করোনাভাইরাসের (Coronavirus) জেরে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। তবুও আটকানো যাচ্ছে না দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায়। এছাড়াও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যু মিছিল। এই পরিস্থিতির জেরে বেশ কিছু প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ইতিমধ্যেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একদিকে যেমন রয়েছে EPFO, UPSC Civil Service (Prelims) ও NEET PG-র মত পরীক্ষা, তেমনই অন্যদিকে রয়েছে বিভিন্ন বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। এর মধ্যেই সর্বভারতীয় ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা NEET 2021 অক্টোবর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হয়েছে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের একাংশ। টুইটারের মত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সরকারের কাছে তাঁরা তাঁদের দাবি তুলে ধরছেন। ইতিমধ্যে, #postponeNEET2021 নামক হ্যাশট্যাগ দিয়ে চলছে তাঁদের প্রতিবাদ।
অগাস্টের 1 তারিখ এই পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত আবেদনের ফর্মই প্রকাশ করেনি এই পরীক্ষা আয়োজনের দায়িত্বে থাকা National Testing Agency। সম্প্রতি এই পরীক্ষা নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পখরিয়াল নিশাঙ্ক ও বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীরা। যদিও এই বৈঠকে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, কিন্তু এর মধ্যেই পরীক্ষা পিছনোর জন্য সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে হাতিয়ার বানিয়েছে পড়ুয়াদের একাংশ।
ইতিমধ্যে প্রায় অধিকাংশ দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে Covid-19 পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে। ছাত্রছাত্রীদের দাবি NEET পরীক্ষা পিছিয়ে দিলে তাঁরা এই দুটি পরীক্ষার জন্যই সমানভাবে নিজেদের তৈরি করতে পারবেন। দুটি পরীক্ষা নিয়েই অনিশ্চয়তা গ্রাস করেছে ছাত্রছাত্রী ও তাঁদের অভিভাবকের। এর মধ্যে দুটি পরীক্ষার মাঝে যদি পর্যাপ্ত সময় না পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে পরীক্ষার ফল খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করছেন ছাত্রছাত্রীরা।
বেশ কিছু টুইটার ব্যবহারকারী এর মধ্যে সরকারের কাছে Covid-19 পরিস্থিতি ও ছাত্রছাত্রীদের সুস্থতার কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের মতে, এই Covid-19 পরিস্থিতির জেরে বিস্তর মানসিক চাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। তাই পড়ুয়াদের মানসিক চাপ কিছুটা কমাতে সরকারের কাছে এই দাবি পেশ করেছেন তাঁরা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে লকডাউনের কারণে কোচিং সেন্টারগুলি বন্ধ রয়েছে। কাজেই এই পরিস্থিতিতে একা একাই এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। কিন্তু কোচিং সেন্টারের শিক্ষকদেড় সাহায্য ছাড়া কতটা প্রস্তুতি তাঁরা নিতে পারবেন, এই নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে পড়ুয়াদের মনে। কাজেই এই অবস্থায় পরীক্ষা হলে ফল ভাল হবে না বলেই মত পড়ুয়াদের একাংশের। কাজেই পরীক্ষা পিছনোর দাবিতে তাঁরা অনড়। তাই আপাতত চূড়ান্ত সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষাতেই রয়েছেন কয়েক লাখ পরীক্ষার্থী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন