মঙ্গলবার, ১ জানুয়ারী, ২০১৯

ডাক্তারি পাশের পর ‘এক্সিট’ পরীক্ষায় কৃতকার্য হলে তবেই মিলবে লাইসেন্স

ইত্যাদি নিউজ:

মেডিক্যাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ার (এমসিআই) মতো ডাক্তারির নিয়ন্ত্রক সংস্থার খোলনলচে পাল্টাতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন গঠনের বিল আগেই এনেছিল কেন্দ্র। এবার এ ধরনের বিল এল আয়ূশেও। আয়ুর্বেদ, ইউনানি, সিদ্ধা এবং সোয়ারিগপা’র মতো বিকল্প চিকিৎসা ও এই সংক্রান্ত শিক্ষাকে আনা হচ্ছে এই কমিশনের আওতায়। বর্তমানে এইসব চিকিৎসা পদ্ধতিগুলির নিয়ন্ত্রক সংস্থা হল সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব ইন্ডিয়ান মেডিসিন বা সিসিআইএম। নতুন খসড়া বিলটির নাম হল ন্যাশনাল কমিশন ফর ইন্ডিয়ান সিস্টেমস অব মেডিসিন বিল বা এনসিআইএম বিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি এমনও সিদ্ধান্ত হয়েছে, এইসব শাখার ডাক্তারি পড়ুয়ারা পাঠ্যক্রম পাশ করলেই ডাক্তারি বা প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। দিতে হবে ‘এক্সিট’ পরীক্ষাও। তাতে পাশ করলে তবেই তাঁরা ডাক্তারি করতে পারবেন। কেন্দ্রীয় আয়ূশ মন্ত্রক সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।
এ বিষয়ে রাজ্যের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের অন্যতম সংগঠন অল বেঙ্গল বিএএমএস ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন-এর চেয়ারম্যান ডাঃ পার্থ সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত এই বিলের ভালোমন্দ বলার মতো সময় আসেনি। তবে সিসিআইএম-এর ক্ষেত্রে আমরা রাজ্যের প্রতিনিধিকে সুবিধা-অসুবিধা জানাতে পারতাম। এক্ষেত্রেও সেই সুবিধা পাব কি না, জানা নেই। ন্যাশনাল আয়ুর্বেদ স্টুডেন্টস অ্যান্ড ইউথ অ্যাসোসিয়েশন (নস্যা)-এর বাংলা, ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রধান সুমিত শূর বলেন, এই বিলকে আমরা স্বাগত জানাই। সাধারণভাবে, বিকল্প চিকিৎসা ও শিক্ষার ক্ষেত্রে এখন গুণগত মানের থেকে সংখ্যা বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে। পাশ করলেই ডাক্তার। আমরাও চাইছি, দেশ চিকিৎসক পাক, কিন্তু যোগ্য চিকিৎসক পাক।
কী বলা হচ্ছে এই বিলে? এখানে দুটি বোর্ড তৈরির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একটি হল বোর্ড অব অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড রেটিং। দুই, বোর্ড অব এথিক্স অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন। প্রথম বোর্ডটির কাজ হল, বিভিন্ন বিকল্প চিকিৎসার মেডিক্যাল কলেজগুলির অনুমতির কাজ খতিয়ে দেখা এবং তারপর অনুমতি প্রদান। এবং দ্বিতীয় বোর্ডটির কাজ হল, চিকিৎসকদের রেজিস্ট্রেশন করানো এবং তাদের নীতি-নৈতিকতার বিষয়ে অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
সূত্রের খবর, এছাড়াও ওই খসড়া বিলে এই চার বিষয়ে পঠনপাঠনের জন্য অভিন্ন পরীক্ষা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঠিক যেভাবে এখন দেশজুড়ে মডার্ন মেডিসিন পড়ার জন্য নিট পরীক্ষায় বসতে হয় সমস্ত পরীক্ষার্থীদের। এছাড়াও বলা হয়েছে পূর্বোল্লিখিত ‘এক্সিট’ পরীক্ষার কথাও। এই পরীক্ষায় পাশ করলে তবেই মিলবে বিকল্প চিকিৎসা করার লাইসেন্স। যাঁরা ছেলেমেয়েদের পড়াবেন, অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরও নিয়োগের আগে একটি অভিন্ন পরীক্ষায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিলে। পদোন্নতি জন্যও বসবে হবে পরীক্ষায়।
কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্র জানিয়েছে, বিলটি আনার প্রধানত দুটি উদ্দেশ্য। এক, দেশজুড়ে কম খরচে ভালো চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়া। এবং দ্বিতীয়ত, বিকল্প চিকিৎসা ও শিক্ষাতে যথেষ্ট পরিমাণে স্বচ্ছতা রাখা।
https://www.facebook.com/ItyadiNewsMsd/

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান! পুলিশের জালে '১৫ পুলিশ'

 পুলিশ নিয়োগের ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়ে প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন। ট্রেনি সাব-ইনস্পেক্টর হিসাবে কাজে যোগও দিয়েছিলেন। পুলিশের হাতে...