শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯

নিলামে উঠছে নীল আমস্ট্রংয়ের চাঁদে প্রথম পা রাখার দুর্লভ ভিডিও টেপ

 ৫০ বছর আগে অ্যাপোলো ১১ চেপে চাঁদে প্রথম পা রেখেছিলেন নীল আমস্ট্রং। দিনটা ছিল, ১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই। ১৯৭৬ সালে, ঠিক তার সাত বছর বাদে প্রথম পদক্ষেপের সেই ভিডিও টেপ নিলামে তুলেছিল নাসা। আর ১,১০০টি রিলের সেই টেপগুলি ২১৮ মার্কিন ডলার দিয়ে কিনেছিল কলেজ পড়ুয়া গ্যারি জর্জ। আগামী ২০ জুলাই তার মধ্যে থাকা তিনটি ভিডিও টেপ এক নিমিষে কোটিপতি বানিয়ে দেবে তাঁকে। কারণ, ওইদিন নিউইয়র্কে ভিডিও টেপগুলি দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলারে বিক্রি হতে পারে বলে জানানো হয়েছে নিলাম সংস্থা সদেবির তরফে।

আজ ৪৩ বছর পর ভিডিও টেপগুলি কেনার কথা মনে পড়লেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন লাস ভেগাসের প্রাক্তন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার গ্যারি। ৬৫ বছরের ওই বৃদ্ধের কথায়, প্রথমে ভিডিওগুলির গুরুত্ব বুঝতে পারিনি। তাই স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলে আটটি ভিডিও টেপ পুনরায় রেকর্ডিং করার জন্য দেন। এর জন্য টেপপিছু ৫০ ডলার করেও পেয়েছিলেন তিনি। তবে পরে তিনটি ভিডিও টেপ ফেরত আসে। আর সেইগুলিই ভাগ্য খুলে দিল তাঁর। জানা গিয়েছে, এর মধ্যে একটি টেপে নীল আমস্ট্রংয়ের চাঁদে প্রথম পা ফেলার মুহূর্ত ও তাঁর সেই বিখ্যাত উক্তি ক্যামেরাবন্দি করা আছে। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “একজন মানুষের একটি ছোট পদক্ষেপ আসলে মানবজাতির বিশাল অগ্রগতির সূচনা।”

দুর্লভ এই ভিডিও টেপ সংরক্ষিত রাখার পিছনে তাঁর বাবার অবদানের কথাও স্বীকার করছেন গ্যারি। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সব ভিডিও টেপগুলি বিক্রি করে দিচ্ছিলাম। কিন্তু, তিনটি টেপের গায়ে অ্যাপোলো ১১ ইভিএ লেভেল দেখে বাবা সেগুলি সাবধানে রাখতে বলে। আমিও ভেবেছিলাম পড়ে এগুলি কাজে লাগতে পারে। কিন্তু, এগুলি যে এত দুর্লভ তা আগে বুঝতে পারিনি।”

নিলাম সংস্থার এক মুখপাত্র জানান, এই রেকর্ডিংয়ের মধ্যে আমস্ট্রংয়ের প্রথম পদক্ষেপের মুহূর্তের পাশাপাশি তাঁর সঙ্গী এডউইন অলড্রিনের লুনার গ্র্যাভিটিতে হেঁটে চলার দৃশ্য। তৎকালীন মার্কিন রাষ্ট্রপতি রিচার্ড নিক্সন সঙ্গে মহাকাশচারীদের কথাবার্তা। চাঁদের মাটিতে আমেরিকার পতাকা পোঁতার দৃশ্য ও সেখানকার মাটি ও পাথর সংগ্রহের ভিডিও আছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...