মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

ভারত ও বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল!

করোনার মধ্যে ধেয়ে আসছে পঙ্গপাল ভারত ও বাংলাদেশের দিকে! – বাংলাদেশ যখন করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ব্যস্ত তখন ধেয়ে আসছে আরেকটি ভয়াবহ বিপদ। যে আশঙ্কা ইতিপূর্বেও করা হয়েছিলো। ভারতের হিন্দু পত্রিকার এক প্রতিবেদনে বলা হয়,

ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে একদল পঙ্গপাল সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ভারত যখন প্রাণপণে লড়ে যাচ্ছে তখন দেশটির দিকে ধেয়ে আসছে আরেকটি ভয়াবহ বিপদ। এ গৃষ্মেই ভারতের কৃষি জমিগুলোতে হামলে পড়তে পারে পঙ্গপাল। সরকারি সূত্র জানায়, দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকার।

একটি হচ্ছে চলমান করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে আর অন্যটি হচ্ছে পঙ্গপালকে প্রতিরোধ করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। ওই সূত্রটি জানায়, হর্ন অব আফ্রিকা থেকে একদল পঙ্গপাল গতিপথে মরু অঞ্চলের আরেকদলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে হানা দিচ্ছে। এদের একটি ঝাঁক ইয়েমেন, বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ইরান, সৌদি আরব এবং পাকিস্তান হয়ে ভারতে হানা দিচ্ছে। এরা ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানাসহ আরো কয়েকটি এলাকায় ঢুকছে।

অন্যদলটি ভারত মহাসাগর অতিক্রম করে সরাসরি ভারত উপদ্বীপের কৃষিজমিতে নেমে পড়তে পারে। এরপরই যাবে বাংলাদেশের দিকে। উভয় ঝাঁকের সম্মিলিত হামলায় ভারতের খাদ্য নিরাপত্তা সংকটে ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির নীতি নির্ধারকরা। গত ২১ এপ্রিল জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, মরুর পঙ্গপাল যারা এ বসন্তে পূর্ব আফ্রিকা, ইয়েমেন ও দক্ষিণ ইরানে হানা দিয়েছে। আফ্রো-এশীয় অঞ্চলের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও তারা বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

বাংলাদেশেও আক্রমণ হতে পারে পঙ্গপালের। এ আশঙ্কা ইতিপূর্বে দেশের কৃষি অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে করা হয়েছিলো। যেহেতু পঙ্গপালের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে বাতাসের উষ্ণতার গতি অনুযায়ী চলাফেরা করে এবং এক জায়গার খাবার ফুরালেই নতুন জায়গার খোঁজ করে, সে কারণে কৃষি অধিদপ্তরের আশঙ্কা ওরা বাংলাদেশেও হানা দিতে পারে। উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের কাছে ইংরেজি লোকাস্ট নামে পরিচিত এই পঙ্গপাল। বাংলায় এর নাম পতঙ্গ, এটি এক জাতের ঘাসফড়িঙ।

স্বভাবে কিছুটা লাজুক প্রকৃতির ইঞ্চি খানেক দৈর্ঘ্যের এই পতঙ্গ, খাবারের জন্য নিজ প্রজাতির বিপুল সংখ্যক সদস্যের সঙ্গে ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে বেড়ায়। সাধারণত একেক ঝাঁকে কয়েক লাখ থেকে এক হাজার কোটি পতঙ্গ থাকতে পারে। তখন একে পঙ্গপাল বলে। পঙ্গপাল যখন ফসলের ক্ষেতে আক্রমণ করে, তখন তা একজন কৃষকের জন্য রীতিমত দুঃস্বপ্নের বিষয় হয়ে ওঠে। একটি পূর্ণ বয়স্ক পঙ্গপাল প্রতিদিন তার ওজনের সমপরিমাণ খাদ্য খেতে পারে।

যে অঞ্চলে তারা আক্রমণ করে, সেখানে খাদ্য শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা অন্য অঞ্চলে যায় না। এফএও বলছে, এক বর্গকিলোমিটার আকারের পঙ্গপাল এক সঙ্গে যে খাবার খায় তা দিয়ে ৩৫ হাজার মানুষকে এক বছর খাওয়ানো সম্ভব। একটি বড় পঙ্গপাল দিনে ১২০ মাইল পর্যন্ত জমির ফসল খেয়ে ফেলতে পারে। কেবল খাবারই খায় না তারা, একই সঙ্গে প্রজননের কাজটিও করে।

রবিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২০

ঈদের আগেই করোনা মুক্ত হোক ভারত, আল্লাহর কাছে প্রার্থনা অনুরোধ মোদীর

 করোনা ঘুম ছুটেছে গোটা বিশ্বের ভালো নেই ভারতও। লকডাউন এর পাশাপাশি একের পর এক কঠিন পদক্ষেপ জানতে পারছে না মারণ ভাইরাসে। এহেন পরিস্থিতির মাঝেই রবিবার মান কি বাত-এ। দেশের সংখ্যালঘু ভাইবোনদের আল্লাহর কাছে করোনা মুক্ত ভারতের প্রার্থনা করার অনুরোধ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার কথায়, রমজান মাসে আরও বেশি করে প্রার্থনা করুন যাতে ঈদের আগেই করোনা মুক্ত হয় ভারত।

শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

ফেসবুক লাইভে বিতর্কিত মন্তব্য করে গ্রেফতার অভিনেতা এজাজ খান

ফেসবুক লাইভে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। অভিযোগ, ধর্ম নিয়ে নানা ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত শনিবার মুম্বই পুলিশ গ্রেফতার করেছে অভিনেতা এজাজ খানকে।

প্রাক্তন এই বিগ বস প্রতিযোগী ফেসবুক লাইভে বলেছিলেন, 'একটি পিঁপড়ে মরলেও মুসলিমকে দায়ী করা হয়, একটা হাতি মরলেও মুসলিমকে দায়ী বলা হয়। দিল্লিতে ভূমিকম্প হলেও বলবে মুসলিম দায়ী এর জন্য। মুসলিমরাই সব কিছুর জন্য দায়ী। কিন্তু এই ষড়যন্ত্রের জন্য কারা দায়ী তা কখনও ভেবে দেখেছেন?'

ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩ এ, ১২১, ১১৭, ১৮৮, ৫০১ ও ৫০২(২) ধারায় আজাজ খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ফেসবুক লাইভ করে আজাজ ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া এবং বান্দ্রা রেল স্টেশনে হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিকদের আসা নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। আজাজ দাবি করেন, এটি বিজেপির করা একটি ষড়যন্ত্র যা মুসলিমদের ছোট করার জন্য করা হয়েছে। এর জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীও দায়ী বলেন আজাজ।

এর পরেই ট্যুইটারে ট্রেন্ড করতে শুরু করে #ArrestAjaz। পুলিশও পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়। এর আগেও গত বছর জুলাইতে আজাজের বিরুদ্ধে ধর্মীয় উস্কানিমূলক ভিডিয়ো পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল।

সোমবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২০

আরও অনিশ্চিত JEE, NEET, NET! পরীক্ষা কবে? এখনও অধরা সমাধান

করোনা পরিস্থিতিতে আগেই স্থগিত করা হয়েছিল জয়েন্ট এনট্রান্স এগজামিনেশন (জেইই) মেন এবং অ্যাডভান্স, ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট (নিট) ইউজি ২০২০, ইউজিসি- নেট সহ একগুচ্ছ প্রবেশিকা পরীক্ষা৷ নির্দিষ্ট দিন ঘোষণা করা না হলেও, মে মাসের শেষ সপ্তাহে জেইই এবং নিট পরীক্ষা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু পরীক্ষার দিন আরও পিছবে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ সেই সঙ্গে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্সে ভর্তির সময় পিছিয়ে জুলাই কিংবা অগাস্ট হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল৷

সেক্ষেত্রেও একটা প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে৷ দেশে ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা৷ এই পরিস্থিতিতে অধিকাংশ রাজ্যই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ মে মাসেও লকডাউন চললে গোটা চিত্রটাই বদলে যাবে৷ কারণ, অধিকাংশ রাজ্যই পরিস্থিতি বিচার করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে৷ বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়৷ লকডাউনের জেরে ৩০টিরও বেশি স্কুল এডুকেশন বোর্ড এখনও তাদের বোর্ড পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি৷ পরীক্ষা স্থগিত হয়ে গিয়েছে৷ স্থগিত মূল্যায়ন প্রক্রিয়াও৷ ফলে পরীক্ষার ফল প্রকাশেও বিলম্ব হচ্ছে৷

লকডাউনের জেরে দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা স্থগিত রেখেছে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (সিবিএসই), ন্যাশনাল ইনস্টিটিউশন অফ অপেন স্কুলিং (এনআইওএস) এবং কাউন্সিল ফর দা ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট এগজামিনেশনস (সিআইএসসিই)৷ স্থগিত রয়েছে তাদের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া৷ ১৫ এপ্রিলের পর এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল৷ কিন্তু  লকডাউনের মেয়াদ বৃদ্ধি পাওয়ায় পড়ুয়াদের ভাগ্য এখন অনিশ্চিত৷

কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক সূত্রে খবর, ‘‘পরীক্ষা পুনরায় পিছনো হবে৷ চলতি মাসের শুরুতে সিবিএসই বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছিল দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার সময় সূচি পরিবর্তন করা হবে৷ পাশাপাশি ৪১ বিষয়ের মধ্যে ২৯টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে৷’’ কিন্তু পরিস্থিতির জেরে নতুন করে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে বোর্ড৷ এই অবস্থায় ২৯টি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে কিনা, সেই বিষয়টিও ভেবে দেখা হচ্ছে৷

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...