মুর্শিদাবাদ : রাজমিস্ত্রির ঘর থেকে এবার অধ্যাপক। শত কষ্ট, দারিদ্রতাকে হার মানিয়ে সাফল্য পেল মুর্শিদাবাদের জিয়াউর রহমান। সম্প্রতি কলেজ সার্ভিস কমিশনের রেজাল্ট প্রকাশিত হতেই সকলকে পিছনে ফেলে ওবিসি কোটায় চতুর্থ স্থান অধিকার করে নেন জিয়াউর রহমান। পিছিয়ে পড়া জেলা থেকে যেভাবে রাজমিস্ত্রি পরিবারের ছেলের এই সাফল্য উঠে এসেছে তাতে খুশি মুর্শিদাবাদবাসী। খুব শীঘ্রই কাউন্সেলিং শেষে অধ্যাপক পদে যোগদান করবেন তিনি।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের নয়ামুকুন্দপুর নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম জিয়াউর রহমানের। বাবা আতাউর রহমান একজন রাজমিস্ত্রি। মা জেজেল বানু বিড়ি শ্রমিক। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সকলের বড় জিয়াউর। দারিদ্রের সংসারে বাবার ইনকামই পড়াশুনার হাতিয়ার। গরিবের সংসার পরিচালনা করতে মাধ্যমিক পর থেকেই গ্রামে গ্রামে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করেন তিনি। স্থানীয় আকবরপুর ভাই ভাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা ও জঙ্গিপুর মুনিরিয়া হাই মাদ্রাসায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তারপর জঙ্গিপুর কলেজ থেকে দর্শন নিয়ে অনার্স করেন। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি করেন তিনি। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন তিনি। পিএইচডি চলাকালীনই বহরমপুর গার্লস কলেজে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত হয়ে ইনকামের পথ শুরু করলেও পড়াশুনা চালিয়ে যেতে থাকেন জিয়াউর। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই পড়াশুনা করেন। সাফল্য আসে ২০১৯ সালে। দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করে সকলের নজর কাড়েন এই কৃতি ছাত্র। খুব শীঘ্রই কাউন্সেলিং শেষে অধ্যাপক পদে যোগদান করবেন। এদিকে মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের রাজমিস্ত্রির পরিবার থেকে যেভাবে অধ্যাপক পদে সফল হয়েছেন জিয়াউর তাতে খুশির জোয়ার জেলাজুড়ে।
অধ্যাপক পদে সাফল্যের পর পরই জিয়াউর রহমান টিডিএন বাংলাকে জানান, দারিদ্র পরিবারেও কঠোর পরিশ্রম করেই আমার এই সাফল্য এসেছে। সাফল্যের পিছনে মায়ের অনাবিল অনুপ্রেরণার কথা উল্লেখ করেন জিয়াউর। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পিছিয়ে পড়া জেলা। জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় দারিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারেন না। তারপরেও পারিবারিক দারিদ্রতাকে মাড়িয়ে যেভাবে ছাত্রছাত্রীরা সাফল্যের শীর্ষে উঠে এসেছে তা অত্যন্ত গর্বের। তিনি জেলার পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে আগামী দিনে বিশেষ তৎপরতা চালানোর কথাও জানান তিনি। এদিকে ছেলের সাফল্যে আনন্দিত জিয়াউরের বাবা আতাউর রহমান জানান, গরিবের সংসারে রাজমিস্ত্রি কাজ করে দু বেলা দু মুঠো কম খেয়ে ছেলেকে পড়িয়েছি। তার সাফল্যে আমি খুব খুশি।
মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লকের নয়ামুকুন্দপুর নামক এক প্রত্যন্ত গ্রামে জন্ম জিয়াউর রহমানের। বাবা আতাউর রহমান একজন রাজমিস্ত্রি। মা জেজেল বানু বিড়ি শ্রমিক। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে সকলের বড় জিয়াউর। দারিদ্রের সংসারে বাবার ইনকামই পড়াশুনার হাতিয়ার। গরিবের সংসার পরিচালনা করতে মাধ্যমিক পর থেকেই গ্রামে গ্রামে প্রাইভেট পড়াতে শুরু করেন তিনি। স্থানীয় আকবরপুর ভাই ভাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শিক্ষা ও জঙ্গিপুর মুনিরিয়া হাই মাদ্রাসায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তারপর জঙ্গিপুর কলেজ থেকে দর্শন নিয়ে অনার্স করেন। গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার ডিগ্রি করেন তিনি। বর্তমানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন তিনি। পিএইচডি চলাকালীনই বহরমপুর গার্লস কলেজে অতিথি অধ্যাপক হিসাবে যুক্ত হয়ে ইনকামের পথ শুরু করলেও পড়াশুনা চালিয়ে যেতে থাকেন জিয়াউর। কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়েই পড়াশুনা করেন। সাফল্য আসে ২০১৯ সালে। দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কলেজ সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় পাশ করে সকলের নজর কাড়েন এই কৃতি ছাত্র। খুব শীঘ্রই কাউন্সেলিং শেষে অধ্যাপক পদে যোগদান করবেন। এদিকে মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামের রাজমিস্ত্রির পরিবার থেকে যেভাবে অধ্যাপক পদে সফল হয়েছেন জিয়াউর তাতে খুশির জোয়ার জেলাজুড়ে।
অধ্যাপক পদে সাফল্যের পর পরই জিয়াউর রহমান টিডিএন বাংলাকে জানান, দারিদ্র পরিবারেও কঠোর পরিশ্রম করেই আমার এই সাফল্য এসেছে। সাফল্যের পিছনে মায়ের অনাবিল অনুপ্রেরণার কথা উল্লেখ করেন জিয়াউর। তিনি বলেন, মুর্শিদাবাদ জেলা পিছিয়ে পড়া জেলা। জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় দারিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারেন না। তারপরেও পারিবারিক দারিদ্রতাকে মাড়িয়ে যেভাবে ছাত্রছাত্রীরা সাফল্যের শীর্ষে উঠে এসেছে তা অত্যন্ত গর্বের। তিনি জেলার পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের সামনে এগিয়ে নিয়ে আসতে আগামী দিনে বিশেষ তৎপরতা চালানোর কথাও জানান তিনি। এদিকে ছেলের সাফল্যে আনন্দিত জিয়াউরের বাবা আতাউর রহমান জানান, গরিবের সংসারে রাজমিস্ত্রি কাজ করে দু বেলা দু মুঠো কম খেয়ে ছেলেকে পড়িয়েছি। তার সাফল্যে আমি খুব খুশি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন