধেয়ে আসে মূল মঞ্চের দিকে৷ পরে, পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়৷

রবিবার, ১০ মার্চ, ২০১৯

দিদি-মোদী ভুলে যান! প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন ‘দাদা’

হাতে গোনা কয়েকমাস বাদেই বিশ্বের সবথেকে বড় গণতন্ত্রের ভোটযজ্ঞ। দেশ পরিচালনার জন্য নেতাকে বেছে নেবেন দেশের মানুষ। ১২৫ কোটির দেশে প্রধানমন্ত্রী পদ ঘিরে দেশবাসীর অনেক আশা। তাঁর হাত ধরেই তো দিন বদলের স্বপ্ন দেখবে সবাই।
তবে, এতদিনে মোটামুটিভাবে সাজানো হয়ে গিয়েছে অপশনগুলো। অর্থাৎ ২০১৯-এ, কারা ওই চেয়ারের দাবিদার হতে চাইছেন, তা পরিষ্কার। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তো অন্যতম দাবিদার বটেই। চেয়ারের দৌড়ে রয়েছেন কংগ্রেসের যুবরাজ রাহুল গান্ধী। পিছিয়ে নেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবিদার হিসেবে তাঁর নামও শিরোনামে উঠে আসছে মাঝে-মধ্যেই। যদিও, সেই রেজাল্ট হাতে আসতে এখনও দেরি। তবে, এদের মধ্যে কেউ নিশ্চয় বসবেন সেই চেয়ারে। কিন্তু, যদি হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কিংবা আমির খান!
না কোনও সিনেমার স্ক্রিপ্ট নয়। হয়ত এরকম একটা দিনের দিকেও তাকিয়ে আছে ভারতবাসীর একাংশ। যাদের সঙ্গে রাজনীতির দূর অবধি কোনও সম্পর্ক নেই, যাঁরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তৃতা দেন না, তবু যাদেরকে একবার দেখার জন্য উপচে পড়ে সাধারণ মানুষ, তাঁরাই যদি নেতা হন, মন্দ কি!
I-PAC নামে একটি সংস্থা ‘ন্যাশনাল পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি’ নামে এক বিশেষ সমীক্ষা চালু করেছিল সম্প্রতি। আর সেখানেই স্পষ্ট হয়েছে ভারতবাসীর সেই অলীক আশার কথা।
প্রতিবেদনটি লেখার সময় পর্যন্ত সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ৫৮ লক্ষের কিছু বেশি মানুষ। কাকে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, তাতে ভোট দিয়েছেন অংশগ্রহণকারীরা। কিন্তু সেই সমীক্ষায় ছিল একটি মজার অপশন, ADD NEW LEADER. নরেন্দ্র মোদী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অখিলেশ, মায়াবতী, কেজরিওয়াল, ইয়েচুরি, দেবগৌড়া, নীতিশ কুমার ও শরদ পাওয়ার বাদে যদি অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিতে চান কেউ, তাহলে তিনি ওই অপশনে যোগ করতে পারবেন সেই ব্যক্তির নাম।
সেখানেই উঠে এসেছে একাধিক অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের নাম। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ক’দিন আগেই পাশের দেশ পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেছেন ইমরান খান। বিদেশ থেকে বাহবা দিয়েছেন অনেক ক্রিকেটার বন্ধু। তবে, তফাৎ একটাই, ইমরান খান বহুদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। তবে সৌরভের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক এখনও তৈরি হয়নি। বাম আমলে অশোক ভট্টাচার্য মন্ত্রী থাকাকালীন, তাঁর সঙ্গে সৌরভের সুসম্পর্কের কথা সবাই জানতেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতার আসার পর তাঁর সঙ্গেও এক ফ্রেমে সৌরভকে দেখা গিয়েছে একাধিকবার। আবার আইপিএলের সময় নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে হাত মেলাতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। ২০১৫-তে একবার সৌরভের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনার কথা সামনে এলেও সেই আশা ধোপে টেকেনি। নিছক সংবাদমাধ্যমের প্রচার হয়েই রয়ে গিয়েছিল সেটা। যদিও, সব জল্পনা উড়িয়ে সৌরভ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
শুধু সৌরভ নয়, অরাজনৈতিক অনেকেই দেখতে চাইছেন দেশের মানুষ। তালিকায় ১ নম্বরে রয়েছেন আমির খান। দ্বিতীয়তে, অক্ষয় কুমার। স্ক্রিনের দেশভক্তিই বোধহয় আগে রেখেছে এই দুই অভিনেতাকে। রয়েছেন আন্না হাজারেও। রামদেবের সঙ্গে রাজনীতির হালকা যোগাযোগ থাকলেও, তিনিও স্থান নিয়েছেন এই তালিকায়। সৌরভ ছাড়াও আরও এক অধিনায়ককে মোদীর সঙ্গে লড়াইতে দেখতে চান ভারতবাসী, তিনি ‘ক্যাপ্টেন কুল’ ধোনি। আর দেশে যখন পেট্রোল আর টাকার দাম বাড়ছে চড়চড়িয়ে, তখন বোধহয় অর্থনীতির বিপ্লব দেখতেই তালিকায় জায়গা দেওয়া হয়েছে রঘুরাম রাজন কিংবা রতন টাটার মত ব্যক্তিত্বকে।
তবে এদের পাশেও তালিকায় উজ্জ্বল বাঙালির প্রিয় ‘দাদা’। হয়ত সবটাই নিছক কল্পনা। ভারতের গণতান্ত্রিক সিস্টেমে রাজনীতিই শেষ কথা বলে। তবে, যদি সত্যিই একদিন ঘুমে ভেঙে দেখেন, প্রধানমন্ত্রীর আসনে সৌরভ কিংবা ধোনি! দেশের জন্য সেটাই হতে পারে ‘হাওয়া বদল।

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...